Ajker Patrika

প্রশাসনের সঙ্গে বিরোধ, সাত ইউপি চেয়ারম্যানের সভা বর্জন

রামপাল (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
আপডেট : ১১ মার্চ ২০২২, ১৫: ৫৪
প্রশাসনের সঙ্গে বিরোধ, সাত ইউপি চেয়ারম্যানের সভা বর্জন

বাগেরহাটের রামপাল উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা বর্জন করেছেন সাত ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান। কার্যক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে বনিবনা না হওয়াতেই গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে হওয়া এই সভা বর্জন করেন অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় বাইনতলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আব্দুল্লাহ ফকির, হুড়কার ইউপি চেয়ারম্যানের পক্ষে একজন নারী সদস্য ও রাজনগর ইউপি চেয়ারম্যান ছাড়া আর কোনো চেয়ারম্যান উপস্থিতি ছিলেন না।

সভায় পেড়িখালীর ইউপি চেয়ারম্যান হাওলাদার রফিকুল ইসলাম বাবুল, ভোজপাতিয়ার তরফদার মাফুজুল হক টুকু, সদরের মো. নাসির উদ্দিন, উজলকুড়ের মুন্সি বোরহান উদ্দিন জেড, মল্লিকেরবেড়ের তালুকদার ছাব্বির আহম্মেদ, বাঁশতলীর মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল ও গৌরম্ভার মো. রাজিব সরদার অনুপস্থিত ছিলেন।

সভায় উপস্থিত না হওয়ার বিষয়ে পেড়িখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাওলাদার রফিকুল ইসলাম বাবুল বলেন, তিনি গ্রাম আদালতের মাধ্যমে একটি বিষয়ের রায় দিলেও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তা উপেক্ষা করেছেন। তা ছাড়া তাঁর ইউনিয়নে সাংসদ বা মন্ত্রী গেলে তাঁকে জানানো হয় না।

বাঁশতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল বলেন, গিলাতলা বাজারে সুদের ব্যবসা সংক্রান্ত একটি ঘটনা ৫০ হাজার টাকায় সমাধানের চেষ্টা করেন। কিন্তু তা নিয়েও পরে থানায় অভিযোগ করা হয়।

এ বিষয়ে রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুউদ্দীন বলেন, ২০১৩ সালের একটি ব্যাংক চেক ডিজঅনার হলে তা নিয়ে আদালতে মামলা হয়। ওই মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এ অবস্থায় ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল ৫০ হাজার টাকা দিয়ে মীমাংসার প্রস্তাব দেন। ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় অভিযোগকারীর দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে তিনি গিয়ে দোকান খুলে দেন।

এ ছাড়া পেড়িখালী ইউনিয়নে সরকারি রাস্তার জমি নিয়ে চেয়ারম্যানের রায় অমান্য করে এক ব্যক্তি আদালতে মামলা করেছেন। এসব বিষয় নিয়ে তিনি অসন্তোষ হতে পারেন। আদালতে মামলা থাকলে তার বাইরে তাঁর কিছু করার নেই।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কবির হোসেন বলেন, তিন ইউপি চেয়ারম্যানদের সব সভায় চিঠি দিয়ে ও ফোন করে জানান। কোনো সমস্যা থাকলে তাঁরা তাঁকে বললে তিনি সমাধান করার চেষ্টা করবেন। বৃহস্পতিবারের সভায় বাইনতলা ইউপি চেয়ারম্যান, রাজনগর ইউপি চেয়ারম্যান ও হুড়কা ইউপি চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, সব সভা-সমাবেশে তাঁদের (ইউপি চেয়ারম্যান) যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়। কোনো সমস্যা থাকলে তাঁকে জানালে তিনি অবশ্যই দ্রুত সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাকা দিয়ে নারীর চাবুকের ঘা খাচ্ছিলেন পুরুষ, দুজন গ্রেপ্তার

ভারতের সঙ্গে সংঘাতে পাকিস্তানের ভাগ্যনিয়ন্তা সেনাপ্রধান জেনারেল মুনির

প্রবাসীর রেমিট্যান্সের অর্থ আত্মসাৎ, নারী ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে

পাকিস্তানে কীভাবে হামলা চালাতে পারে ভারত, ইতিহাস যা বলছে

আইসিএক্স বাদ দিলে ঝুঁকিতে পড়বে দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব, বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত