নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রায় এক মাস পর নারায়ণগঞ্জ থেকে পাঁচটি নৌপথে ১৮টি ছোট লঞ্চের চলাচলের অনুমতি দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। গতকাল রোববার সকাল থেকে নারায়ণগঞ্জ থেকে চাঁদপুর, মুন্সিগঞ্জ, নড়িয়া, মতলব ও রামচন্দ্রপুরে যাতায়াত শুরু করে অনুমতি পাওয়া লঞ্চগুলো। দীর্ঘদিন পর লঞ্চ চলাচল শুরু হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। অন্যদিকে ঈদের আগেও প্রায় ৫২টি লঞ্চের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি রাখায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন লঞ্চের মালিকেরা।
গতকাল সকাল থেকে একে একে চলাচল শুরু করে অনুমতি পাওয়া লঞ্চগুলো। বিআইডব্লিউটিএ থেকে প্রাপ্ত এক চিঠিতে ১৮টি লঞ্চের নাম উল্লেখ করে তাদের নিষেধাজ্ঞা অস্থায়ীভাবে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে এই অনুমতি দেয় সংস্থাটি। অনুমতি পাওয়া লঞ্চের সবই ৭০ ফুটের বেশি।
সকালে চাঁদপুর থেকে আসা লঞ্চগুলোতে দেখা যায় যাত্রীদের পর্যাপ্ত উপস্থিতি। দীর্ঘদিন পর স্বাভাবিক লঞ্চ চলাচলে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন নারায়ণগঞ্জ-চাঁদপুর রুটের যাত্রীরা। একই সঙ্গে লঞ্চ চলাচলে সাবধানতা এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবি জানান তাঁরা।
লঞ্চযাত্রী নজরুল ইসলাম বলেন, অনেক দিন পর লঞ্চ চালু করায় আমাদের জন্য সুবিধা হয়েছে। গাড়ি পথে অনেক দূর ঘুরে যেতে হয়। এক মাস ধরে ঢাকা হয়ে আসা-যাওয়া করতে হতো। মাঝখানে একটি লঞ্চ চলাচল করলেও তা যথেষ্ট ছিল না। যেই লঞ্চগুলো আছে, সেগুলো নিরাপদ মনে হয়। ঠিকঠাক চলাচল করলে সমস্যা হবে না।
লঞ্চের স্টাফ ফজলু মিয়া বলেন, ‘লঞ্চের যাত্রী কখনো গাড়িতে গিয়া আরাম পাইব না। এই মানুষগুলা লঞ্চের অভাবে কষ্ট করছে। আমরাও খাইয়া না-খাইয়া ছিলাম। জাহাজগুলা ঠিকঠাক চললে নিরাপত্তা নিয়া কোনো সমস্যাই হইব না। বিআইডব্লিউটিএ খালি আমাগোরে শাস্তি দিল, যেই জাহাজগুলো এই সমস্যা বাধায় তাগোরে কিছুই করল না।’
এমএল তাপদার নামের লঞ্চের মাস্টার নবী হোসেন বলেন, ‘আমরা এত দিন অনেক কষ্ট করেছি। মালিকেরা ঠিকমতো আয়রোজগার কিছুই করতে পারে নাই। ঈদ নিয়া দুশ্চিন্তায় ছিলাম। লঞ্চ ছেড়ে দেওয়ায় স্বস্তি আসছে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাঁচটি রুটের মধ্যে চাঁদপুর রুটে যুক্ত হয়েছে ১৩টি লঞ্চ। রামচন্দ্রপুর রুটে ২টি এবং মতলব, মুন্সিগঞ্জ ও নড়িয়া রুটে ১টি করে লঞ্চ যুক্ত হয়েছে। এসব রুটে এখনো পর্যাপ্ত লঞ্চ যুক্ত হতে পারেনি। বিআইডব্লিউটিএর ৭০ ফুট বিবেচনায় বাদ পড়েছে ৫২টি লঞ্চ। লঞ্চ মালিক সমিতির মতে, এখনো শত শত শ্রমিক বেকার অবস্থায় রয়েছেন।
লঞ্চ চালুর বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের উপপরিচালক বাবু লাল বৈদ্য বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি রুটে মোট ১৮টি লঞ্চ চালুর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সকাল থেকে লঞ্চ চলাচল করছে। অনুমতি পাওয়া লঞ্চগুলোকে এক বছরের মধ্যে আপার ডেক করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আর বাকি ৫২টি লঞ্চকে চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়নি।’
সব লঞ্চের অনুমতি না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল যাত্রী পরিবহন সংস্থা নারায়ণগঞ্জ জোনের সভাপতি মো. বদিউজ্জামান বাদল। তিনি বলেন, ‘৭০টি লঞ্চের মধ্যে মাত্র ১৮টি লঞ্চ চালুর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আমরা এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাই। এভাবে চলতে থাকলে মালিকদের পথে বসতে হবে।
প্রায় এক মাস পর নারায়ণগঞ্জ থেকে পাঁচটি নৌপথে ১৮টি ছোট লঞ্চের চলাচলের অনুমতি দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। গতকাল রোববার সকাল থেকে নারায়ণগঞ্জ থেকে চাঁদপুর, মুন্সিগঞ্জ, নড়িয়া, মতলব ও রামচন্দ্রপুরে যাতায়াত শুরু করে অনুমতি পাওয়া লঞ্চগুলো। দীর্ঘদিন পর লঞ্চ চলাচল শুরু হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। অন্যদিকে ঈদের আগেও প্রায় ৫২টি লঞ্চের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি রাখায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন লঞ্চের মালিকেরা।
গতকাল সকাল থেকে একে একে চলাচল শুরু করে অনুমতি পাওয়া লঞ্চগুলো। বিআইডব্লিউটিএ থেকে প্রাপ্ত এক চিঠিতে ১৮টি লঞ্চের নাম উল্লেখ করে তাদের নিষেধাজ্ঞা অস্থায়ীভাবে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে এই অনুমতি দেয় সংস্থাটি। অনুমতি পাওয়া লঞ্চের সবই ৭০ ফুটের বেশি।
সকালে চাঁদপুর থেকে আসা লঞ্চগুলোতে দেখা যায় যাত্রীদের পর্যাপ্ত উপস্থিতি। দীর্ঘদিন পর স্বাভাবিক লঞ্চ চলাচলে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন নারায়ণগঞ্জ-চাঁদপুর রুটের যাত্রীরা। একই সঙ্গে লঞ্চ চলাচলে সাবধানতা এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবি জানান তাঁরা।
লঞ্চযাত্রী নজরুল ইসলাম বলেন, অনেক দিন পর লঞ্চ চালু করায় আমাদের জন্য সুবিধা হয়েছে। গাড়ি পথে অনেক দূর ঘুরে যেতে হয়। এক মাস ধরে ঢাকা হয়ে আসা-যাওয়া করতে হতো। মাঝখানে একটি লঞ্চ চলাচল করলেও তা যথেষ্ট ছিল না। যেই লঞ্চগুলো আছে, সেগুলো নিরাপদ মনে হয়। ঠিকঠাক চলাচল করলে সমস্যা হবে না।
লঞ্চের স্টাফ ফজলু মিয়া বলেন, ‘লঞ্চের যাত্রী কখনো গাড়িতে গিয়া আরাম পাইব না। এই মানুষগুলা লঞ্চের অভাবে কষ্ট করছে। আমরাও খাইয়া না-খাইয়া ছিলাম। জাহাজগুলা ঠিকঠাক চললে নিরাপত্তা নিয়া কোনো সমস্যাই হইব না। বিআইডব্লিউটিএ খালি আমাগোরে শাস্তি দিল, যেই জাহাজগুলো এই সমস্যা বাধায় তাগোরে কিছুই করল না।’
এমএল তাপদার নামের লঞ্চের মাস্টার নবী হোসেন বলেন, ‘আমরা এত দিন অনেক কষ্ট করেছি। মালিকেরা ঠিকমতো আয়রোজগার কিছুই করতে পারে নাই। ঈদ নিয়া দুশ্চিন্তায় ছিলাম। লঞ্চ ছেড়ে দেওয়ায় স্বস্তি আসছে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাঁচটি রুটের মধ্যে চাঁদপুর রুটে যুক্ত হয়েছে ১৩টি লঞ্চ। রামচন্দ্রপুর রুটে ২টি এবং মতলব, মুন্সিগঞ্জ ও নড়িয়া রুটে ১টি করে লঞ্চ যুক্ত হয়েছে। এসব রুটে এখনো পর্যাপ্ত লঞ্চ যুক্ত হতে পারেনি। বিআইডব্লিউটিএর ৭০ ফুট বিবেচনায় বাদ পড়েছে ৫২টি লঞ্চ। লঞ্চ মালিক সমিতির মতে, এখনো শত শত শ্রমিক বেকার অবস্থায় রয়েছেন।
লঞ্চ চালুর বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের উপপরিচালক বাবু লাল বৈদ্য বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি রুটে মোট ১৮টি লঞ্চ চালুর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সকাল থেকে লঞ্চ চলাচল করছে। অনুমতি পাওয়া লঞ্চগুলোকে এক বছরের মধ্যে আপার ডেক করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আর বাকি ৫২টি লঞ্চকে চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়নি।’
সব লঞ্চের অনুমতি না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল যাত্রী পরিবহন সংস্থা নারায়ণগঞ্জ জোনের সভাপতি মো. বদিউজ্জামান বাদল। তিনি বলেন, ‘৭০টি লঞ্চের মধ্যে মাত্র ১৮টি লঞ্চ চালুর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আমরা এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাই। এভাবে চলতে থাকলে মালিকদের পথে বসতে হবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪