Ajker Patrika

আসল-নকলেও নবাবের শেষরক্ষা হলো না

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০২ মার্চ ২০২২, ১৫: ৪৬
আসল-নকলেও নবাবের শেষরক্ষা হলো না

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় চায়ের দোকান থেকে কর্মজীবন শুরু। পরের কয়েক বছরে কয়েক হাজার কোটি টাকার মালিক বনে যান। বাড়ি, গাড়ি, বড় বড় প্রতিষ্ঠান, বিঘায় বিঘা জমিজমা যিনি বানিয়ে ফেলেছেন, তাঁর এর চেয়ে ভালো নাম আর কী হতে পারে, মোহাম্মদ নবাব খান।

৬১৯ কোটি টাকার সার কেলেঙ্কারি মামলার প্রধান আসামি এই নবাব খান। জেল-হাজত এড়াতে তিনি নিজের বদলে অন্য মানুষকে আদালতে পাঠিয়েছিলেন। আদালত বুঝতে পেরে কারাগারে পাঠান ফাহিম আহম্মেদ নামের সেই যুবককে। এর ১০ দিন পর এবার নবাব নিজেই গ্রেপ্তার হলেন ঢাকার কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) হাতে।

গত সোমবার রাজধানীর শাহবাগ থানা এলাকা থেকে নবাবকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে মতিঝিল থানায় হস্তান্তর করা হলে থানার পুলিশ আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠায়। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) সূত্র বলছে, মোহাম্মদ নবাব খান (৫৫), নবাব অ্যান্ড কোম্পানি নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক। এই প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) ইউরিয়া সার উৎপাদনের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করে থাকে। সরকারি এসব সার সমুদ্রবন্দর থেকে পরিবহন করে বিভিন্ন জেলার বাফার গুদামে পৌঁছে দেয় ঠিকাদারি এই প্রতিষ্ঠান। কিন্তু কয়েক বছর ধরে আমদানির সার বন্দর থেকে নিলেও গুদামে সেগুলো পৌঁছায়নি।

সিটিটিসি অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম বলেন, মাঝপথেই বিস্ময়করভাবে সেগুলো আত্মসাৎ করা হতো। এভাবে ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ অর্থবছরে ৬৬ হাজার ৮৭৪ টন সার আত্মসাৎ করা হয়েছে, যার দাম প্রায় ৬১৯ কোটি টাকা। চুক্তি অনুযায়ী ৫০ দিনের মধ্যে বন্দর থেকে গুদামে সার পৌঁছানোর কথা থাকলেও দেড় বছরেও তা গুদামে পৌঁছায়নি।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, গত ২৩ ডিসেম্বর রাজধানীর মতিঝিল থানায় এ বিষয়ে মামলা করেন বিসিআইসির উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম বাণিজ্যিক) মো. সাইফুল আলম। সেই মামলায় নবাব খানের পরিবর্তে ফাহিম আহম্মেদ নামে একজন নিজেকে নবাব খান দাবি করে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। কিন্তু তাঁকে জেল-হাজতে নেওয়ার আগেই তিনি দাবি করেন যে তিনি নবাব খান নন। বিষয়টি আদালত বোঝার পর সম্পর্কে ভাগনে ফাহিমকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরপর থেকেই পলাতক ছিলেন মোহাম্মদ নবাব খান। তবে শেষ রক্ষা হলো না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পাকিস্তানের সামরিক ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতার সামনে অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে ভারত: ব্রিটিশ বিশ্লেষক

কী লিখেছিলেন মাহফুজ আলম, ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ডিলিট করলেন কেন

প্রশাসনিক আদেশে জামায়াত নিষিদ্ধ ভুল, আ.লীগের কার্যক্রম বন্ধ সঠিক: বিএনপি

এবার ‘পাকিস্তানপন্থার’ বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলেন আসিফ মাহমুদ

প্রথম ভাষণে গাজা প্রসঙ্গে যা বললেন পোপ লিও চতুর্দশ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত