Ajker Patrika

এখানেই সব শেষ হয়ে যাচ্ছে না

আমিনুল ইসলাম বুলবুল
এখানেই সব শেষ হয়ে যাচ্ছে না

সুবর্ণ সুযোগ মিস করল বাংলাদেশ। ধন্যবাদ, নেদারল্যান্ডস দলকে। যারা এ সুযোগটা করে দিয়েছিল। যদি পুরো টুর্নামেন্ট দেখি, পুরোটাই আমরা একটা অপরিণত দল হিসেবেই খেলেছি।

নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে কষ্ট করে জিতেছি, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও কষ্ট করে জিতেছি। যাদের সঙ্গে লড়াই করার কথা, সবার বিপক্ষেই হেরেছি। যদি পুরো টুর্নামেন্টটা দেখি, নেদারল্যান্ডস, আয়ারল্যান্ডসের মতো সহযোগী দেশের মতোই আমরা খেলেছি। পূর্ণ সদস্য হিসেবে দুর্দান্ত খেলতে পারিনি।

গতকাল পাকিস্তানের বিপক্ষে সবচেয়ে বড় যে ব্যর্থতা বলব, প্রথম থেকেই বলে আসছি, যে ব্যাটার খেলবে সে ১৭, ১৮ ও ১৯ ওভার পর্যন্ত খেলবে। এতে একটা বড় স্কোর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ফিফটি করার পর উইকেট দিয়ে চলে এলে সেই ফিফটির মানে হয় না। তার চেয়েও ভয়ংকর হলো, সৌম্য সরকার ২০ রান করে যখন আউট হলো। এ ধরনের পরিস্থিতিতে একটা নতুন ব্যাটার এসে সেট হওয়া, ওই সময়ে সাকিব এল এবং প্রথম বলে আউট হয়ে গেল। ব্যক্তিগতভাবে মনে করি না এটা কোনো ক্রাইম। সেট হওয়ার পর আউট হওয়াটাই ক্রাইম।

১০ ওভার পর্যন্ত মনে হয়েছে আমরা একটা বড় সংগ্রহ করতে যাচ্ছি এবং এই যে উইকেট ছিল, আউটফিল্ড ছিল, অন্তত ১৮০ রান না করলে কোনো সম্ভাবনাই ছিল না আমাদের। আমরা সেই সুযোগটা হাতছাড়া করেছি। একটু আশা জাগিয়েছিলাম; কিন্তু পরে সেটা ধরে রাখতে পারিনি।

আম্পায়ারিং নিয়ে আমাদের দেশীয় ঘরোয়া ক্রিকেটের কৌশলটাই এখানে তুলে আনলাম। ঘরোয়া ক্রিকেটে আম্পায়ারিং নিয়ে যে সমালোচনা হয়, সেটা আমরা আলোচনা করতেও ভালোবাসি। এখানে আম্পায়ার তাঁর সিদ্ধান্ত বদলাননি। সিদ্ধান্ত যেটা ওপর থেকে এসেছে, ওই সিদ্ধান্তই নিয়েছেন ফিল্ড আম্পায়ার।

সর্বোচ্চ পর্যায়ের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। এখানে বিশ্বের সেরা আম্পায়াররা আম্পায়ারিং করছেন। নিরপেক্ষ আম্পায়ারিং করছেন।আমার কাছে মনে হয়নি, এখানে আম্পায়ারদের ভুল ছিল। আমার কাছে মনে হচ্ছে, হয়তো এটা বড় করে দেখছি। টেকনিকের কথা যদি বলি, সাকিবের উচিত ছিল ওই বলটা সোজা ব্যাটে খেলা।

এরপরও আরও ব্যাটার ছিল। আবারও ফিরে আসি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের কাছে। ভারত বা পাকিস্তানের ম্যাচে যদি মাহমুদউল্লাহ থাকত...। যে ভূমিকা ইয়াসির, আফিফ ও মোসাদ্দেকের করার কথা ছিল, তারা সেটা তারা পালন করতে পারেনি। মিডল অর্ডার ফ্লপ পুরো বিশ্বকাপেই। মোসাদ্দেক একটা ম্যাচে বোলার হিসেবে সফল হয়েছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। আমি বলব, এটা একটা বিপর্যয়। আমাদের সিলেকশন ডিজাস্টার এটা।

এ বিশ্বকাপে আমাদের অর্জন তেমন কিছু নেই। একটা নিচের সারির সহযোগী দেশ, আরেকটা নিচের সারির পূর্ণ সদস্য দলের বিপক্ষে জিতেছি। এটাই আমাদের অর্জন। কিন্তু আমরা যে সুযোগগুলো পেয়েছিলাম, তিনটা বড় দল দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত ও পাকিস্তানকে হারানোর, সেখানে আমরা ব্যর্থ। আমি মনে করি না, স্বস্তি পাওয়ার মতো কিছু করেছি আমরা।

এখানেই বাংলাদেশ ক্রিকেট শেষ হয়ে যাচ্ছে না। আমাদের অবশ্যই এই ভুলগুলো শুধরে এগোতে হবে। একই ধরনের ভুল আমরা সব সময় করি। আমাদের উচিত ওই ভুল থেকে বের হওয়ার পথ খোঁজা। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৬১৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ: এক্সিম ব্যাংকের নজরুল ইসলাম মজুমদারসহ ৩০ জনের নামে মামলা

‘কথিত আওয়ামী লীগ সদস্যদের’ বাংলাদেশবিরোধী তৎপরতার বিষয়ে ভারত অবহিত নয়: মুখপাত্র

কলকাতার নিউটাউনে বসে আয়েশ করছেন আওয়ামী লীগ নেতারা

চাকরি না ছেড়েই বিদেশে পাড়ি, ৪৮ শিক্ষক বরখাস্ত

ভিসা ছাড়া পাকিস্তান সফরের চুক্তি হতে পারে শিগগির

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত