সম্পাদকীয়
ঘটনাটি মর্মান্তিক। একজন মানুষ কতটা বিকারগ্রস্ত হয়ে এমন নৃশংস আচরণ করলেন, তা ভাবতেও কষ্ট হয়। থাইল্যান্ডের একটি ডে-কেয়ার সেন্টারে বৃহস্পতিবার দুপুরে এক বিভীষিকাময় ঘটনায় কমপক্ষে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে শিশুর সংখ্যাই ২৩। পান্যা খামরাব নামের ওই ব্যক্তি পুলিশে চাকরি করতেন। মাদক ব্যবহারের কারণে গত বছর তাঁকে বরখাস্ত করা হয়। এর পর থেকে তিনি মানসিক চাপে ছিলেন। বৃহস্পতিবার একটি আদালতে তাঁর ওই মামলার শুনানি শেষে নিজের সন্তানকে আনতে ওই ডে-কেয়ার সেন্টারে গিয়ে সন্তানকে না পেয়ে এ তাণ্ডব চালান।
ডে-কেয়ার সেন্টারে শিশুসন্তানকে রেখে নিশ্চিন্তে থাকার কথা কর্মজীবী মা-বাবাদের। শিশুদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে কোনো ঘাতক ঢুকে তাণ্ডব চালাতে পারে, এ তো কারও কল্পনায়ও আসার কথা নয়। কোনো হরর সিনেমাতেও এমন দৃশ্যের কথা ভাবা যায় না। একজন মানুষ, যিনি নিজেও কিনা এক শিশুসন্তানের পিতা। নিজের সন্তানকে খুঁজে না পেয়ে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে কেড়ে নিলেন অন্য অনেক সন্তানের জীবন। হাতের শটগান-পিস্তল থেকে নির্বিচার গুলি ছুড়ে মুহূর্তে শিশুদের আবাসটি মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেন। জানা গেছে, ঘটনার সময় ডে-কেয়ার সেন্টারে থাকা ৩০ শিশুর মধ্যে ২৩ জনেরই মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া এক শিক্ষিকাসহ সেখানকার আরও অন্তত ৫ জন নিহত হন। নিহত ওই শিক্ষিকা আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
উদ্ভ্রান্ত ওই ব্যক্তি ডে-কেয়ার সেন্টার থেকে বেরিয়ে রাস্তায়ও গুলি ছুড়েছেন এবং বাড়ি ফিরে নিজের স্ত্রী ও সন্তানকে গুলি করে হত্যার পর আত্মঘাতী হয়েছেন।
এ পুরো ঘটনাটি হয়তো পরিকল্পিত নয়। তবে এমন ঘটনার দ্বিতীয় উদাহরণও হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। অস্ত্র নিয়ে ঘোরাঘুরি করা যে কতটা বিপজ্জনক, তা থাইল্যান্ডের এ ঘটনা থেকে আবারও পরিষ্কার হলো।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ডে অস্ত্র আইন অত্যন্ত কড়া। অবৈধভাবে অস্ত্র রাখার শাস্তি সর্বোচ্চ ১০ বছর জেল। তাই ধারণা করা হয়, পান্যা খামরাবের কাছে যে অস্ত্র ছিল, তা বেআইনি নয়। অস্ত্র আইন কড়া হলেও অন্য দেশের তুলনায় থাইল্যান্ডে ব্যক্তিগতভাবে অস্ত্র রাখার হার বেশি। পুলিশে কাজ করার সুবাদে ওই ব্যক্তির অস্ত্র রাখা সহজ হয়েছিল কি? মাদকাসক্তি ছাড়া ওই ব্যক্তির অন্য কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
একজন মানুষ এতগুলো মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়েছিল এর আগেও একবার এবং সেটাও থাইল্যান্ডেই। ২০২০ সালে সাবেক এক সেনাসদস্যের এলোপাতাড়ি গুলিতে অন্তত ২৯ ব্যক্তি নিহত হয়েছিল।
এবারের ঘটনার পর এখন হয়তো দেশে দেশে পুলিশ কর্তৃপক্ষের টনক নড়বে। আইনিভাবে অস্ত্র রাখলেও অস্ত্রধারী ব্যক্তির মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে হালনাগাদ তথ্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষের কাছে থাকা জরুরি। মানুষের মনমানসিকতার পরিবর্তন কখন, কীভাবে ঘটে, তা আগে থেকে বোঝা কঠিন। থাইল্যান্ডের এই মর্মান্তিক ঘটনায় নিহত শিশুদের মা-বাবা ও স্বজনদের স্মৃতিতে অপার বেদনা হয়েই থাকবে।
ঘটনাটি মর্মান্তিক। একজন মানুষ কতটা বিকারগ্রস্ত হয়ে এমন নৃশংস আচরণ করলেন, তা ভাবতেও কষ্ট হয়। থাইল্যান্ডের একটি ডে-কেয়ার সেন্টারে বৃহস্পতিবার দুপুরে এক বিভীষিকাময় ঘটনায় কমপক্ষে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে শিশুর সংখ্যাই ২৩। পান্যা খামরাব নামের ওই ব্যক্তি পুলিশে চাকরি করতেন। মাদক ব্যবহারের কারণে গত বছর তাঁকে বরখাস্ত করা হয়। এর পর থেকে তিনি মানসিক চাপে ছিলেন। বৃহস্পতিবার একটি আদালতে তাঁর ওই মামলার শুনানি শেষে নিজের সন্তানকে আনতে ওই ডে-কেয়ার সেন্টারে গিয়ে সন্তানকে না পেয়ে এ তাণ্ডব চালান।
ডে-কেয়ার সেন্টারে শিশুসন্তানকে রেখে নিশ্চিন্তে থাকার কথা কর্মজীবী মা-বাবাদের। শিশুদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে কোনো ঘাতক ঢুকে তাণ্ডব চালাতে পারে, এ তো কারও কল্পনায়ও আসার কথা নয়। কোনো হরর সিনেমাতেও এমন দৃশ্যের কথা ভাবা যায় না। একজন মানুষ, যিনি নিজেও কিনা এক শিশুসন্তানের পিতা। নিজের সন্তানকে খুঁজে না পেয়ে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে কেড়ে নিলেন অন্য অনেক সন্তানের জীবন। হাতের শটগান-পিস্তল থেকে নির্বিচার গুলি ছুড়ে মুহূর্তে শিশুদের আবাসটি মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেন। জানা গেছে, ঘটনার সময় ডে-কেয়ার সেন্টারে থাকা ৩০ শিশুর মধ্যে ২৩ জনেরই মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া এক শিক্ষিকাসহ সেখানকার আরও অন্তত ৫ জন নিহত হন। নিহত ওই শিক্ষিকা আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
উদ্ভ্রান্ত ওই ব্যক্তি ডে-কেয়ার সেন্টার থেকে বেরিয়ে রাস্তায়ও গুলি ছুড়েছেন এবং বাড়ি ফিরে নিজের স্ত্রী ও সন্তানকে গুলি করে হত্যার পর আত্মঘাতী হয়েছেন।
এ পুরো ঘটনাটি হয়তো পরিকল্পিত নয়। তবে এমন ঘটনার দ্বিতীয় উদাহরণও হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। অস্ত্র নিয়ে ঘোরাঘুরি করা যে কতটা বিপজ্জনক, তা থাইল্যান্ডের এ ঘটনা থেকে আবারও পরিষ্কার হলো।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ডে অস্ত্র আইন অত্যন্ত কড়া। অবৈধভাবে অস্ত্র রাখার শাস্তি সর্বোচ্চ ১০ বছর জেল। তাই ধারণা করা হয়, পান্যা খামরাবের কাছে যে অস্ত্র ছিল, তা বেআইনি নয়। অস্ত্র আইন কড়া হলেও অন্য দেশের তুলনায় থাইল্যান্ডে ব্যক্তিগতভাবে অস্ত্র রাখার হার বেশি। পুলিশে কাজ করার সুবাদে ওই ব্যক্তির অস্ত্র রাখা সহজ হয়েছিল কি? মাদকাসক্তি ছাড়া ওই ব্যক্তির অন্য কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
একজন মানুষ এতগুলো মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়েছিল এর আগেও একবার এবং সেটাও থাইল্যান্ডেই। ২০২০ সালে সাবেক এক সেনাসদস্যের এলোপাতাড়ি গুলিতে অন্তত ২৯ ব্যক্তি নিহত হয়েছিল।
এবারের ঘটনার পর এখন হয়তো দেশে দেশে পুলিশ কর্তৃপক্ষের টনক নড়বে। আইনিভাবে অস্ত্র রাখলেও অস্ত্রধারী ব্যক্তির মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে হালনাগাদ তথ্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষের কাছে থাকা জরুরি। মানুষের মনমানসিকতার পরিবর্তন কখন, কীভাবে ঘটে, তা আগে থেকে বোঝা কঠিন। থাইল্যান্ডের এই মর্মান্তিক ঘটনায় নিহত শিশুদের মা-বাবা ও স্বজনদের স্মৃতিতে অপার বেদনা হয়েই থাকবে।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫