সম্পাদকীয়
চাঁদাবাজি চলছেই। শুধু পাল্টেছে চাঁদাবাজেরা। এ ছাড়া কোনো পার্থক্য নেই। তবে আগের মতো আর মুখে কুলুপ এঁটে থাকতে চাইছেন না কেউ। থাকা উচিতও নয়। চাঁদাবাজির হাত থেকে নিস্তার পেতে চান ব্যবসায়ীরা।
তাঁদের প্রতিনিধি হয়ে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম ইতিমধ্যেই স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর প্রতি এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাও দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রম সচল রাখতে ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তার জন্য সবকিছু নিষ্ঠার সঙ্গে করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
সোমবার আজকের পত্রিকায় এ নিয়ে খবর ছাপা হয়। ওই প্রতিবেদনে কয়েকজন ব্যবসায়ীর মন্তব্য থেকে এ কথা স্পষ্ট হয় যে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে চাঁদাবাজি হতো। এখন আওয়ামী শাসন নেই।
আগের চাঁদাবাজেরা, যারা আওয়ামী ক্ষমতার দাপট প্রদর্শন করে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করত, তারাও গা ঢাকা দিয়েছে। এই সুযোগে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে বিএনপির চাঁদাবাজেরা।
তারা ব্যবসায়ীদের কখনো জিম্মি করে, আবার কখনো আটক করে চাঁদা আদায় করছে। অনেককে চাঁদার জন্য হুমকি দিচ্ছে ফোন করে। ভয়ে অনেক ব্যবসায়ী ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন। কেউ কেউ নাকি নীরবে চাঁদাবাজদের ‘ম্যানেজ’ করার চেষ্টা করছেন! ভয়ে মুখ খুলছেন না অনেকে।
অথচ এই সুযোগে বিএনপির কর্মীদের উচিত ছিল জনগণের মন জিতে নেওয়া। কিন্তু কেউ কেউ আগেই চাঁদাবাজি শুরু করে আওয়ামী ক্ষমতার অপব্যবহারকারীদের মতো সেই একই রূপ দেখাচ্ছে। একজন ব্যবসায়ী বলেছেন, ‘পয়লা বলেই ছক্কা মারতে গেলে তো হয় না।বিএনপির লোকজনের মধ্যে কোনো ধৈর্য নেই।’ যদিও আমরা মনে করি, চাঁদাবাজিতে পয়লা বল বা শেষ বল—যে বলই হোক না কেন, ছক্কা মারার প্রবণতাকেই ধ্বংস করা উচিত।
আওয়ামী লীগ গেছে, মাঠে নেমেছে বিএনপি, কিন্তু চাঁদাবাজির দৃশ্য অপরিবর্তনীয়! অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-আন্দোলন করেই তো এক সরকারকে সরানো হয়েছে। সেই প্রতিবাদের হাওয়া বইছে এখনো। তাই চুপচাপ হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকার সময়ও নয় এটা। অন্যায়-অপরাধের বিরুদ্ধে ‘প্রতিবাদ’কেও টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব সচেতন নাগরিকদের।
মানুষ যেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর আস্থা ফিরিয়ে আনতে পারে, সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে পুলিশসহ সব বাহিনীকেই।বিচার বিভাগও যেন বিচারহীনতার সংস্কৃতিকে বিদায় দেয়। তবেই না ভয়কে জয় করে অন্যায়-অপরাধের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারবে জনসাধারণ। মানুষের ভীতি যেহেতু একবার গেছে, সেহেতু সেটাকে আর ফিরতে দেওয়া যাবে না। চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বলিষ্ঠ না হলে একদিন এই চাঁদাবাজিই হাজার কোটি টাকার দুর্নীতিতে রূপান্তরিত হবে আবার।
আমরা চাই, ব্যবসাক্ষেত্রে এই অরাজকতা বন্ধ হোক, ঘোলা পানিতে মাছ শিকাররূপী চাঁদাবাজদের শাস্তি দেওয়া হোক। সুশাসন ফিরে আসুক দ্রুত। আস্থা রইল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার আশ্বাসের প্রতি।
চাঁদাবাজি চলছেই। শুধু পাল্টেছে চাঁদাবাজেরা। এ ছাড়া কোনো পার্থক্য নেই। তবে আগের মতো আর মুখে কুলুপ এঁটে থাকতে চাইছেন না কেউ। থাকা উচিতও নয়। চাঁদাবাজির হাত থেকে নিস্তার পেতে চান ব্যবসায়ীরা।
তাঁদের প্রতিনিধি হয়ে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম ইতিমধ্যেই স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর প্রতি এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাও দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রম সচল রাখতে ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তার জন্য সবকিছু নিষ্ঠার সঙ্গে করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
সোমবার আজকের পত্রিকায় এ নিয়ে খবর ছাপা হয়। ওই প্রতিবেদনে কয়েকজন ব্যবসায়ীর মন্তব্য থেকে এ কথা স্পষ্ট হয় যে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে চাঁদাবাজি হতো। এখন আওয়ামী শাসন নেই।
আগের চাঁদাবাজেরা, যারা আওয়ামী ক্ষমতার দাপট প্রদর্শন করে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করত, তারাও গা ঢাকা দিয়েছে। এই সুযোগে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে বিএনপির চাঁদাবাজেরা।
তারা ব্যবসায়ীদের কখনো জিম্মি করে, আবার কখনো আটক করে চাঁদা আদায় করছে। অনেককে চাঁদার জন্য হুমকি দিচ্ছে ফোন করে। ভয়ে অনেক ব্যবসায়ী ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন। কেউ কেউ নাকি নীরবে চাঁদাবাজদের ‘ম্যানেজ’ করার চেষ্টা করছেন! ভয়ে মুখ খুলছেন না অনেকে।
অথচ এই সুযোগে বিএনপির কর্মীদের উচিত ছিল জনগণের মন জিতে নেওয়া। কিন্তু কেউ কেউ আগেই চাঁদাবাজি শুরু করে আওয়ামী ক্ষমতার অপব্যবহারকারীদের মতো সেই একই রূপ দেখাচ্ছে। একজন ব্যবসায়ী বলেছেন, ‘পয়লা বলেই ছক্কা মারতে গেলে তো হয় না।বিএনপির লোকজনের মধ্যে কোনো ধৈর্য নেই।’ যদিও আমরা মনে করি, চাঁদাবাজিতে পয়লা বল বা শেষ বল—যে বলই হোক না কেন, ছক্কা মারার প্রবণতাকেই ধ্বংস করা উচিত।
আওয়ামী লীগ গেছে, মাঠে নেমেছে বিএনপি, কিন্তু চাঁদাবাজির দৃশ্য অপরিবর্তনীয়! অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-আন্দোলন করেই তো এক সরকারকে সরানো হয়েছে। সেই প্রতিবাদের হাওয়া বইছে এখনো। তাই চুপচাপ হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকার সময়ও নয় এটা। অন্যায়-অপরাধের বিরুদ্ধে ‘প্রতিবাদ’কেও টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব সচেতন নাগরিকদের।
মানুষ যেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর আস্থা ফিরিয়ে আনতে পারে, সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে পুলিশসহ সব বাহিনীকেই।বিচার বিভাগও যেন বিচারহীনতার সংস্কৃতিকে বিদায় দেয়। তবেই না ভয়কে জয় করে অন্যায়-অপরাধের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারবে জনসাধারণ। মানুষের ভীতি যেহেতু একবার গেছে, সেহেতু সেটাকে আর ফিরতে দেওয়া যাবে না। চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বলিষ্ঠ না হলে একদিন এই চাঁদাবাজিই হাজার কোটি টাকার দুর্নীতিতে রূপান্তরিত হবে আবার।
আমরা চাই, ব্যবসাক্ষেত্রে এই অরাজকতা বন্ধ হোক, ঘোলা পানিতে মাছ শিকাররূপী চাঁদাবাজদের শাস্তি দেওয়া হোক। সুশাসন ফিরে আসুক দ্রুত। আস্থা রইল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার আশ্বাসের প্রতি।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১৩ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫