Ajker Patrika

প্রতিবাদে মানববন্ধন বিক্ষোভ, তদন্ত শুরু

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ১৩ অক্টোবর ২০২১, ১৩: ৪১
প্রতিবাদে মানববন্ধন বিক্ষোভ, তদন্ত শুরু

গোপালগঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোজ কান্তি বিশ্বাসকে লাথি মারাসহ দুই দফায় মারধর এবং বরখাস্তের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় গোপালগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এদিকে এ ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গতকাল সকালে গোপালগঞ্জ এসেছে।

মনোজ কান্তি বিশ্বাসের সাময়িক বরখাস্ত প্রত্যাহার এবং বেতন দেওয়ার দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. আতিকুর রহমান আতিক ও সাধারণ সম্পাদক মো. মতিউর রহমান মতিন স্বাক্ষরিত এক প্রতিবাদলিপি করা হয়। প্রতিবাদলিপিতে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা গৌতম চন্দ্র রায়কে সাময়িক বরখাস্ত, বিভাগীয় মামলা রুজু এবং সাধারণ ডায়েরি প্রত্যাহার ও মনোজ কান্তি বিশ্বাসের কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানানো হয়। প্রতিবাদ লিপিতে তারা আরও বলেন, সাত দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটি কঠোর কর্মসূচি দেবে।

মানববন্ধন চলাকালে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ও জেলা সভাপতি আছমা খানমের সভাপতিত্ব করেন। সমাবেশে কেন্দ্রীয় উপ মহিলা-সম্পাদক মোছা. খাদিজা বেগম, বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদের সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান, সংগঠনের জেলা দপ্তর সম্পাদক আসাদুজ্জামান, শিক্ষক ফরিদা ইয়াসমিন মিশরী প্রমুখ বক্তব্য দেন।

শিক্ষক নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ওই সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা শুধু একজন শিক্ষককে লাথি মারেননি, তিনি সব শিক্ষকের বুকে লাথি মেরেছেন। এমন ঘটনার পর পরিকল্পিতভাবে প্রধান শিক্ষক মনোজ কান্তি বিশ্বাসের বিরুদ্ধে উল্টো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এদিকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক রকিব উদ্দিনের নেতৃত্বে সহকারী পরিচালক (আইন সেল) মো. আতাউর রহমান ও শিক্ষা কর্মকর্তা (প্রশাসন শাখা) মজিব আলমের সমন্বয়ে একটি তদন্ত-কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাঁদের এ ঘটনার সরেজমিন তদন্ত করে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার সকালে গোপালগঞ্জে এসেই তদন্তে নামে কমিটি। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কক্ষে তাঁরা দুই পক্ষের সাক্ষ্য নেন। বিকেলে তাঁরা গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রধান শিক্ষক মনোজ কান্তি বিশ্বাসের সাক্ষ্য নেন।

তদন্ত কমিটির প্রধান রকিব উদ্দিন বলেন, তাঁরা শতভাগ নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে মহাপরিচালক বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করবেন। এ জন্য তিন দিনের পরিবর্তে পাঁচ দিন সময় লাগতে পারে। দোষী যে-ই হোক না কেন, উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ২৮ নম্বর উরফি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোজ কান্তি বিশ্বাস। তাঁকে গত ৩ অক্টোবর বিকেলে ও ৫ অক্টোবর সকালে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ও তাঁর লোকজন মারধর করেন বলে অভিযোগ। এরপর তাঁর বিরুদ্ধেই থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয় এবং বরখাস্তসহ তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএসএফের হাতে আটক বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তার পরিচয় মিলেছে

বুড়িগঙ্গা থেকে তরুণ-তরুণীর হাত বাঁধা লাশ উদ্ধার

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কাইরান কাজীর বিষয়ে ইলন মাস্কের মন্তব্যে বিস্ময়

অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশকালে বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তাকে আটকের দাবি বিএসএফের

মালয়েশিয়ায় স্থায়ী বসবাসের সুযোগ, আবেদন ফি মাত্র ১৪ হাজার টাকা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত