Ajker Patrika

তেলাপোকা বিড়ালে অতিষ্ঠ সঙ্গে হকারের উৎপাত

পাবনা প্রতিনিধি
আপডেট : ২৬ জানুয়ারি ২০২২, ১৪: ৫৭
তেলাপোকা বিড়ালে অতিষ্ঠ সঙ্গে হকারের উৎপাত

দিনদিন ক্রমশ নষ্ট হচ্ছে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের পরিবেশ। যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা, তেলাপোকা, বিড়ালের উৎপাতে অতিষ্ঠ রোগী ও রোগীর স্বজনেরা। এ হাসপাতালে নতুন করে যোগ হয়েছে হকারদের উৎপাত। হাসপাতালে চিকিৎসক-নার্সদের চোখের সামনে পাঁপর বিক্রি করলেও কারও যেন চোখেই পড়ে না।

পাবনা জেলায় গত কয়েক দিনে করোনা রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। চলতি মাসে করোনা পরীক্ষায় পজিটিভের সংখ্যা তিন গুণেরও বেশি। এদিকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ডের প্রবেশমুখে আবর্জনা ও টয়লেট নোংরা থাকে বলে অভিযোগ করেন রোগীরা। বর্তমানে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের করোনার নমুনা সংগ্রহ কেন্দ্রের পাশে মেডিসিন ওয়ার্ড আর তার পাশেই করোনা রোগীর জন্য ৪০ শয্যার একটি কক্ষ রয়েছে। করোনা সন্দেহভাজন রোগীর সঙ্গে স্বজনেরা এসে আবার দেখাও করছেন। কোনো রকম সাবধানতা নেই বললেই চলে।

এ ছাড়া হাসপাতালের সাধারণ রোগীদের ওয়ার্ডে রয়েছে তেলাপোকার উৎপাত। বিড়ালের অত্যাচারেও অতিষ্ঠ রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা। মশার উপদ্রবও ব্যাপকভাবে দেখা গেছে। শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন এক শিশুর অভিভাবক আব্দুল মতীন বলেন, ‘বাচ্চাদের তেলাপোকা কামড়ায়। নিজেরা জেগে থেকেও এর থেকে বাঁচা যায় না। ডাক্তারদের বারবার বলার পরও কোনো সুফল নেই। রাতে মশার অত্যাচারে টেকা যায় না।’

হাসপাতালের এক পাশে স্তূপ করে রাখা হয়েছে সিরিঞ্জ, সুচসহ সার্জিক্যাল কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম। হাসপাতালে ভর্তির পরে রোগীদের ঠিকমতো ওষুধ বিতরণ না করার অভিযোগ করেন রোগী ও স্বজনেরা। জটিল শিশু রোগী ও বয়স্ক রোগীদের ওয়ার্ডে সারা দিনে একবার শুধু ডাক্তার রাউন্ড দিয়ে থাকেন বলে জানা গেছে।

মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে দেখছি প্রতিদিন ওয়ার্ডের ভেতরে ঢুকে হকাররা বাদাম, পাঁপর বিক্রি করেন। এটা কীভাবে সম্ভব হয় বুঝতে পারি না। এক অরাজক পরিবেশ বিরাজ করছে। যেন দেখার কেউ নেই।’

পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক এ কে এম আবু জাফর জানান, তাঁরা বিভিন্ন সময়ে চেষ্টা করেন বহিরাগতদের আনাগোনা বন্ধ করতে। হাসপাতালের ভেতরে, ওয়ার্ডে হকারদের অবাধ যাতায়াত বন্ধ করতে সবার সম্মিলিত উদ্যোগ ও চেষ্টা প্রয়োজন। কারণ, হাসপাতালের চারপাশের অনেক মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িত হাসপাতালের সঙ্গে। এ ছাড়া ওয়ার্ড পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে সব সময় চেষ্টা করা হয়। লোকবলও কম। সমস্যা হচ্ছে একজন রোগীর সঙ্গে চার থেকে পাঁচজন থাকে। তারাও সচেতন নন। সব মিলিয়ে অনেক চেষ্টাই বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয় না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে স্টারলিংকের প্রস্তাবিত কার্যক্রমের বিস্তারিত চায় ভারত

নির্দেশনা মানেননি পাইলট, মদিনা-ঢাকা ফ্লাইটকে নামতে হলো সিলেটে

মে. জে. ফজলুরের সেভেন সিস্টার্স দখলের মন্তব্য সমর্থন করে না সরকার: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

গায়ে কেরোসিন ঢেলে কলেজছাত্রীর আত্মহনন, পলাতক ইমাম গ্রেপ্তার

ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য বিধিনিষেধের মূল্য গুনছেন ব্যবসায়ীরা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত