রবিউল আলম, ঢাকা
দেড় বছর কার্যত বন্ধ থাকার পর সবে একটু একটু করে চালু হচ্ছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সশরীরে শ্রেণিকার্যক্রম। কিন্তু করোনা সংক্রমণ আবার যে হারে বাড়তে শুরু করেছে, তাতে কত দিন এটা চালু রাখা যাবে, তা নিয়ে শঙ্কা জাগছে। যদিও সরকার বলছে, পরিস্থিতি একেবারে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না গেলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত বিবেচনা করা হচ্ছে না।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবমতে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা শনাক্ত হয়েছে সাড়ে ৯ হাজারের বেশি। আর সংক্রমণের হার ২৫ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। এক সপ্তাহে রোগী বেড়েছে ২২৮ শতাংশ।
করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ৩০ দিনের জন্য সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনলাইনে ক্লাস করানোর নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ গতকাল বুধবার এই আবেদন করেন। আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মুনিরুজ্জামানের বেঞ্চে এই বিষয়ে শুনানি হবে বলে জানান তিনি।
এই পরিস্থিতিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) সশরীর ক্লাস বন্ধ করে অনলাইনে শ্রেণিকার্যক্রম শুরু করেছে। পাশাপাশি ঢাকা, জগন্নাথ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী নানা নির্দেশনা জারি করেছে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় প্রস্তুত আছে অনলাইনে আবার পুরোদমে ক্লাস শুরুর জন্য। কিন্তু সরকার যেহেতু এখনই সশরীরে ক্লাস বন্ধ করতে চাইছে না, তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো অপেক্ষায় আছে সরকারি সিদ্ধান্তের।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) এ এস এম মাকসুদ সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এখন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগ-ইনস্টিটিউটগুলো চাইলে অনলাইনে ক্লাস নিতে পারবে।
তবে শিক্ষার্থীদের বড় অংশ সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা চালু রাখার পক্ষে, কারণ এখনো অনেকের পরীক্ষা চলমান। তাই এখনই অনলাইনে চলে গেলে তারা আবারও শিক্ষাজটে পড়তে পারে। তবে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় শিক্ষার্থীদের আরেকটা অংশ অনলাইন শিক্ষা-কার্যক্রম পরিচালনারও দাবি জানিয়েছে।
তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এখনই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের চিন্তা নেই। কারণ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হলে ১২ থেকে ১৭ বছরের শিক্ষার্থীদের টিকা দিতে সমস্যা হবে। অবস্থার পরিবর্তনের ফলে যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও করোনা ছড়িয়ে পড়ে এবং যদি দেখা যায় আমরা ক্লাস চালু রাখা সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে অনলাইনে যেতে হতে পারে বলে গত মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এখনো বন্ধের কথা ভাবছি না। কারণ, করোনা এমনভাবে ছড়িয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীরা বাড়িতে থাকলেও সংক্রমিত হতে পারে।’
এদিকে সব শিক্ষার্থীকে টিকার আওতায় আনতে জোরেশোরে কাজ চলছে টিকাদান কার্যক্রম। গত সোমবার পর্যন্ত ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৮৫ লাখ শিক্ষার্থী টিকা নিয়েছে। অন্যদিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রায় ৯৫ শতাংশ শিক্ষার্থী করোনার টিকা নিয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. এম তারিক আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাস্তবতা হলো আমাদের দেশের যে শিক্ষাকাঠামো, সেখানে এখনই যদি পুরোপুরি অনলাইনে চলে যাই তাহলে সব শিক্ষার্থী অনলাইনের সুবিধা নিতে পারবে না। এ জন্য আমাদের ব্লেন্ডেড (একই সঙ্গে অফলাইন-অনলাইন শিক্ষা) পদ্ধতিতে যাওয়া দরকার।’
দেড় বছর কার্যত বন্ধ থাকার পর সবে একটু একটু করে চালু হচ্ছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সশরীরে শ্রেণিকার্যক্রম। কিন্তু করোনা সংক্রমণ আবার যে হারে বাড়তে শুরু করেছে, তাতে কত দিন এটা চালু রাখা যাবে, তা নিয়ে শঙ্কা জাগছে। যদিও সরকার বলছে, পরিস্থিতি একেবারে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না গেলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত বিবেচনা করা হচ্ছে না।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবমতে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা শনাক্ত হয়েছে সাড়ে ৯ হাজারের বেশি। আর সংক্রমণের হার ২৫ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। এক সপ্তাহে রোগী বেড়েছে ২২৮ শতাংশ।
করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ৩০ দিনের জন্য সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনলাইনে ক্লাস করানোর নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ গতকাল বুধবার এই আবেদন করেন। আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মুনিরুজ্জামানের বেঞ্চে এই বিষয়ে শুনানি হবে বলে জানান তিনি।
এই পরিস্থিতিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) সশরীর ক্লাস বন্ধ করে অনলাইনে শ্রেণিকার্যক্রম শুরু করেছে। পাশাপাশি ঢাকা, জগন্নাথ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী নানা নির্দেশনা জারি করেছে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় প্রস্তুত আছে অনলাইনে আবার পুরোদমে ক্লাস শুরুর জন্য। কিন্তু সরকার যেহেতু এখনই সশরীরে ক্লাস বন্ধ করতে চাইছে না, তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো অপেক্ষায় আছে সরকারি সিদ্ধান্তের।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) এ এস এম মাকসুদ সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এখন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগ-ইনস্টিটিউটগুলো চাইলে অনলাইনে ক্লাস নিতে পারবে।
তবে শিক্ষার্থীদের বড় অংশ সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা চালু রাখার পক্ষে, কারণ এখনো অনেকের পরীক্ষা চলমান। তাই এখনই অনলাইনে চলে গেলে তারা আবারও শিক্ষাজটে পড়তে পারে। তবে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় শিক্ষার্থীদের আরেকটা অংশ অনলাইন শিক্ষা-কার্যক্রম পরিচালনারও দাবি জানিয়েছে।
তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এখনই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের চিন্তা নেই। কারণ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হলে ১২ থেকে ১৭ বছরের শিক্ষার্থীদের টিকা দিতে সমস্যা হবে। অবস্থার পরিবর্তনের ফলে যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও করোনা ছড়িয়ে পড়ে এবং যদি দেখা যায় আমরা ক্লাস চালু রাখা সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে অনলাইনে যেতে হতে পারে বলে গত মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এখনো বন্ধের কথা ভাবছি না। কারণ, করোনা এমনভাবে ছড়িয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীরা বাড়িতে থাকলেও সংক্রমিত হতে পারে।’
এদিকে সব শিক্ষার্থীকে টিকার আওতায় আনতে জোরেশোরে কাজ চলছে টিকাদান কার্যক্রম। গত সোমবার পর্যন্ত ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৮৫ লাখ শিক্ষার্থী টিকা নিয়েছে। অন্যদিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রায় ৯৫ শতাংশ শিক্ষার্থী করোনার টিকা নিয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. এম তারিক আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাস্তবতা হলো আমাদের দেশের যে শিক্ষাকাঠামো, সেখানে এখনই যদি পুরোপুরি অনলাইনে চলে যাই তাহলে সব শিক্ষার্থী অনলাইনের সুবিধা নিতে পারবে না। এ জন্য আমাদের ব্লেন্ডেড (একই সঙ্গে অফলাইন-অনলাইন শিক্ষা) পদ্ধতিতে যাওয়া দরকার।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫