আয়নাল হোসেন, ঢাকা
এত এত রোগী দেখে মনে হবে ব্যস্ত কোনো ক্লিনিক। না-জানি কত ভালো যন্ত্রপাতি, কত ভালো চিকিৎসা! ক্লিনিকটির নাগরিক সেবা তালিকায়ও লেখা রয়েছে নানা প্রতিশ্রুতি। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, এখানে রোগীরা শুধু ওষুধ নিতে আসেন। কারণ, সেবার লম্বা তালিকা ঝুললেও বাস্তবে নেই সব যন্ত্রপাতির অস্তিত্ব, নেই পর্যাপ্ত লোকবলও। যথাযথ নজরদারির অভাবে ক্লিনিকটির এই দুরবস্থা। যেখানে ক্লিনিক হিসেবে প্রাথমিক চিকিৎসা অপ্রতুল বলে অভিযোগ উঠেছে।
বাংলাদেশ সচিবালয় ক্লিনিকের বর্তমান চিত্র এটি। স্থানীয় কর্মকর্তাদের দাবি, ক্লিনিকটিতে ওষুধ সরবরাহের পাশাপাশি চিকিৎসাব্যবস্থার মান উন্নয়ন করা হোক। সরেজমিন দেখা যায়, সচিবালয়ের বাইরে দক্ষিণ পাশে সার্বক্ষণিক একটি অ্যাম্বুলেন্স পড়ে থাকে। যেটির একমাত্র চালক আবার প্রেষণে। সেবার তালিকায় লেখা থাকলেও বাস্তবে এখানে ইকোকার্ডিওগ্রাফি কিংবা এক্স-রে কিছুই করা হয় না। ওষুধ সংরক্ষণে নেই আধুনিক স্টোরেজব্যবস্থা। নেই কোনো শয্যা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ক্লিনিকটির এক কর্মকর্তা জানান, এখানের প্যাথলজিতে প্রতিদিন গড়ে পরীক্ষার জন্য রোগী আসেন ২০-২৫ জন। অথচ ওষুধ নিতে আসেন ৫০০-৬০০ জন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, একদিন হঠাৎ করে তিনি বুকে খুব ব্যথা অনুভব করেন। সহকর্মীরা তাঁকে দ্রুত ক্লিনিকে নিয়ে যান। সেখানে একবার ইসিজি করান। কিন্তু অস্পষ্ট হওয়ায় সেটা কোনো কাজে আসেনি। পরে জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউটে গিয়ে ইসিজি, ইকোকার্ডিওগ্রাফি ও ইটিটি করান তিনি। ১৯৮৫ সালের ৯ জানুয়ারি তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ও প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক লেফটেন্যান্ট জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ কর্তৃক সচিবালয় ক্লিনিকের উদ্বোধন করা হয়। ক্লিনিকটিতে অনুমোদিত পদ রয়েছে ৫৫টি। এর মধ্যে চিকিৎসকসহ ৯টি পদ শূন্য ও প্রেষণে।
ক্লিনিকের ফার্মাসিস্টরা জানান, সপ্তাহে পাঁচ দিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করতে হয়। কমপক্ষে ১০ জন ফার্মাসিস্ট দরকার হলেও আছেন মাত্র ৫ জন।
ওষুধ নিয়ে তাঁরা বলেন, ক্লিনিকটি থেকে ১২৮ ধরনের ওষুধ বিনা মূল্যে দেওয়া হয়। সপ্তাহের ৫ দিনে শুধু ওমিপ্রাজল ট্যাবলেট ৮০ হাজার দেওয়া হচ্ছে। তা ছাড়া, অ্যান্টিবায়োটিকসহ নানা ধরনের ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। তবে এখানে ইনজেকশনজাতীয় কোনো ওষুধ নেই। বর্তমানে বছরে ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকার ওষুধ দেওয়া হচ্ছে।
সচিবালয়ের কর্মকর্তারা জানান, ক্লিনিকে লোকবল, জায়গা ও যন্ত্রপাতির যথেষ্ট অভাব রয়েছে। বিশেষজ্ঞ কয়েকটি বিভাগের চিকিৎসক থাকলেও মূলত রোগ নির্ণয় যন্ত্রপাতি ও চিকিৎসা সরঞ্জাম না থাকায় তাঁরা তেমন ভূমিকা রাখতে পারছেন না। এখানে তীব্র জায়গা সংকটও রয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) অধ্যাপক ডা. ফরিদ হোসেন বলেন, ‘সচিবালয় ক্লিনিকটি মূলত মন্ত্রণালয় থেকেই পরিচালিত হয়। তবে লোকবলসহ অন্যান্য কিছু সহায়তা আমরা করে থাকি। সচিবালয়ের পক্ষ থেকে যদি আমাদের জানানো হয়, তবে অবশ্যই আমরা যেকোনো সহায়তা দেব।’
এত এত রোগী দেখে মনে হবে ব্যস্ত কোনো ক্লিনিক। না-জানি কত ভালো যন্ত্রপাতি, কত ভালো চিকিৎসা! ক্লিনিকটির নাগরিক সেবা তালিকায়ও লেখা রয়েছে নানা প্রতিশ্রুতি। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, এখানে রোগীরা শুধু ওষুধ নিতে আসেন। কারণ, সেবার লম্বা তালিকা ঝুললেও বাস্তবে নেই সব যন্ত্রপাতির অস্তিত্ব, নেই পর্যাপ্ত লোকবলও। যথাযথ নজরদারির অভাবে ক্লিনিকটির এই দুরবস্থা। যেখানে ক্লিনিক হিসেবে প্রাথমিক চিকিৎসা অপ্রতুল বলে অভিযোগ উঠেছে।
বাংলাদেশ সচিবালয় ক্লিনিকের বর্তমান চিত্র এটি। স্থানীয় কর্মকর্তাদের দাবি, ক্লিনিকটিতে ওষুধ সরবরাহের পাশাপাশি চিকিৎসাব্যবস্থার মান উন্নয়ন করা হোক। সরেজমিন দেখা যায়, সচিবালয়ের বাইরে দক্ষিণ পাশে সার্বক্ষণিক একটি অ্যাম্বুলেন্স পড়ে থাকে। যেটির একমাত্র চালক আবার প্রেষণে। সেবার তালিকায় লেখা থাকলেও বাস্তবে এখানে ইকোকার্ডিওগ্রাফি কিংবা এক্স-রে কিছুই করা হয় না। ওষুধ সংরক্ষণে নেই আধুনিক স্টোরেজব্যবস্থা। নেই কোনো শয্যা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ক্লিনিকটির এক কর্মকর্তা জানান, এখানের প্যাথলজিতে প্রতিদিন গড়ে পরীক্ষার জন্য রোগী আসেন ২০-২৫ জন। অথচ ওষুধ নিতে আসেন ৫০০-৬০০ জন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, একদিন হঠাৎ করে তিনি বুকে খুব ব্যথা অনুভব করেন। সহকর্মীরা তাঁকে দ্রুত ক্লিনিকে নিয়ে যান। সেখানে একবার ইসিজি করান। কিন্তু অস্পষ্ট হওয়ায় সেটা কোনো কাজে আসেনি। পরে জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউটে গিয়ে ইসিজি, ইকোকার্ডিওগ্রাফি ও ইটিটি করান তিনি। ১৯৮৫ সালের ৯ জানুয়ারি তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ও প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক লেফটেন্যান্ট জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ কর্তৃক সচিবালয় ক্লিনিকের উদ্বোধন করা হয়। ক্লিনিকটিতে অনুমোদিত পদ রয়েছে ৫৫টি। এর মধ্যে চিকিৎসকসহ ৯টি পদ শূন্য ও প্রেষণে।
ক্লিনিকের ফার্মাসিস্টরা জানান, সপ্তাহে পাঁচ দিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করতে হয়। কমপক্ষে ১০ জন ফার্মাসিস্ট দরকার হলেও আছেন মাত্র ৫ জন।
ওষুধ নিয়ে তাঁরা বলেন, ক্লিনিকটি থেকে ১২৮ ধরনের ওষুধ বিনা মূল্যে দেওয়া হয়। সপ্তাহের ৫ দিনে শুধু ওমিপ্রাজল ট্যাবলেট ৮০ হাজার দেওয়া হচ্ছে। তা ছাড়া, অ্যান্টিবায়োটিকসহ নানা ধরনের ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। তবে এখানে ইনজেকশনজাতীয় কোনো ওষুধ নেই। বর্তমানে বছরে ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকার ওষুধ দেওয়া হচ্ছে।
সচিবালয়ের কর্মকর্তারা জানান, ক্লিনিকে লোকবল, জায়গা ও যন্ত্রপাতির যথেষ্ট অভাব রয়েছে। বিশেষজ্ঞ কয়েকটি বিভাগের চিকিৎসক থাকলেও মূলত রোগ নির্ণয় যন্ত্রপাতি ও চিকিৎসা সরঞ্জাম না থাকায় তাঁরা তেমন ভূমিকা রাখতে পারছেন না। এখানে তীব্র জায়গা সংকটও রয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) অধ্যাপক ডা. ফরিদ হোসেন বলেন, ‘সচিবালয় ক্লিনিকটি মূলত মন্ত্রণালয় থেকেই পরিচালিত হয়। তবে লোকবলসহ অন্যান্য কিছু সহায়তা আমরা করে থাকি। সচিবালয়ের পক্ষ থেকে যদি আমাদের জানানো হয়, তবে অবশ্যই আমরা যেকোনো সহায়তা দেব।’
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৬ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৭ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৭ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫