Ajker Patrika

পাইলিংয়ের পর কাজ বন্ধ

রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৯: ৪৬
পাইলিংয়ের পর কাজ বন্ধ

নরসিংদীর রায়পুরায় ভিটিমরজাল এলাকার একটি খালে, সেতু নির্মাণের সময় দুর্নীতির অভিযোগে স্থানীয়দের কাছে তোপের মুখে পড়ে নির্মাণকাজ স্থগিত করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এর পর পেরিয়ে গেছে প্রায় দেড় বছর। সেতু না হওয়ায় বাঁশের সাঁকোয় চলাচল করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। উপজেলা প্রশাসন বলছে সেতুর পিলারের পাইলিং এর পরীক্ষা নিরীক্ষার পর দ্রুত আবারও কাজ শুরু হবে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় চার বছর আগে বন্ধ করে দেওয়া হয় ভিটিমরজাল এলাকার খালের ওপরে থাকা সেতুটি। এর পর অব্যবহৃত সেতুটি ভেঙে নতুন সেতু নির্মাণের জন্য ২০২০ সালের মে মাসে কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এক পাশে ১১টি পিলারের পাইলিং হয়। প্রতিটি পিলার ১০০ ফুট পাইলিং করার কথা। কিন্তু ১২ নম্বর পিলারের পাইলিংয়ে কাজের সময় স্থানীয়দের চোখে পড়ে ওই পিলারটি মাত্র ৬০ ফুট পাইলিং করা হয়েছে। এতে তাঁরা ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিবাদ করেন। এবং উপজেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করে। এতে কাজ বন্ধ করে দেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তা ছাড়া সেতুর নির্মাণকালীন সময়ে যানবাহন চলাচল করার জন্য তৈরির কথা ছিল একটা আপাতকালীন বিকল্প রাস্তারও। কিন্তু সেতুও হয়নি, হয়নি আপাতকালীন সেই রাস্তাও। এখন সেখানে একটি বাঁশের সাঁকোয় চলছে চলাচল।

উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে মে মাসে ওই স্থানে ৩০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি নতুন সেতু নির্মাণকাজ শুরু হয়। কাজটি শুরু করে শামীম কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এতে ব্যয় ধরা হয় ২ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। চলতি বছরের ডিসেম্বরে ওই কাজ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু সেতুর পাইলিংয়ে দুর্নীতির অভিযোগে স্থানীয় বাসিন্দাদের তোপের মুখে পড়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এতে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এতে এখন পর্যন্ত পুরো প্রকল্পের কাজ হয়েছে ০৫ শতাংশেরও কম।

সরেজমিনে দেখা যায়, মরজাল ইউনিয়নের ঢাকা সিলেট মহাসড়কের দুকুন্দিচর থেকে ভিটিমরজাল হয়ে বেলাব মহাসড়কের সঙ্গে প্রায় ৬ কিলোমিটারের আঞ্চলিক সংযোগ পথে রয়েছে এই সেতুটি। এই সেতু দিয়ে আগে যাতায়াত করত ভিটিমরজাল, দুকন্দিরচরসহ আশপাশের কয়েক গ্রামের মানুষ। এখন সেতু বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে তাঁরা। কৃষিপণ্যের যানগুলোকে মরজাল বাস স্ট্যান্ড হয়ে ৫ থেকে ৬ কিলোমিটার ঘুরে চলাচল করতে হচ্ছে।

মোক্তার হোসেন নামের এক বাসিন্দা বলেন, ‘ঠিকাদারের গাফিলতির কারণেই কাজের এমন দশা। দেড় বছর ধরে কোনো কাজ হচ্ছে না। নতুন সেতু তৈরি না হওয়ায় আমাদের অন্য পথে যাতায়াত করতে হচ্ছে। যানবাহন চলাচলের বিকল্প একটা পথ থাকার কথা। তাও না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে বাঁশের সাঁকোতে চলাচল করতে হচ্ছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।’

ইউপি সদস্য মো. মিলন মিয়া বলেন, সেতুর অভাবে দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। সেতুটি দ্রুত নির্মাণ করা না হলে জনসাধারণের দুর্ভোগ আরও বেড়ে যাবে।

এ ব্যাপারে জানতে মোবাইল ফোনে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. শামীমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তাঁর মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

উপজেলার প্রধান প্রকৌশলী শামীম মুন্না বলেন, ‘কাজ শুরুর পর পাইলিংয়ের কাজে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের অভিযোগের কারণে এক বছর আগে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেতুটির যে কয়টি পিলারের পাইলিং করা হয়েছে সেই সব পাইলিং পরীক্ষা করা হবে। এ জন্য জন্য বুয়েটের প্রকৌশলীকে অবহিত করা হয়েছে। শিগগিরই পরীক্ষা নিরীক্ষার পর আবারও কাজ শুরু করা হবে। আশা করি এক মাস পর কাজ শুরু করতে পারব।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

যুদ্ধের পর এ যেন এক নতুন ইরান, জনগণের মতো বদলে গেছে সরকারও

তেহরান ওপর থেকে সুন্দর, একদিন যেতে চাই: ইরানে বোমা ফেলা ইসরায়েলি পাইলট

ইরানের পরমাণু কর্মসূচিতে ৩০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের কথা ভাবছেন ট্রাম্প

সাইপ্রাসে বিপুল জমি কিনছে ইসরায়েলিরা, দেশ বেদখলের শঙ্কা রাজনীতিবিদদের

হোয়াটসঅ্যাপের ব্যবহার নিষিদ্ধ করল বিমান বাংলাদেশ

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত