Ajker Patrika

ঠান্ডাজনিত রোগী বাড়ছে

পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০২১, ১৬: ১৭
ঠান্ডাজনিত রোগী বাড়ছে

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় হঠাৎ করেই ঠান্ডাজনিত রোগী বেড়ে গেছে। প্রতিদিনই বাড়ছে জ্বর, সর্দি-কাশি, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা। ওষুধের দোকান, কমিউনিটি ক্লিনিক কিংবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বাড়ছে এসব রোগীর ভিড়। আবার কেউ ছুটছেন সদর আধুনিক হাসপাতালে। শিশু থেকে বৃদ্ধ সব বয়সের মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন এসব রোগে।

উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের কয়েকজন চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ ধরে জ্বর ও সর্দি-কাশিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যাও। তবে শিশুরা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে এসব রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। দিনে গরম আর সন্ধ্যার পর হালকা ঠান্ডা এসব রোগের কারণ।

ওষুধের দোকান, কমিউনিটি ক্লিনিক কিংবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে সেরে উঠছেন অনেকে। যাঁদের সেরে উঠতে সময় লাগছে, তাঁরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে। যাঁদের অবস্থা একটু খারাপের দিকে তাঁদের পাঠানো হচ্ছে কিশোরগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক দিন বহির্বিভাগে যাঁরা চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন তাঁদের বেশির ভাগই ঠান্ডাজনিত রোগে ভুগছেন। গড়ে প্রতিদিন ৪৫০-৫০০ জন উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের বেশির ভাগই জ্বর, সর্দি-কাশি, ডায়রিয়া কিংবা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। যাঁরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সেরে উঠছেন না, তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কেউবা আবার ভর্তি হচ্ছেন।

পৌর শহরের শ্রীরামদী গ্রামের নাজমুল হক বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে জ্বর, সর্দির সঙ্গে শ্বাসকষ্টে ভুগছিলাম। চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খেয়ে এখন অনেকটাই সুস্থবোধ করছি।’

স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা উপজেলার বাহাদিয়া গ্রামের মাসুদ মিয়া বলেন, কয়েক দিন বারবার ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। এতে শরীর অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে। তাই হাসপাতালে এসেছেন।

শ্রীরামদী গ্রামের বৃদ্ধ মর্তুজা বলেন, কয়েক দিন ধরে তাঁর দুই বছর বয়সী নাতি সর্দি-কাশিতে ভুগছে। পরে জেলা হাসপাতালে গিয়ে পরীক্ষা করিয়ে জানতে পারেন, সে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে চিকিৎসা নিয়ে এখন সুস্থ।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শারমিন শাহনাজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, মৌসুমজনিত কারণে জ্বর, সর্দি-কাশিতে আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। প্রতিদিনই ঠান্ডাজ্বরে আক্রান্ত অনেকেই চিকিৎসা নিতে আসছেন। স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসাসেবা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন। যাঁদের অবস্থা খারাপ মনে হচ্ছে, তাঁদের জেলা হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। তবে মৌসুমের এ সময়ে শিশুদের প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে অভিভাবকদের অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ফোন-ইন্টারনেট ভাতা পাচ্ছেন মাঠ প্রশাসনের সব কর্মচারী

ভাড়া বাড়িতে চলা ১৬ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিসহ সব শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ

পিপির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব ৪৯ জন সহকারী পিপির

জোবাইদার নিরাপত্তার নামে প্রতিবেশীদের বিরক্ত না করার নির্দেশ তারেক রহমানের

শান্ত যে কারণে টি-টোয়েন্টি দলে, মিরাজ কেন নেই

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত