Ajker Patrika

রোগী রেখে আন্দোলন, ভোগান্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ০৫ এপ্রিল ২০২২, ০৯: ৫০
রোগী রেখে আন্দোলন, ভোগান্তি

বেতন কর্তনের প্রতিবাদ এবং নিয়মবহির্ভূতভাবে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা রহিতকরণের অভিযোগ তুলে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্সরা কর্মবিরতি পালন করেছেন। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে একযোগে আন্দোলন শুরু করেন শতাধিক স্বাস্থ্যকর্মী। তাঁরা তিন ঘণ্টা দায়িত্বপালন থেকে বিরত থাকেন। এতে রোগীরা ভোগান্তিতে পড়ে।

বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী জানান, ১০ থেকে ১২ বছর চাকরি করেও কারও কারও কাঙ্ক্ষিত বেতন বাড়েনি। মাতৃত্বকালীন ছুটি ছয় মাস সরকারি নিয়মে থাকলেও এই হাসপাতালে চার মাস ছুটি দেওয়া হয়। কর্মস্থলে উপস্থিত হতে একটু দেরি হলেই বেতনের টাকা কেটে নেওয়া হয়। দীর্ঘদিন ধরে এমন হয়ে আসছে। তাই কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অতিষ্ঠ হয়ে আন্দোলনে নেমেছেন বলে দাবি করেন তাঁরা। এ সময় আন্দোলনকারীরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দাবি আদায় না হলে আবার চিকিৎসাসেবা বন্ধের হুঁশিয়ারি দেন।

চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে অবস্থিত সবচেয়ে বড় বেসরকারি এই হাসপাতালে ৬৫০টি শয্যা রয়েছে। মা ও শিশুদের জন্য বিশেষ সেবা দিয়ে থাকে হাসপাতালটি। আন্দোলনের কারণে সাধারণ চিকিৎসাসেবা তিন ঘণ্টা বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়ে শত শত রোগী। তবে জরুরি ও নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) সেবা চালু ছিল।

চট্টগ্রামের চকরিয়া থেকে আসা নাজমা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার শিশুর ডায়রিয়াজনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে এসেছি। কিন্তু এসে দেখি সবাই বিক্ষোভ করছেন। সকাল ৯টা থেকে দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষায় ছিলাম। পরে বেলা ১টার দিকে ভর্তি নিয়েছে।’

বহদ্দারহাট থেকে আসা হোসনে আরা বেগম বলেন, ‘মা দুই দিন ধরে অসুস্থ। সাহ্‌রির পর বেশি খারাপ লাগলে এখানে নিয়ে আসি। সকাল সকাল ভর্তি নিয়ে সিট পেলেও দুপুর পর্যন্ত কোনো চিকিৎসক দেখতে আসেননি।’

আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া একাধিক চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, হঠাৎ করেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বন্ধ করে দিয়েছে। তাঁদের দাবি, অবৈধভাবে বেতন কাটা হয়েছে। এসব বন্ধ করতে হবে। নয়তো কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবেন বলে জানান তাঁরা।

এই বিষয়ে হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম আজাদ বলেন, ‘জরুরি ও আইসিইউ সেবায় সমস্যা হয়নি। বেতন-ভাতাসহ বিভিন্ন দাবিতে সকাল থেকে অনেকেই আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা তাঁদের সঙ্গে বসে বিষয়টি মিটমাট করে নেব।’ এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘করোনার সময় দেরিতে এলেও কোনো টাকা কাটা হয়নি। এখন ১০ দিন দেরির জন্য এক দিনের বেতন কাটছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

এনবিআর চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে কর্মকর্তাদের অবস্থান

বন্ধুকে ছাত্রলীগ সাজিয়ে পুলিশে দিয়ে তাঁর প্রেমিকাকে ধর্ষণ করলেন ছাত্রদল নেতা

মানিকগঞ্জে রাতের আঁধারে স্থানান্তর করা বিদ্যালয় ভবন পরিদর্শনে কর্মকর্তারা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত