করভী রাকসান্দ
সমাজে আমরা যখন তরুণ বয়সে থাকি, স্কুল-কলজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করি, তখন আমাদের আশপাশের মানুষ, সমাজ, দেশের জন্য তথা ভালো কাজের সঙ্গে সংযুক্ত থাকার একটা স্পৃহা থাকে। তবে যে জিনিসটা অনেক পরে আমরা বুঝি, সেটা হচ্ছে ভলান্টিয়ারিংয়ের মাধ্যমে আমরা কত কিছু শিখতে পারি। মানুষের সঙ্গে মেশা, মানুষের সঙ্গে কথা বলা, কীভাবে একটা জিনিস ম্যানেজ করতে হয়, একটা দলকে কীভাবে নেতৃত্ব দিতে হয়, একটা ফান্ড রেইজ কীভাবে করতে হয়, একটা ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কীভাবে করতে হয়, একটা প্রবলেম কীভাবে আইডেনটিফাই করতে হয়—এভাবে আরও কত-কী!
ভলান্টিয়ারিং বলতে মানুষ মূলত ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোকে বোঝায়। ভলান্টিয়ারিং পুরোপুরি একটা ইচ্ছে। সেটা নির্ভর করবে আপনি করতে চান কি না, তার ওপর। এটা করলে আপনি ১০টা জায়গায় যাবেন, ১০ জন মানুষের সঙ্গে মিশবেন, আপনার অভিজ্ঞতাটা আরও ভালো হবে আরও বড় হবে—সমাজের প্রতি, এই পৃথিবীর প্রতি। আমার মতে, প্রত্যেক মানুষেরই ভলান্টিয়ারিং করা উচিত, তার নিজেকে চেনার জন্য, তার কী দক্ষতা রয়েছে, তার কী দুর্বলতা রয়েছে—এটা জানতে। আপনি কাজ করতে গিয়েই এসব অনুধাবন করতে পারবেন। বই পড়ে জ্ঞান সম্পর্কে জানা যায়, তবে জ্ঞানের চর্চার ক্ষেত্রে ভলান্টিয়ারিং গুরুত্বপূর্ণ। আপনি কাজ করছেন, ভুল করছেন, শিখছেন, একটা টিমের সঙ্গে কাজ করছেন, নিজেকে ডেভেলপ করছেন, এটা ভলান্টিয়ারিংয়ে সম্ভব। আর তাই তো শিক্ষাজীবনে ভলান্টিয়ারিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
যে ধরনের কাজ করতে পারেন
যারা ভলান্টিয়ারিংয়ে আসতে চায়, এসব সংগঠনে কাজ করতে চায়, তাদের বলব, ওপেন মাইন্ড নিয়ে আসতে। ওপেন মাইন্ড বলতে বোঝাচ্ছি, আচ্ছা আমি সংগঠনটায় কাজ করব, কিন্তু কাজ করতে গিয়ে তার ভালো লাগল না, সে যেন মন খারাপ না করে বা হতাশ না হয়ে আরেকটা জায়গায় ট্রাই করে। যেমন ধরুন, অনেকে আছে শিশুদের নিয়ে কাজ করতে চায়, অনেকে আছে যারা বৃদ্ধদের নিয়ে কাজ করতে চায়, অনেকে আছে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজ করতে চায় কিংবা নারী ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করতে চায়। কিন্তু কাজ করার পর দেখা যেতে পারে বাচ্চাদের চেয়ে বৃদ্ধদের নিয়ে কাজ করাটা সে আরও বেশি উপভোগ করছে। এ জন্য তার এক্সপ্লোর করা উচিত। নিজের তীব্র আকাঙ্ক্ষাকে শনাক্ত করে সেটাকেই প্রাধান্য দেওয়া উচিত। এর ফলে দায়িত্বসহ অনেক দিন কাজ করা সম্ভব হবে।
ভলান্টিয়ারিংয়ের সুবিধা
আমি যদি একজন ইনট্রোভার্ট মানুষের সঙ্গে কথা বলি, তার রেজাল্ট খুবই ভালো কিন্তু মানুষের সঙ্গে মেশে না একদমই। সে যখন ভলান্টিয়ারিংয়ের সঙ্গে যুক্ত হবে, স্বাভাবিকভাবেই তাকে তো কিছু দায়িত্ব দেওয়া হবে। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই তার প্র্যাকটিসটা শুরু হয়, সে পারুক বা না পারুক, যেহেতু সে ভলান্টিয়ার, দেখা যায় যে একজন সিনিয়র ভলান্টিয়ার বা মেন্টর তাকে শিখিয়ে দিচ্ছেন। একটা চিঠি লেখা, একটা বাজেট করা, একটা পাবলিক স্পিকিং করা—এমন অনেক অপরচুনিটি ভলান্টিয়ারদের দেওয়া হয়ে থাকে, যাতে নেতৃত্বের গুণাবলি বিকাশের মাধ্যমে একটা সময় তারাই লিডার হয়।
বাংলাদেশে সুযোগ কেমন
বাংলাদেশ একটা উন্নয়নশীল দেশ হওয়ায় এখানে ভলান্টিয়ারদের কাজ করার প্রচুর সুযোগ রয়েছে। এখানে অলিতে-গলিতে মানুষ দরকার, যারা ভালো কাজ করতে পারে। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে বৃহৎ পরিসরে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। যেমন ধরুন, ট্রাফিকের সমস্যায় তরুণেরা কাজ করতে পারে। তরুণেরা তো দেখিয়েই দিয়েছে যে তারা রাস্তায় নামলে কী হতে পারে। আন্দোলন ছাড়াও নানাবিধ উপায়ে প্রশাসনকে সহযোগিতা করা যেতে পারে। এ রকম বহু জায়গা আছে বাংলাদেশে ভলান্টিয়ারিং প্র্যাকটিস করার। তবে আমাদের জন্য বেস্ট হবে, এটা সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলের (এসডিজি) ১৭টি লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করতে পারি। ১৭টি জায়গা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে একেকটা জায়গায় একেক রকমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য এটা মাথায় রেখে কাজ করা যেতে পারে যে কোন জেলায় কোনটা গুরুত্বপূর্ণ।
ভলান্টিয়ার প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ
আমরা যদি আমাদের কথা বলি, জাগো ফাউন্ডেশন বা ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ (ভিবিডি)—আমাদের এখন প্রচুর এমপ্লয়ি ভলান্টিয়ার থেকে উঠে এসেছে। বাকি যারা আছে, তারাও ভালো ভালো জায়গায় রয়েছে, বিদেশে গেছে, আর্মিতে গেছে, প্রশাসনে গেছে। বাইরে তো আছেই, সংগঠনের ভেতরেও সবাই চায় নিজের সংগঠনের মানুষকে সম্পৃক্ত করতে। আসলে তার চেয়ে ভালো নিজের মানুষকে কেউ আর চেনে না, তার ক্যাপাসিটি আমি জানি, সে কোথায় ভালো, কোথায় তার দুর্বলতা রয়েছে। অবশ্যই এটা একটা হাই চান্স থাকে, যখন সংগঠনে ভলান্টিয়ারিং করবেন বা ইন্টার্নশিপ করবেন, সেখান থেকে সেই সংগঠনে আলটিমেটলি জয়েন করার।
বিদেশে উচ্চশিক্ষায়
আমেরিকা, কানাডা, ইউকে অস্ট্রেলিয়াসহ ইউরোপে অনেক সময় দেখা যায়, ১০ থেকে শুরু করে শতভাগ স্কলারশিপ শুধু আপনার স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজের ওপর নির্ভর করে। আপনি আসলে একজন তরুণ হিসেবে কতটুকু দেশের জন্য দিয়েছেন, দেশকে দিয়েছেন—সেটার ওপর নির্ভর করে। বিদেশে অনেক জায়গায় কিন্তু এমন রয়েছে যে ভলান্টিয়ারিং করে ক্রেডিট নিতে হবে। ভলান্টিয়ারিং করে যে অভিজ্ঞতাটা আপনি অর্জন করবেন, ক্লাসরুমে বসে কিংবা বই পড়ে সেটা অর্জন করতে পারবেন না।
তরুণ প্রজন্মের প্রতি পরামর্শ
আমাকে একটা সময়ে অনেকে বলত বয়স হোক, এই বয়সে কী দরকার এসব করার? কিন্তু শেষ বয়সে তো আমার ভাবনার, বুদ্ধিমত্তা, শক্তি ও সৃজনশীলতা যেটা আছে, সেটা থাকবে না। তরুণদের উচিত ভেবেচিন্তে কাজ করা এবং একটা কাজে লেগে থাকা। লেগে থাকলে সফলতা আসবেই। আমরা যদি দায়িত্ব নিয়ে আগাই, তবে আমাদের নিজেদের এবং আশপাশের সমাজকে ইম্প্রুভ করতে পারব, আমাদের দেশকে ইম্প্রুভ করতে পারব, সুন্দর একটা পৃথিবী পরবর্তী প্রজন্মের জন্য রেখে যেতে পারব।
অনুলিখন: মো. আশিকুর রহমান
সমাজে আমরা যখন তরুণ বয়সে থাকি, স্কুল-কলজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করি, তখন আমাদের আশপাশের মানুষ, সমাজ, দেশের জন্য তথা ভালো কাজের সঙ্গে সংযুক্ত থাকার একটা স্পৃহা থাকে। তবে যে জিনিসটা অনেক পরে আমরা বুঝি, সেটা হচ্ছে ভলান্টিয়ারিংয়ের মাধ্যমে আমরা কত কিছু শিখতে পারি। মানুষের সঙ্গে মেশা, মানুষের সঙ্গে কথা বলা, কীভাবে একটা জিনিস ম্যানেজ করতে হয়, একটা দলকে কীভাবে নেতৃত্ব দিতে হয়, একটা ফান্ড রেইজ কীভাবে করতে হয়, একটা ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কীভাবে করতে হয়, একটা প্রবলেম কীভাবে আইডেনটিফাই করতে হয়—এভাবে আরও কত-কী!
ভলান্টিয়ারিং বলতে মানুষ মূলত ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোকে বোঝায়। ভলান্টিয়ারিং পুরোপুরি একটা ইচ্ছে। সেটা নির্ভর করবে আপনি করতে চান কি না, তার ওপর। এটা করলে আপনি ১০টা জায়গায় যাবেন, ১০ জন মানুষের সঙ্গে মিশবেন, আপনার অভিজ্ঞতাটা আরও ভালো হবে আরও বড় হবে—সমাজের প্রতি, এই পৃথিবীর প্রতি। আমার মতে, প্রত্যেক মানুষেরই ভলান্টিয়ারিং করা উচিত, তার নিজেকে চেনার জন্য, তার কী দক্ষতা রয়েছে, তার কী দুর্বলতা রয়েছে—এটা জানতে। আপনি কাজ করতে গিয়েই এসব অনুধাবন করতে পারবেন। বই পড়ে জ্ঞান সম্পর্কে জানা যায়, তবে জ্ঞানের চর্চার ক্ষেত্রে ভলান্টিয়ারিং গুরুত্বপূর্ণ। আপনি কাজ করছেন, ভুল করছেন, শিখছেন, একটা টিমের সঙ্গে কাজ করছেন, নিজেকে ডেভেলপ করছেন, এটা ভলান্টিয়ারিংয়ে সম্ভব। আর তাই তো শিক্ষাজীবনে ভলান্টিয়ারিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
যে ধরনের কাজ করতে পারেন
যারা ভলান্টিয়ারিংয়ে আসতে চায়, এসব সংগঠনে কাজ করতে চায়, তাদের বলব, ওপেন মাইন্ড নিয়ে আসতে। ওপেন মাইন্ড বলতে বোঝাচ্ছি, আচ্ছা আমি সংগঠনটায় কাজ করব, কিন্তু কাজ করতে গিয়ে তার ভালো লাগল না, সে যেন মন খারাপ না করে বা হতাশ না হয়ে আরেকটা জায়গায় ট্রাই করে। যেমন ধরুন, অনেকে আছে শিশুদের নিয়ে কাজ করতে চায়, অনেকে আছে যারা বৃদ্ধদের নিয়ে কাজ করতে চায়, অনেকে আছে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজ করতে চায় কিংবা নারী ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করতে চায়। কিন্তু কাজ করার পর দেখা যেতে পারে বাচ্চাদের চেয়ে বৃদ্ধদের নিয়ে কাজ করাটা সে আরও বেশি উপভোগ করছে। এ জন্য তার এক্সপ্লোর করা উচিত। নিজের তীব্র আকাঙ্ক্ষাকে শনাক্ত করে সেটাকেই প্রাধান্য দেওয়া উচিত। এর ফলে দায়িত্বসহ অনেক দিন কাজ করা সম্ভব হবে।
ভলান্টিয়ারিংয়ের সুবিধা
আমি যদি একজন ইনট্রোভার্ট মানুষের সঙ্গে কথা বলি, তার রেজাল্ট খুবই ভালো কিন্তু মানুষের সঙ্গে মেশে না একদমই। সে যখন ভলান্টিয়ারিংয়ের সঙ্গে যুক্ত হবে, স্বাভাবিকভাবেই তাকে তো কিছু দায়িত্ব দেওয়া হবে। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই তার প্র্যাকটিসটা শুরু হয়, সে পারুক বা না পারুক, যেহেতু সে ভলান্টিয়ার, দেখা যায় যে একজন সিনিয়র ভলান্টিয়ার বা মেন্টর তাকে শিখিয়ে দিচ্ছেন। একটা চিঠি লেখা, একটা বাজেট করা, একটা পাবলিক স্পিকিং করা—এমন অনেক অপরচুনিটি ভলান্টিয়ারদের দেওয়া হয়ে থাকে, যাতে নেতৃত্বের গুণাবলি বিকাশের মাধ্যমে একটা সময় তারাই লিডার হয়।
বাংলাদেশে সুযোগ কেমন
বাংলাদেশ একটা উন্নয়নশীল দেশ হওয়ায় এখানে ভলান্টিয়ারদের কাজ করার প্রচুর সুযোগ রয়েছে। এখানে অলিতে-গলিতে মানুষ দরকার, যারা ভালো কাজ করতে পারে। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে বৃহৎ পরিসরে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। যেমন ধরুন, ট্রাফিকের সমস্যায় তরুণেরা কাজ করতে পারে। তরুণেরা তো দেখিয়েই দিয়েছে যে তারা রাস্তায় নামলে কী হতে পারে। আন্দোলন ছাড়াও নানাবিধ উপায়ে প্রশাসনকে সহযোগিতা করা যেতে পারে। এ রকম বহু জায়গা আছে বাংলাদেশে ভলান্টিয়ারিং প্র্যাকটিস করার। তবে আমাদের জন্য বেস্ট হবে, এটা সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলের (এসডিজি) ১৭টি লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করতে পারি। ১৭টি জায়গা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে একেকটা জায়গায় একেক রকমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য এটা মাথায় রেখে কাজ করা যেতে পারে যে কোন জেলায় কোনটা গুরুত্বপূর্ণ।
ভলান্টিয়ার প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ
আমরা যদি আমাদের কথা বলি, জাগো ফাউন্ডেশন বা ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ (ভিবিডি)—আমাদের এখন প্রচুর এমপ্লয়ি ভলান্টিয়ার থেকে উঠে এসেছে। বাকি যারা আছে, তারাও ভালো ভালো জায়গায় রয়েছে, বিদেশে গেছে, আর্মিতে গেছে, প্রশাসনে গেছে। বাইরে তো আছেই, সংগঠনের ভেতরেও সবাই চায় নিজের সংগঠনের মানুষকে সম্পৃক্ত করতে। আসলে তার চেয়ে ভালো নিজের মানুষকে কেউ আর চেনে না, তার ক্যাপাসিটি আমি জানি, সে কোথায় ভালো, কোথায় তার দুর্বলতা রয়েছে। অবশ্যই এটা একটা হাই চান্স থাকে, যখন সংগঠনে ভলান্টিয়ারিং করবেন বা ইন্টার্নশিপ করবেন, সেখান থেকে সেই সংগঠনে আলটিমেটলি জয়েন করার।
বিদেশে উচ্চশিক্ষায়
আমেরিকা, কানাডা, ইউকে অস্ট্রেলিয়াসহ ইউরোপে অনেক সময় দেখা যায়, ১০ থেকে শুরু করে শতভাগ স্কলারশিপ শুধু আপনার স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজের ওপর নির্ভর করে। আপনি আসলে একজন তরুণ হিসেবে কতটুকু দেশের জন্য দিয়েছেন, দেশকে দিয়েছেন—সেটার ওপর নির্ভর করে। বিদেশে অনেক জায়গায় কিন্তু এমন রয়েছে যে ভলান্টিয়ারিং করে ক্রেডিট নিতে হবে। ভলান্টিয়ারিং করে যে অভিজ্ঞতাটা আপনি অর্জন করবেন, ক্লাসরুমে বসে কিংবা বই পড়ে সেটা অর্জন করতে পারবেন না।
তরুণ প্রজন্মের প্রতি পরামর্শ
আমাকে একটা সময়ে অনেকে বলত বয়স হোক, এই বয়সে কী দরকার এসব করার? কিন্তু শেষ বয়সে তো আমার ভাবনার, বুদ্ধিমত্তা, শক্তি ও সৃজনশীলতা যেটা আছে, সেটা থাকবে না। তরুণদের উচিত ভেবেচিন্তে কাজ করা এবং একটা কাজে লেগে থাকা। লেগে থাকলে সফলতা আসবেই। আমরা যদি দায়িত্ব নিয়ে আগাই, তবে আমাদের নিজেদের এবং আশপাশের সমাজকে ইম্প্রুভ করতে পারব, আমাদের দেশকে ইম্প্রুভ করতে পারব, সুন্দর একটা পৃথিবী পরবর্তী প্রজন্মের জন্য রেখে যেতে পারব।
অনুলিখন: মো. আশিকুর রহমান
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫