Ajker Patrika

স্থূলতা যখন মহামারি

অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী
স্থূলতা যখন মহামারি

আজ ৪ মার্চ, বিশ্ব স্থূলতা দিবস। বিষয়টির প্রতি সচেতনতা বাড়ানো এবং সেটি নিয়ন্ত্রণের জন্যই দিবসটি পালিত হয় পুরো পৃথিবীতে। স্থূলতা বিষয়ে কিছু পরিসংখ্যান জেনে রাখা ভালো।

২০৩৫ সালে প্রায় ১৯০ কোটি মানুষ  স্থূল হবে। একই সময়ে স্থূলতার জন্য চিকিৎসায় ব্যয় হবে ৪ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলার। আর শিশু স্থূলতার হার ২০২০ থেকে ২০৩৫ সালের মধ্যে বেড়ে যাবে শতভাগ। আরও কথা আছে। ২০৩৫ সালের মধ্যে আমরা প্রতি চারজনে একজন হব স্থূল।

এ বছর স্থূলতা দিবস পালনের স্লোগান হলো ‘দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাই, চলুন, কথা বলি স্থূলতা নিয়ে’।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা স্থূলতার সংজ্ঞা দিয়েছে, অতিরিক্ত বা অস্বাভাবিক চর্বি দেহে জমা হওয়া, যা স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি তৈরি করে। একে পরিমাপের উপায় হলো বিএমআই বা বডি মাস ইনডেক্স। আবার আছে কোমরের মাপ ও উচ্চতা। স্থূলতা একটি বড় স্বাস্থ্যঝুঁকি। এটি থাকলে হতে পারে হৃদ্‌রোগ, ক্যানসার, ডায়াবেটিস। আর অবশ্যই কোভিড-১৯ জটিলতার এক বড় ঝুঁকি হলো স্থূলতা।

স্থূলতা একটি রোগ বটে। তবে এর পেছনে আছে নানান উপাদান, যেমন বায়োলজি, মানসিক স্বাস্থ্য, জেনেটিক ঝুঁকি, পরিবেশ স্বাস্থ্যসেবায় অভিগম্যতা, অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড ও আলট্রা প্রসেস করা খাদ্য গ্রহণ। ব্যায়াম করা আর কম খাওয়াই এর একমাত্র ব্যবস্থাপত্র নয়। কেবল ধনী দেশের রোগ নয়, উন্নয়নশীল দেশেও এটি বাড়ছে। 

স্থূলতার কারণ

  • কিছু মানসিক অসুখের কারণে ওজন বাড়ে। 
  • বিভিন্ন ওষুধও ঘটাতে পারে ওজন বাড়ানোর মতো ঘটনা। 
  • ঘুম না হলে, মানসিক চাপ হলে ওজন বাড়তে পারে। আমাদের জিনে ওজন বাড়ার জন্য ৪০ থেকে ৭০ শতাংশ প্রবণতা থাকতে পারে। 
  • খাবার বাজারজাতকরণের প্রভাব পড়ে ওজনের ওপর। 
  • ওজন নিয়ে সংস্কার ওজন বাড়ার কাজ করতে পারে। 

সুস্থ থাকতে যা করতে পারেন

  • প্রতিদিন ব্যায়াম করে সচল থাকুন। 
  • ফল, সবজি, আঁশ, মাছের তেল ও কম শর্করাযুক্ত খাবার খান।
  • ফাস্ট ফুড ও সোডা পান বাদ দিন।  
  • শুয়ে-বসে থাকা জীবন বাদ দিন।

অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী, সাবেক অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত