সম্পাদকীয়
ফাঁদে আটকে পড়া জন্তুর মতোই ক্ষোভ ও নিজের প্রতি ধিক্কার নিয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন শামসুর রাহমান। ২৫ মার্চের পর ঢাকা থেকে চলে গিয়েছিলেন পাড়াতলী গ্রামে। সেখানে বসে লিখেছেন কবিতা। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত অনুষ্ঠান শুনতেন। এম আর আখতার মুকুলের চরমপত্র উদ্দীপিত করত তাঁদের।
এ সময় কমিউনিস্ট পার্টির মতিউর রহমান এসে হাজির হলেন চাদরে মাথা ঢেকে। জিজ্ঞেস করলেন, তিনি পশ্চিমবঙ্গে যাচ্ছেন, শামসুর রাহমান যাবেন কি না।
শামসুর রাহমান বললেন, ‘আম্মার সঙ্গে কথা বলে নিতে চাই। তিনি অনুমতি দিলে যাব।’
মায়ের কাছে গিয়ে শামসুর রাহমান বললেন, ‘আমি কলকাতায় চলে যেতে চাই।’ মা বেদনার্ত কণ্ঠে বললেন, ‘তুমি আমাদের ফেলে চলে যাবে?’
যেতে পারলেন না শামসুর রাহমান। দেড় মাস গ্রামে কাটানোর পর টাকাপয়সা সব শেষ হয়ে গেল। অনিচ্ছা সত্ত্বেও মে মাসের মাঝামাঝি ঢাকায় ফিরে উঠলেন নাজিমুদ্দিন রোডে অবস্থিত শ্বশুরবাড়িতে। তারপর শ্বশুর ও নানাজনের পরামর্শে যোগ দিলেন দৈনিক পাকিস্তানে।
সেখানেই আড্ডা হতো আহমেদ হুমায়ুন, ফজল শাহাবুদ্দীন, এখলাসউদ্দিন আহমদ, হেদায়েত হোসেন মোরশেদদের সঙ্গে। একদিন শামসুর রাহমান, হেদায়েত হোসেন মোরশেদ, ফজল শাহাবুদ্দীন আর কালাম মাহমুদ বসে আছেন অফিসরুমে। হেদায়েত হোসেন মোরশেদ শামসুর রাহমানের টেবিলে রাখা প্যাডে গোলাকার একটা নকশা আঁকলেন। ছবিটি শামসুর রাহমানের দিকে তুলে বললেন, ‘এই হাতবোমাটাই মুক্তিবাহিনীর ছেলেরা শত্রুদের দিকে তুলে দেন।’
এরপর নিউজপ্রিন্টের প্যাডের পাতাটি দলা পাকিয়ে তিনি ফেলে দিলেন জানালার বাইরে। আর ঠিক সেই মুহূর্তে কামরার দরজা ঠেলে ঘরে ঢুকল পাকিস্তানি এক অফিসার ও এক সৈন্য। অফিসার জিজ্ঞেস করলেন, ‘এহা কোই গাদ্দার হ্যায়?’
ফজল শাহাবুদ্দীন ভালো উর্দু জানতেন। তিনি উর্দুতে যা বললেন, তার মর্মার্থ হলো—ওসব বালাই এই ঘরে কেন, সারা অফিসেই নেই।’
ওরা চলে গেল। আর সবার ধড়ে প্রাণ ফিরে এল। একটু আগে এলেই হেদায়েত হোসেন মোরশেদের আঁকা গ্রেনেডের ছবিটা চোখে পড়ে যেত তাদের!
সূত্র: শামসুর রাহমান গদ্যসংগ্রহ, পৃষ্ঠা ২৭০-২৭৪
ফাঁদে আটকে পড়া জন্তুর মতোই ক্ষোভ ও নিজের প্রতি ধিক্কার নিয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন শামসুর রাহমান। ২৫ মার্চের পর ঢাকা থেকে চলে গিয়েছিলেন পাড়াতলী গ্রামে। সেখানে বসে লিখেছেন কবিতা। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত অনুষ্ঠান শুনতেন। এম আর আখতার মুকুলের চরমপত্র উদ্দীপিত করত তাঁদের।
এ সময় কমিউনিস্ট পার্টির মতিউর রহমান এসে হাজির হলেন চাদরে মাথা ঢেকে। জিজ্ঞেস করলেন, তিনি পশ্চিমবঙ্গে যাচ্ছেন, শামসুর রাহমান যাবেন কি না।
শামসুর রাহমান বললেন, ‘আম্মার সঙ্গে কথা বলে নিতে চাই। তিনি অনুমতি দিলে যাব।’
মায়ের কাছে গিয়ে শামসুর রাহমান বললেন, ‘আমি কলকাতায় চলে যেতে চাই।’ মা বেদনার্ত কণ্ঠে বললেন, ‘তুমি আমাদের ফেলে চলে যাবে?’
যেতে পারলেন না শামসুর রাহমান। দেড় মাস গ্রামে কাটানোর পর টাকাপয়সা সব শেষ হয়ে গেল। অনিচ্ছা সত্ত্বেও মে মাসের মাঝামাঝি ঢাকায় ফিরে উঠলেন নাজিমুদ্দিন রোডে অবস্থিত শ্বশুরবাড়িতে। তারপর শ্বশুর ও নানাজনের পরামর্শে যোগ দিলেন দৈনিক পাকিস্তানে।
সেখানেই আড্ডা হতো আহমেদ হুমায়ুন, ফজল শাহাবুদ্দীন, এখলাসউদ্দিন আহমদ, হেদায়েত হোসেন মোরশেদদের সঙ্গে। একদিন শামসুর রাহমান, হেদায়েত হোসেন মোরশেদ, ফজল শাহাবুদ্দীন আর কালাম মাহমুদ বসে আছেন অফিসরুমে। হেদায়েত হোসেন মোরশেদ শামসুর রাহমানের টেবিলে রাখা প্যাডে গোলাকার একটা নকশা আঁকলেন। ছবিটি শামসুর রাহমানের দিকে তুলে বললেন, ‘এই হাতবোমাটাই মুক্তিবাহিনীর ছেলেরা শত্রুদের দিকে তুলে দেন।’
এরপর নিউজপ্রিন্টের প্যাডের পাতাটি দলা পাকিয়ে তিনি ফেলে দিলেন জানালার বাইরে। আর ঠিক সেই মুহূর্তে কামরার দরজা ঠেলে ঘরে ঢুকল পাকিস্তানি এক অফিসার ও এক সৈন্য। অফিসার জিজ্ঞেস করলেন, ‘এহা কোই গাদ্দার হ্যায়?’
ফজল শাহাবুদ্দীন ভালো উর্দু জানতেন। তিনি উর্দুতে যা বললেন, তার মর্মার্থ হলো—ওসব বালাই এই ঘরে কেন, সারা অফিসেই নেই।’
ওরা চলে গেল। আর সবার ধড়ে প্রাণ ফিরে এল। একটু আগে এলেই হেদায়েত হোসেন মোরশেদের আঁকা গ্রেনেডের ছবিটা চোখে পড়ে যেত তাদের!
সূত্র: শামসুর রাহমান গদ্যসংগ্রহ, পৃষ্ঠা ২৭০-২৭৪
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১৪ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫