জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম
রোহিঙ্গাদের অবৈধভাবে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তৈরি করে দেওয়ার অভিযোগে ২০১৯ সালে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানা নির্বাচন কার্যালয়ের অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদীন। নির্বাচন কার্যালয়ের খোয়া যাওয়া একটি ল্যাপটপ ব্যবহার করে তিনি রোহিঙ্গাদের এনআইডি দিতেন। গ্রেপ্তার হওয়ার পর নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয় থেকে জয়নালকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। পরে তাঁর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কিন্তু জামিনে বেরিয়ে আবার তৎপর হয়েছেন জয়নাল। যাতায়াত করছেন ইসির বিভিন্ন কার্যালয়ে। সেসব কার্যালয়ে ১০ আত্মীয় ছাড়াও জয়নালের হয়ে কাজ করেন অন্তত অর্ধশত অপারেটর।
জানা গেছে, জয়নালের যোগাযোগ আছে বিভিন্ন ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও পাসপোর্ট অফিসের অসাধু কর্মচারীদের সঙ্গে। তাঁদের মাধ্যমে অবৈধভাবে পাসপোর্ট ও জন্মনিবন্ধন পাইয়ে দেন। চট্টগ্রাম দুদকের এক কর্মকর্তা জানান, পাঁচলাইশ ও মনসুরাবাদ পাসপোর্ট অফিসের ছয়জন কর্মচারী জয়নালের হয়ে অবৈধভাবে পাসপোর্ট তৈরির কাজে সহযোগিতা করতেন। ভুয়া জন্মনিবন্ধন ও জন্মনিবন্ধন সংশোধনের কাজে সহায়তা করেন রামপুর ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিসের দুই কর্মচারীসহ চান্দগাঁও কাউন্সিলর অফিস, কোতোয়ালির ৩৪ নম্বর পাথরঘাটা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অফিস, রাঙ্গুনিয়া ও বোয়ালখালীর বেশ কয়েকজন।
টাকা নিয়ে কাজ না করে দেওয়ার অভিযোগও আছে জয়নালের বিরুদ্ধে। পাঁচলাইশ থানার নোমান ইবনে জামালের জরুরি এনআইডির প্রয়োজন ছিল। দেরি হওয়ায় তিনি পরিচিত নুর বানুকে বিষয়টি জানান। নুর বানু সাহায্য নেন জয়নালের। নুর বানু বলেন, ‘ছয় হাজার টাকা নেওয়ার পরও কাজ করে দেয়নি জয়নাল। টাকাও ফেরত দেয়নি। আমি ৩ জানুয়ারি ২০২৩ সালে ওয়ান ব্যাংকে জয়নাল আবেদীনের হিসাব নম্বরে এই টাকা পাঠাই।’
কথোপকথনের একটি অডিওতে টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করতে শোনা যায়। ভুক্তভোগীকে জয়নাল বলেন, ‘ঢাকা ও চট্টগ্রাম নির্বাচন কমিশনে আমার বেশ কিছু অপারেটর আছে। এরা গরিব, খুব অসহায়। প্রতিটি কাজেই তাদের টাকা দেওয়া লাগে। আমরা যতক্ষণ বাঁচিয়ে রাখি, ততক্ষণ তারা বেঁচে থাকে। পাঁচ হাজার টাকা দিলে নিমিষেই এনআইডি হয়ে যাবে।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘সাময়িক চাকরিচ্যুত হলেও মাঝেমধ্যে আমি অফিসে যাই, কাজ করি।’ তবে টাকা নিয়ে কাজ না করার অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন।
চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জয়নাল হয়তো চুরি করে অফিসে যায়; অফিসে গেছে—এ রকম খবর পেলে বা সরাসরি জানালে আটক করা হবে।’
কয়েক কোটি টাকায় বানানো পাঁচতলা বাড়িটি জয়নাল বিক্রি করে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। মামলার এজাহারে দুদক বলেছিল, বাড়িটি অবৈধ টাকায় নির্মাণ করা। দুদক জয়নালের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৬৯ লাখ ৭ হাজার ৪৪২ টাকার সম্পদ পায়। এখন এসব সম্পদ বিক্রি করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় আছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে জয়নাল বলেন, ‘পাঁচতলা বাড়িটি ৪৫ লাখ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছি। তবে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়।’
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক আখতার কবির চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়টি জয়নাল ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে স্বীকার করেছেন বলে মিডিয়ায় এসেছে। তাঁর তো জামিন হওয়ারই কথা না। অবৈধ টাকা ফ্রিজ না করে, অবৈধ আয়ে অর্জিত বাড়িসহ স্থাবর সম্পদ হেফাজতে না নিয়ে দুদক মারাত্মক গাফিলতি করেছে। দুদকের এখনই উচিত—জয়নাল যাতে বিদেশ যেতে না পারেন, সে জন্য পাসপোর্ট জব্দ করা। যেহেতু মামলা চলমান, তাই দুদকের উচিত আদালত থেকে দ্রুত আদেশ নিয়ে তাঁর সব সম্পদ ক্রোক করা।
রোহিঙ্গাদের অবৈধভাবে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তৈরি করে দেওয়ার অভিযোগে ২০১৯ সালে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানা নির্বাচন কার্যালয়ের অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদীন। নির্বাচন কার্যালয়ের খোয়া যাওয়া একটি ল্যাপটপ ব্যবহার করে তিনি রোহিঙ্গাদের এনআইডি দিতেন। গ্রেপ্তার হওয়ার পর নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয় থেকে জয়নালকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। পরে তাঁর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কিন্তু জামিনে বেরিয়ে আবার তৎপর হয়েছেন জয়নাল। যাতায়াত করছেন ইসির বিভিন্ন কার্যালয়ে। সেসব কার্যালয়ে ১০ আত্মীয় ছাড়াও জয়নালের হয়ে কাজ করেন অন্তত অর্ধশত অপারেটর।
জানা গেছে, জয়নালের যোগাযোগ আছে বিভিন্ন ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও পাসপোর্ট অফিসের অসাধু কর্মচারীদের সঙ্গে। তাঁদের মাধ্যমে অবৈধভাবে পাসপোর্ট ও জন্মনিবন্ধন পাইয়ে দেন। চট্টগ্রাম দুদকের এক কর্মকর্তা জানান, পাঁচলাইশ ও মনসুরাবাদ পাসপোর্ট অফিসের ছয়জন কর্মচারী জয়নালের হয়ে অবৈধভাবে পাসপোর্ট তৈরির কাজে সহযোগিতা করতেন। ভুয়া জন্মনিবন্ধন ও জন্মনিবন্ধন সংশোধনের কাজে সহায়তা করেন রামপুর ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিসের দুই কর্মচারীসহ চান্দগাঁও কাউন্সিলর অফিস, কোতোয়ালির ৩৪ নম্বর পাথরঘাটা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অফিস, রাঙ্গুনিয়া ও বোয়ালখালীর বেশ কয়েকজন।
টাকা নিয়ে কাজ না করে দেওয়ার অভিযোগও আছে জয়নালের বিরুদ্ধে। পাঁচলাইশ থানার নোমান ইবনে জামালের জরুরি এনআইডির প্রয়োজন ছিল। দেরি হওয়ায় তিনি পরিচিত নুর বানুকে বিষয়টি জানান। নুর বানু সাহায্য নেন জয়নালের। নুর বানু বলেন, ‘ছয় হাজার টাকা নেওয়ার পরও কাজ করে দেয়নি জয়নাল। টাকাও ফেরত দেয়নি। আমি ৩ জানুয়ারি ২০২৩ সালে ওয়ান ব্যাংকে জয়নাল আবেদীনের হিসাব নম্বরে এই টাকা পাঠাই।’
কথোপকথনের একটি অডিওতে টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করতে শোনা যায়। ভুক্তভোগীকে জয়নাল বলেন, ‘ঢাকা ও চট্টগ্রাম নির্বাচন কমিশনে আমার বেশ কিছু অপারেটর আছে। এরা গরিব, খুব অসহায়। প্রতিটি কাজেই তাদের টাকা দেওয়া লাগে। আমরা যতক্ষণ বাঁচিয়ে রাখি, ততক্ষণ তারা বেঁচে থাকে। পাঁচ হাজার টাকা দিলে নিমিষেই এনআইডি হয়ে যাবে।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘সাময়িক চাকরিচ্যুত হলেও মাঝেমধ্যে আমি অফিসে যাই, কাজ করি।’ তবে টাকা নিয়ে কাজ না করার অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন।
চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জয়নাল হয়তো চুরি করে অফিসে যায়; অফিসে গেছে—এ রকম খবর পেলে বা সরাসরি জানালে আটক করা হবে।’
কয়েক কোটি টাকায় বানানো পাঁচতলা বাড়িটি জয়নাল বিক্রি করে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। মামলার এজাহারে দুদক বলেছিল, বাড়িটি অবৈধ টাকায় নির্মাণ করা। দুদক জয়নালের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৬৯ লাখ ৭ হাজার ৪৪২ টাকার সম্পদ পায়। এখন এসব সম্পদ বিক্রি করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় আছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে জয়নাল বলেন, ‘পাঁচতলা বাড়িটি ৪৫ লাখ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছি। তবে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়।’
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক আখতার কবির চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়টি জয়নাল ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে স্বীকার করেছেন বলে মিডিয়ায় এসেছে। তাঁর তো জামিন হওয়ারই কথা না। অবৈধ টাকা ফ্রিজ না করে, অবৈধ আয়ে অর্জিত বাড়িসহ স্থাবর সম্পদ হেফাজতে না নিয়ে দুদক মারাত্মক গাফিলতি করেছে। দুদকের এখনই উচিত—জয়নাল যাতে বিদেশ যেতে না পারেন, সে জন্য পাসপোর্ট জব্দ করা। যেহেতু মামলা চলমান, তাই দুদকের উচিত আদালত থেকে দ্রুত আদেশ নিয়ে তাঁর সব সম্পদ ক্রোক করা।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪