আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
মাতারবাড়ী ও নির্মাণাধীন বে-টার্মিনালের জন্য ভূমি অধিগ্রহণে চট্টগ্রাম বন্দরের কাছে ৮৫ কোটি টাকা দাবি করেছে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। মোট ক্ষতিপূরণের ২ শতাংশ টাকা চাওয়া হয়েছে প্রশাসনিক ব্যয় হিসেবে। আগাম হিসেবে ১৫ কোটি ৩৫ লাখ টাকা আদায়ও করা হয়েছে।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলেছে, এভাবে প্রশাসনিক খরচ দাবি করার ব্যাপারে গত ২৪ জানুয়ারি অডিট আপত্তি দেওয়া হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় বা ভূমি মন্ত্রণালয়ের আদেশ অনুসারে প্রশাসনিক খরচ আদায়ের কোনো নির্দেশনা নেই।
সরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য জমি অধিগ্রহণে প্রশাসনিক খরচ কেন দিতে হবে, জানতে চাইলে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আমিন আল পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, অধিগ্রহণের কাজে অতিরিক্ত জনবল লাগে, অতিরিক্ত কম্পিউটার, কাগজ ইত্যাদির বাড়তি ব্যবহার হয়। তিনি বলেন, সব ধরনের অধিগ্রহণ থেকে নিয়ম মেনেই ২ শতাংশ হারে অর্থ আদায় করা হয়। এই টাকা সরকারি কোষাগারে জমা থাকে। জেলা প্রশাসন বিধি মোতাবেক সামান্য অর্থ খরচ করতে পারে।
জানা গেছে, কক্সবাজারের মাতারবাড়ীতে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের জন্য ২৮৩ দশমিক ২৩ একর ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন হয়। এই জমি অধিগ্রহণে ৩৮৪ কোটি ৪২ লাখ ৯৪ হাজার টাকা লাগে। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসন ভূমিমালিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সময় এই টাকা থেকে ২ শতাংশ হিসাবে ৭ কোটি ১৫ লাখ ৩৫ হাজার ১৮৭ টাকা চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আদায় করে।
একইভাবে চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনালের জন্য দুই ধাপে ৮৭১ একর জায়গা অধিগ্রহণ বাবদ আরও ৮ কোটি টাকা আদায় করে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্মকর্তারা বলছেন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ৮০২ একর খাসজমির জন্য ব্যক্তিমালিকানাধীন জমির মতো বাজারমূল্যের তিন গুণ দাম নির্ধারণ করে বন্দরের কাছে ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা দাবি করে। টাকার মধ্যে প্রশাসনিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৭০ কোটি টাকা। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মো. রায়হান মেহবুবের সই করা চিঠিতে বন্দরের কাছ
থেকে সেই টাকা চাওয়া হয়। কিন্তু বন্দর থেকে আপত্তি জানিয়ে বলা হয়, জেলা প্রশাসনের আনুষঙ্গিক খরচের ২ শতাংশ দেওয়া সম্ভব নয়।
বন্দরের কর্মকর্তারা বলছেন, স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ আইন, ২০১৭-এর ৭ অনুচ্ছেদ অনুসারে অধিগ্রহণ প্রস্তাবে খাসজমি থাকলে তার আর অধিগ্রহণের প্রয়োজন নেই। এ ক্ষেত্রে খাসজমির মূল্য বাজারমূল্যের সমান ধরে সেই পরিমাণ অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হয়। এখন স্বাভাবিকভাবেই বে-টার্মিনালের ৮০২ একর খাসজমির দরকার হচ্ছে, তার দাম কোনোভাবেই ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি অধিগ্রহণের মতো তিন গুণ হতে পারে না। এই আইনে ব্যক্তিমালিকানার জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন হলে তার জন্য বাজারমূল্যের তিন গুণ দাম দিতে বলা হয়। কিন্তু চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন খাসজমির ক্ষেত্রেও তিন গুণ দাম হিসাব করেছে।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৮০২ একর যেহেতু খাসজমি, তাই বন্দর কর্তৃপক্ষকে প্রতীকী মূল্য দেওয়ার জন্য নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে অবহিত করেছি। খাসজমি মন্ত্রণালয় থেকে মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তর করলে সেখানে টাকা লাগার কথা নয়।’
তবে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (ভূমি অধিগ্রহণ) মাসুদ কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, জমি হস্তান্তর করতে হলে প্রশাসনিক খরচও দিতে হবে, সেটাই বিধান।
এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মুমিনুর রহমানের কাছে ফোন করে ও ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হলে তিনি কোনো জবাব দেননি। পরে তাঁর দপ্তরে গেলেও তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
মাতারবাড়ী ও নির্মাণাধীন বে-টার্মিনালের জন্য ভূমি অধিগ্রহণে চট্টগ্রাম বন্দরের কাছে ৮৫ কোটি টাকা দাবি করেছে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। মোট ক্ষতিপূরণের ২ শতাংশ টাকা চাওয়া হয়েছে প্রশাসনিক ব্যয় হিসেবে। আগাম হিসেবে ১৫ কোটি ৩৫ লাখ টাকা আদায়ও করা হয়েছে।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলেছে, এভাবে প্রশাসনিক খরচ দাবি করার ব্যাপারে গত ২৪ জানুয়ারি অডিট আপত্তি দেওয়া হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় বা ভূমি মন্ত্রণালয়ের আদেশ অনুসারে প্রশাসনিক খরচ আদায়ের কোনো নির্দেশনা নেই।
সরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য জমি অধিগ্রহণে প্রশাসনিক খরচ কেন দিতে হবে, জানতে চাইলে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আমিন আল পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, অধিগ্রহণের কাজে অতিরিক্ত জনবল লাগে, অতিরিক্ত কম্পিউটার, কাগজ ইত্যাদির বাড়তি ব্যবহার হয়। তিনি বলেন, সব ধরনের অধিগ্রহণ থেকে নিয়ম মেনেই ২ শতাংশ হারে অর্থ আদায় করা হয়। এই টাকা সরকারি কোষাগারে জমা থাকে। জেলা প্রশাসন বিধি মোতাবেক সামান্য অর্থ খরচ করতে পারে।
জানা গেছে, কক্সবাজারের মাতারবাড়ীতে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের জন্য ২৮৩ দশমিক ২৩ একর ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন হয়। এই জমি অধিগ্রহণে ৩৮৪ কোটি ৪২ লাখ ৯৪ হাজার টাকা লাগে। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসন ভূমিমালিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সময় এই টাকা থেকে ২ শতাংশ হিসাবে ৭ কোটি ১৫ লাখ ৩৫ হাজার ১৮৭ টাকা চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আদায় করে।
একইভাবে চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনালের জন্য দুই ধাপে ৮৭১ একর জায়গা অধিগ্রহণ বাবদ আরও ৮ কোটি টাকা আদায় করে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্মকর্তারা বলছেন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ৮০২ একর খাসজমির জন্য ব্যক্তিমালিকানাধীন জমির মতো বাজারমূল্যের তিন গুণ দাম নির্ধারণ করে বন্দরের কাছে ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা দাবি করে। টাকার মধ্যে প্রশাসনিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৭০ কোটি টাকা। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মো. রায়হান মেহবুবের সই করা চিঠিতে বন্দরের কাছ
থেকে সেই টাকা চাওয়া হয়। কিন্তু বন্দর থেকে আপত্তি জানিয়ে বলা হয়, জেলা প্রশাসনের আনুষঙ্গিক খরচের ২ শতাংশ দেওয়া সম্ভব নয়।
বন্দরের কর্মকর্তারা বলছেন, স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ আইন, ২০১৭-এর ৭ অনুচ্ছেদ অনুসারে অধিগ্রহণ প্রস্তাবে খাসজমি থাকলে তার আর অধিগ্রহণের প্রয়োজন নেই। এ ক্ষেত্রে খাসজমির মূল্য বাজারমূল্যের সমান ধরে সেই পরিমাণ অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হয়। এখন স্বাভাবিকভাবেই বে-টার্মিনালের ৮০২ একর খাসজমির দরকার হচ্ছে, তার দাম কোনোভাবেই ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি অধিগ্রহণের মতো তিন গুণ হতে পারে না। এই আইনে ব্যক্তিমালিকানার জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন হলে তার জন্য বাজারমূল্যের তিন গুণ দাম দিতে বলা হয়। কিন্তু চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন খাসজমির ক্ষেত্রেও তিন গুণ দাম হিসাব করেছে।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৮০২ একর যেহেতু খাসজমি, তাই বন্দর কর্তৃপক্ষকে প্রতীকী মূল্য দেওয়ার জন্য নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে অবহিত করেছি। খাসজমি মন্ত্রণালয় থেকে মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তর করলে সেখানে টাকা লাগার কথা নয়।’
তবে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (ভূমি অধিগ্রহণ) মাসুদ কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, জমি হস্তান্তর করতে হলে প্রশাসনিক খরচও দিতে হবে, সেটাই বিধান।
এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মুমিনুর রহমানের কাছে ফোন করে ও ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হলে তিনি কোনো জবাব দেননি। পরে তাঁর দপ্তরে গেলেও তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
২ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
২ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৩ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫