Ajker Patrika

পদ্ম ছেঁড়া বন্ধের দাবিতে টুঙ্গিপাড়ায় মানববন্ধন

টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১১: ৩৬
পদ্ম ছেঁড়া বন্ধের দাবিতে টুঙ্গিপাড়ায় মানববন্ধন

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় বিলের পানিতে প্রতিবছর জন্ম নেয় লাল পদ্ম ও শাপলা ফুল। পদ্ম ও শাপলার রঙে রঙিন হয়ে ওঠে উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের বিভিন্ন বিল। পদ্ম ও লাল শাপলার অপরূপ সৌন্দর্য আকৃষ্ট করছে ভ্রমণপিয়াসীদের। কিন্তু এসব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সংরক্ষণে স্থানীয় প্রশাসনের কোনো উদ্যোগ নেই। বাইরে থেকে আসা পর্যটকেরা হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। কারণ, প্রতিদিন ভোরে স্থানীয়রা পদ্ম ও শাপলা ছিঁড়ে বাইরে বিক্রি করে দিচ্ছেন। এতে প্রতিনিয়ত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে।

গতকাল শুক্রবার সকালে ‘পদ্ম ছেঁড়া বন্ধ করি, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রক্ষা করি’ স্লোগান সামনে রেখে পাঁচ দফা দাবিতে উপজেলার ডুমুরিয়া ইউনিয়নের ডাকাতের ভিটা বিলে মানববন্ধন করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, ব্যাংক কর্মকর্তা ও ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকরা।

বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শৈলেন্দ্রনাথ মণ্ডল, ব্যাংক কর্মকর্তা মাধব চন্দ্র ভ্রম্য, শিক্ষক শেখ আনিচুর রহমান, বাগেরহাট থেকে আগত পর্যটক তারক কুমার সাহা, হ্যাপি সাহা, বরিশালের বানারীপাড়া থেকে আগত আব্দুস সবুর।

দাবিগুলো হলো, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রিয় জন্মভূমি ও আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থান টুঙ্গিপাড়ার অদূরে অবস্থিত বাঘিয়ারকুল ও ডাকাতের ভিটা বিলকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা, পদ্ম কলি, ফুল ও লাল শাপলা সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা, পর্যটকদের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো তৈরিসহ নৌযান ও নিরাপত্তাব্যবস্থা, সার্বক্ষণিক প্রশাসনিক নজরদারি, পদ্ম বিলের অমূল্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গুরুত্বের বিষয়ে জনগণকে সচেতন করার ব্যবস্থা।

পর্যটক হ্যাপি সাহা বলেন, অনেকের কাছে শুনেছি টুঙ্গিপাড়ার বাঘিয়ার কুল ও ডাকাতের ভিটা বিলে শাপলা ও পদ্ম বিল রয়েছে। তাই ভোরে বাগেরহাট থেকে টুঙ্গিপাড়া এসেছি। কিন্তু এখানে এসে হতাশ হয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে। কারণ, বিলে কোনো পদ্মই দেখতে পেলাম না, আর ঘোরার জন্য এখানে কোনো নৌকার ব্যবস্থাও নেই।

টুঙ্গিপাড়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা শৈলেন্দ্রনাথ মণ্ডল বলেন, বাঘিয়ার কুল ও ডাকাতের ভিটা বিলকে পর্যটন কেন্দ্র ঘোষণা করে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রক্ষায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আল মামুন বলেন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রক্ষা করা আমাদের সবার দায়িত্ব। কিন্তু কিছু মানুষের জন্য পর্যটকেরা হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন, এটা দুঃখজনক। তাই টুঙ্গিপাড়ার পদ্ম ও শাপলা বিল রক্ষায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত