নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
বেতন কর্তনের প্রতিবাদ এবং নিয়মবহির্ভূতভাবে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা রহিতকরণের অভিযোগ তুলে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্সরা কর্মবিরতি পালন করেছেন। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে একযোগে আন্দোলন শুরু করেন শতাধিক স্বাস্থ্যকর্মী। তাঁরা তিন ঘণ্টা দায়িত্বপালন থেকে বিরত থাকেন। এতে রোগীরা ভোগান্তিতে পড়ে।
বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী জানান, ১০ থেকে ১২ বছর চাকরি করেও কারও কারও কাঙ্ক্ষিত বেতন বাড়েনি। মাতৃত্বকালীন ছুটি ছয় মাস সরকারি নিয়মে থাকলেও এই হাসপাতালে চার মাস ছুটি দেওয়া হয়। কর্মস্থলে উপস্থিত হতে একটু দেরি হলেই বেতনের টাকা কেটে নেওয়া হয়। দীর্ঘদিন ধরে এমন হয়ে আসছে। তাই কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অতিষ্ঠ হয়ে আন্দোলনে নেমেছেন বলে দাবি করেন তাঁরা। এ সময় আন্দোলনকারীরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দাবি আদায় না হলে আবার চিকিৎসাসেবা বন্ধের হুঁশিয়ারি দেন।
চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে অবস্থিত সবচেয়ে বড় বেসরকারি এই হাসপাতালে ৬৫০টি শয্যা রয়েছে। মা ও শিশুদের জন্য বিশেষ সেবা দিয়ে থাকে হাসপাতালটি। আন্দোলনের কারণে সাধারণ চিকিৎসাসেবা তিন ঘণ্টা বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়ে শত শত রোগী। তবে জরুরি ও নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) সেবা চালু ছিল।
চট্টগ্রামের চকরিয়া থেকে আসা নাজমা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার শিশুর ডায়রিয়াজনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে এসেছি। কিন্তু এসে দেখি সবাই বিক্ষোভ করছেন। সকাল ৯টা থেকে দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষায় ছিলাম। পরে বেলা ১টার দিকে ভর্তি নিয়েছে।’
বহদ্দারহাট থেকে আসা হোসনে আরা বেগম বলেন, ‘মা দুই দিন ধরে অসুস্থ। সাহ্রির পর বেশি খারাপ লাগলে এখানে নিয়ে আসি। সকাল সকাল ভর্তি নিয়ে সিট পেলেও দুপুর পর্যন্ত কোনো চিকিৎসক দেখতে আসেননি।’
আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া একাধিক চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, হঠাৎ করেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বন্ধ করে দিয়েছে। তাঁদের দাবি, অবৈধভাবে বেতন কাটা হয়েছে। এসব বন্ধ করতে হবে। নয়তো কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবেন বলে জানান তাঁরা।
এই বিষয়ে হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম আজাদ বলেন, ‘জরুরি ও আইসিইউ সেবায় সমস্যা হয়নি। বেতন-ভাতাসহ বিভিন্ন দাবিতে সকাল থেকে অনেকেই আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা তাঁদের সঙ্গে বসে বিষয়টি মিটমাট করে নেব।’ এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘করোনার সময় দেরিতে এলেও কোনো টাকা কাটা হয়নি। এখন ১০ দিন দেরির জন্য এক দিনের বেতন কাটছি।’
বেতন কর্তনের প্রতিবাদ এবং নিয়মবহির্ভূতভাবে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা রহিতকরণের অভিযোগ তুলে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্সরা কর্মবিরতি পালন করেছেন। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে একযোগে আন্দোলন শুরু করেন শতাধিক স্বাস্থ্যকর্মী। তাঁরা তিন ঘণ্টা দায়িত্বপালন থেকে বিরত থাকেন। এতে রোগীরা ভোগান্তিতে পড়ে।
বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী জানান, ১০ থেকে ১২ বছর চাকরি করেও কারও কারও কাঙ্ক্ষিত বেতন বাড়েনি। মাতৃত্বকালীন ছুটি ছয় মাস সরকারি নিয়মে থাকলেও এই হাসপাতালে চার মাস ছুটি দেওয়া হয়। কর্মস্থলে উপস্থিত হতে একটু দেরি হলেই বেতনের টাকা কেটে নেওয়া হয়। দীর্ঘদিন ধরে এমন হয়ে আসছে। তাই কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অতিষ্ঠ হয়ে আন্দোলনে নেমেছেন বলে দাবি করেন তাঁরা। এ সময় আন্দোলনকারীরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দাবি আদায় না হলে আবার চিকিৎসাসেবা বন্ধের হুঁশিয়ারি দেন।
চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে অবস্থিত সবচেয়ে বড় বেসরকারি এই হাসপাতালে ৬৫০টি শয্যা রয়েছে। মা ও শিশুদের জন্য বিশেষ সেবা দিয়ে থাকে হাসপাতালটি। আন্দোলনের কারণে সাধারণ চিকিৎসাসেবা তিন ঘণ্টা বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়ে শত শত রোগী। তবে জরুরি ও নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) সেবা চালু ছিল।
চট্টগ্রামের চকরিয়া থেকে আসা নাজমা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার শিশুর ডায়রিয়াজনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে এসেছি। কিন্তু এসে দেখি সবাই বিক্ষোভ করছেন। সকাল ৯টা থেকে দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষায় ছিলাম। পরে বেলা ১টার দিকে ভর্তি নিয়েছে।’
বহদ্দারহাট থেকে আসা হোসনে আরা বেগম বলেন, ‘মা দুই দিন ধরে অসুস্থ। সাহ্রির পর বেশি খারাপ লাগলে এখানে নিয়ে আসি। সকাল সকাল ভর্তি নিয়ে সিট পেলেও দুপুর পর্যন্ত কোনো চিকিৎসক দেখতে আসেননি।’
আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া একাধিক চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, হঠাৎ করেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বন্ধ করে দিয়েছে। তাঁদের দাবি, অবৈধভাবে বেতন কাটা হয়েছে। এসব বন্ধ করতে হবে। নয়তো কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবেন বলে জানান তাঁরা।
এই বিষয়ে হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম আজাদ বলেন, ‘জরুরি ও আইসিইউ সেবায় সমস্যা হয়নি। বেতন-ভাতাসহ বিভিন্ন দাবিতে সকাল থেকে অনেকেই আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা তাঁদের সঙ্গে বসে বিষয়টি মিটমাট করে নেব।’ এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘করোনার সময় দেরিতে এলেও কোনো টাকা কাটা হয়নি। এখন ১০ দিন দেরির জন্য এক দিনের বেতন কাটছি।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪