Ajker Patrika

গ্রন্থাগার আছে, পাঠক নেই

কামারখন্দ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ১০ অক্টোবর ২০২১, ২২: ৪০
গ্রন্থাগার আছে, পাঠক নেই

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার পাবলিক লাইব্রেরি। বই পড়া, খেলাধুলা, বিতর্কচর্চা, আবৃত্তি, সাহিত্যচর্চা, লেখালেখি, সংগঠনসহ নানা সৃজনশীল কাজে পাঠকদের আগ্রহী করে তুলতে উপজেলায় এই পাবলিক লাইব্রেরি গড়ে তোলা হয়েছিল।

তবে লাইব্রেরিতে এখন আর তেমন পাঠক দেখা যায় না। দীর্ঘদিন ধরে বইগুলোও পড়ে আছে অবহেলায়।

লাইব্রেরি-সংশ্লিষ্ট ও বইপ্রেমীরা জানান, মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় বইয়ের প্রতি আগ্রহ হারিয়েছেন পাঠকেরা। তবে বই পড়ার বিভিন্ন প্রতিযোগিতা আয়োজন করে পাঠকদের ফিরিয়ে আনা সম্ভব বলে তাঁরা মনে করেন।

একটা সময় এই পাঠাগারে পাঠকসংখ্যা ছিল প্রায় ১ হাজার ৬০০। বইয়ের সংখ্যা ছিল সাড়ে ৩ হাজার। বর্তমানে পাঠকসংখ্যা ৪০ থেকে ৫০। তা-ও অনিয়ম। আর বই রয়েছে মাত্র ২ হাজার। এর মধ্যে আছে গল্প, উপন্যাস, কবিতা, ধর্মীয় ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই। অভিধানসহ ইংরেজি ভাষারও বেশ কিছু বই এখানে আছে।

লাইব্রেরিয়ান আশিক সরকার বলেন, এখানে একসঙ্গে ৫০ জন পাঠকের (শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত) ভালো পরিবেশে বসে বই পড়ার ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত পাঠাগার খোলা থাকে। নতুন সদস্যদের বা ছাত্রছাত্রীদের জন্য ভর্তি ফি ২০ টাকা। মাসিক ১০ টাকা করে নেওয়া হয়। তবে কোনো সদস্য বা পাঠকের মাসিক টাকা দেওয়া সমস্যা হলে তাঁর টাকা নেওয়া হয় না।

বইপ্রেমিক ইমরান হুসাইন বলেন, ‘একজন শিক্ষিত মানুষের কাছে বইয়ের গুরুত্ব অপরিসীম। বই চিন্তার খোরাক জোগায়। যেখানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চিন্তার খোরাক খুবই কম। তাই বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই। তবে পাঠক বাড়ানোর জন্য বই পড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কারের ব্যবস্থা করতে হবে।’

কামারখন্দ পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া জানান, পাঠ্য বইয়ের বাইরে অন্য বই পড়ার প্রবণতা কমে যাওয়া, স্মার্টফোন ও ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা পাঠক কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইসরায়েলে ২০ লাখ রুশভাষীর বাস, রাশিয়াকে তাঁদের কথা ভাবতে হয়: পুতিন

ইরানের পতন হলে, এরপরই রাশিয়া—অভিমত রুশ বিশ্লেষকদের

হরমুজ প্রণালিতে প্রবেশ করে ইউটার্ন নিল দুটি জাহাজ

লাইভ-২ (২৩ জুন, ২০২৫) ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কাঁপল ইসরায়েল, তেহরানে ভয়াবহ বিস্ফোরণ

চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি থেকে বিদায় নিচ্ছে সাইফ পাওয়ারটেক

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত