সম্পাদকীয়
একজন তিব্বতি লামা প্রায়ই আসতেন অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছে। নিয়ে আসতেন দামি দামি পাথর, চায়নিজ জেড, তিব্বতি ছবি আর নানা রকম ধাতুর মূর্তি। যেগুলো পছন্দ হতো, সেগুলো কিনে নিতেন অবনীন্দ্রনাথ।
একবার সেই লামা এলেন অসুস্থ অবস্থায়। নিয়ে এসেছিলেন কিছু দুষ্প্রাপ্য পুঁথি। সেই পুঁথির কদর করতে পারবেন ইম্পেরিয়াল লাইব্রেরির হরিনাথ দে। তাঁর কাছে যেতে বললেন। আর তাঁর নিজের জন্য কী এনেছেন—জানতে চাইলে সেই লামা বের করে দিলেন পলার একটি গণেশ। সেটা ছয়-সাত টাকায় বিক্রি হলো। এরপর বের করলেন একটি নাসদানি। খোদাই করা স্টিলের ওপর সোনার কাজ করা ড্রাগন। খুবই সুন্দর।
‘এটার দাম কত?’ জিজ্ঞেস করলেন অবনীন্দ্র। ‘পঞ্চাশ টাকা।’ বললেন লামা।
দামটা একটু বেশি মনে হলো। তাই নিতে চাইলেন না অবনীন্দ্র। তখন লামা সেটা অবনীন্দ্রের কাছে রেখে দেওয়ার অনুরোধ করে বললেন, বোম্বে যাচ্ছেন টাকা আদায় করতে। এর মধ্যে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর যদি পারেন, সেটা যেন বিক্রির ব্যবস্থা করেন।
সেই লামা আর ফিরে এলেন না। তিনি মারা গিয়েছিলেন এর কয়েক দিনের মধ্যেই। এরপর বছর দুয়েক পর সেই লামার ভাই এসে ভাইয়ের বাকি থাকা টাকা চাইলেন। অবনীন্দ্র জানতেন, এই ভাইটির সঙ্গে ওই লামার বনিবনা ছিল না। তাই তিনি তাঁকে বললেন, ওর স্ত্রী কিংবা ছেলেমেয়েদের আসতে বলো।
এরপর সেই লামার স্ত্রী এলেন। অবনীন্দ্রনাথ সব খুলে বললেন। নাসদানিটা আছে, পঞ্চাশ টাকা দাম চেয়েছিলেন লামা। এখন লামা নেই, তাই তাঁর স্ত্রীর নিশ্চয়ই আরও বেশি টাকার প্রয়োজন। অবনীন্দ্রনাথ তাঁকে সাহায্য করার জন্য সেই নাসদানি কিনে নিতে চাইলেন।
লামার স্ত্রী নাসদানিটা আনতে বললেন। তারপর সেটা জড়িয়ে ধরে কাঁদলেন। বললেন, ‘যার কাছেই বাকি টাকার জন্য গিয়েছি, কেউই আমার স্বামীর কাছ থেকে জিনিস নেওয়ার কথা স্বীকার করেনি। শুধু তুমিই স্বীকার করলে আমার স্বামীর জিনিস তোমার কাছে আছে। আমি এর দাম নেব না।’
সূত্র: অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জোড়াসাঁকোর ধারে, পৃষ্ঠা ৯৩-৯৬
একজন তিব্বতি লামা প্রায়ই আসতেন অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছে। নিয়ে আসতেন দামি দামি পাথর, চায়নিজ জেড, তিব্বতি ছবি আর নানা রকম ধাতুর মূর্তি। যেগুলো পছন্দ হতো, সেগুলো কিনে নিতেন অবনীন্দ্রনাথ।
একবার সেই লামা এলেন অসুস্থ অবস্থায়। নিয়ে এসেছিলেন কিছু দুষ্প্রাপ্য পুঁথি। সেই পুঁথির কদর করতে পারবেন ইম্পেরিয়াল লাইব্রেরির হরিনাথ দে। তাঁর কাছে যেতে বললেন। আর তাঁর নিজের জন্য কী এনেছেন—জানতে চাইলে সেই লামা বের করে দিলেন পলার একটি গণেশ। সেটা ছয়-সাত টাকায় বিক্রি হলো। এরপর বের করলেন একটি নাসদানি। খোদাই করা স্টিলের ওপর সোনার কাজ করা ড্রাগন। খুবই সুন্দর।
‘এটার দাম কত?’ জিজ্ঞেস করলেন অবনীন্দ্র। ‘পঞ্চাশ টাকা।’ বললেন লামা।
দামটা একটু বেশি মনে হলো। তাই নিতে চাইলেন না অবনীন্দ্র। তখন লামা সেটা অবনীন্দ্রের কাছে রেখে দেওয়ার অনুরোধ করে বললেন, বোম্বে যাচ্ছেন টাকা আদায় করতে। এর মধ্যে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর যদি পারেন, সেটা যেন বিক্রির ব্যবস্থা করেন।
সেই লামা আর ফিরে এলেন না। তিনি মারা গিয়েছিলেন এর কয়েক দিনের মধ্যেই। এরপর বছর দুয়েক পর সেই লামার ভাই এসে ভাইয়ের বাকি থাকা টাকা চাইলেন। অবনীন্দ্র জানতেন, এই ভাইটির সঙ্গে ওই লামার বনিবনা ছিল না। তাই তিনি তাঁকে বললেন, ওর স্ত্রী কিংবা ছেলেমেয়েদের আসতে বলো।
এরপর সেই লামার স্ত্রী এলেন। অবনীন্দ্রনাথ সব খুলে বললেন। নাসদানিটা আছে, পঞ্চাশ টাকা দাম চেয়েছিলেন লামা। এখন লামা নেই, তাই তাঁর স্ত্রীর নিশ্চয়ই আরও বেশি টাকার প্রয়োজন। অবনীন্দ্রনাথ তাঁকে সাহায্য করার জন্য সেই নাসদানি কিনে নিতে চাইলেন।
লামার স্ত্রী নাসদানিটা আনতে বললেন। তারপর সেটা জড়িয়ে ধরে কাঁদলেন। বললেন, ‘যার কাছেই বাকি টাকার জন্য গিয়েছি, কেউই আমার স্বামীর কাছ থেকে জিনিস নেওয়ার কথা স্বীকার করেনি। শুধু তুমিই স্বীকার করলে আমার স্বামীর জিনিস তোমার কাছে আছে। আমি এর দাম নেব না।’
সূত্র: অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জোড়াসাঁকোর ধারে, পৃষ্ঠা ৯৩-৯৬
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১৩ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫