আনিসুজ্জামান
এরশাদের আমলে একবার ডাকসুর নির্বাচন হয়েছিল ১৯৮৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। বহু বছর পর কেন্দ্রীয় ছাত্র ও হল সংসদের নির্বাচন হলো সেবার। নির্বাচন পরিচালনার জন্য উপাচার্য যাঁদের হাতে দায়িত্ব দিলেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন আনিসুজ্জামান। কলাভবনে কর্তব্য পালনের পাশাপাশি ভোট গ্রহণ কেন্দ্র পরিদর্শন, উপাচার্যের কাছাকাছি থাকাই ছিল তাঁর প্রধান কাজ।
সরকারপক্ষীয় ছাত্রদের ছিল পেশিশক্তি। কিন্তু ছাত্রলীগ আর ছাত্রদলের ছিল শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমর্থন। তাই বোঝাই যাচ্ছিল, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিরোধীদলীয় শিক্ষার্থীরাই জয়ী হবেন। নির্বাচনে জয়ী হলো সুলতান মোহাম্মদ মনসুরের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ। ফলাফল ঘোষণার পর ছাত্রলীগ বিজয় মিছিল বের করল ক্যাম্পাসে। রোকেয়া হল থেকে বিজয় মিছিল বের করা হলে সেই মিছিল আক্রান্ত হলো। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আনিসুজ্জামানকে সভাপতি করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করল। রোকেয়া হলে গিয়ে আনিসুজ্জামানরা সাক্ষ্যপ্রমাণ সংগ্রহের চেষ্টা করলেন।
সে সময় এক ছাত্রী এসে বললেন, ‘তদন্ত কমিটির কাছে যারা আসছে, তাদের দূর থেকে লক্ষ করছে কিছু ছাত্রী। আমি যে সাক্ষ্য দিতে এসেছি, সেটা দেখছে সবাই। আপনারা কি আমার নিরাপত্তা দিতে পারবেন?’
আনিসুজ্জামানকে কবুল করতে হলো, তাঁরা আসলে নিরুপায়। তখন ছাত্রীটি বললেন, ‘এসব তদন্তে কিছু হবে না স্যার। যারা আমাদের মারধর করেছে, তারা বহাল তবিয়তে আছে। তদন্ত কমিটির কাছে সাক্ষ্য দিলে পরিণাম ভালো হবে না বলে শাসাচ্ছে। ভয়ে কেউ সত্য বলতে আসছে না। ওরা যত শক্তিশালী, তাতে ওদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নেওয়া যাবে না।’
মেয়েটা ঠিক বলেছিলেন। রিপোর্ট তৈরি হলো, কাউকে কাউকে চিহ্নিতও করা হলো। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নেওয়া গেল না।
মজার ব্যাপার হলো, যে মেয়েটি কথাগুলো বলেছিলেন, ‘সেই মেয়ে আনিসুজ্জামানের সহকর্মী হয়েছিলেন কিছুদিন বাদে, আর যে মেয়েটি গোলযোগের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী ছিল, সে মেয়েটিও যথাসময়ে আনিসুজ্জামানের সহকর্মী হয়েছিলেন।’
সূত্র: আনিসুজ্জামান, বিপুলা পৃথিবী, পৃষ্ঠা ৪০৬-৪০৭
এরশাদের আমলে একবার ডাকসুর নির্বাচন হয়েছিল ১৯৮৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। বহু বছর পর কেন্দ্রীয় ছাত্র ও হল সংসদের নির্বাচন হলো সেবার। নির্বাচন পরিচালনার জন্য উপাচার্য যাঁদের হাতে দায়িত্ব দিলেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন আনিসুজ্জামান। কলাভবনে কর্তব্য পালনের পাশাপাশি ভোট গ্রহণ কেন্দ্র পরিদর্শন, উপাচার্যের কাছাকাছি থাকাই ছিল তাঁর প্রধান কাজ।
সরকারপক্ষীয় ছাত্রদের ছিল পেশিশক্তি। কিন্তু ছাত্রলীগ আর ছাত্রদলের ছিল শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমর্থন। তাই বোঝাই যাচ্ছিল, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিরোধীদলীয় শিক্ষার্থীরাই জয়ী হবেন। নির্বাচনে জয়ী হলো সুলতান মোহাম্মদ মনসুরের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ। ফলাফল ঘোষণার পর ছাত্রলীগ বিজয় মিছিল বের করল ক্যাম্পাসে। রোকেয়া হল থেকে বিজয় মিছিল বের করা হলে সেই মিছিল আক্রান্ত হলো। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আনিসুজ্জামানকে সভাপতি করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করল। রোকেয়া হলে গিয়ে আনিসুজ্জামানরা সাক্ষ্যপ্রমাণ সংগ্রহের চেষ্টা করলেন।
সে সময় এক ছাত্রী এসে বললেন, ‘তদন্ত কমিটির কাছে যারা আসছে, তাদের দূর থেকে লক্ষ করছে কিছু ছাত্রী। আমি যে সাক্ষ্য দিতে এসেছি, সেটা দেখছে সবাই। আপনারা কি আমার নিরাপত্তা দিতে পারবেন?’
আনিসুজ্জামানকে কবুল করতে হলো, তাঁরা আসলে নিরুপায়। তখন ছাত্রীটি বললেন, ‘এসব তদন্তে কিছু হবে না স্যার। যারা আমাদের মারধর করেছে, তারা বহাল তবিয়তে আছে। তদন্ত কমিটির কাছে সাক্ষ্য দিলে পরিণাম ভালো হবে না বলে শাসাচ্ছে। ভয়ে কেউ সত্য বলতে আসছে না। ওরা যত শক্তিশালী, তাতে ওদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নেওয়া যাবে না।’
মেয়েটা ঠিক বলেছিলেন। রিপোর্ট তৈরি হলো, কাউকে কাউকে চিহ্নিতও করা হলো। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নেওয়া গেল না।
মজার ব্যাপার হলো, যে মেয়েটি কথাগুলো বলেছিলেন, ‘সেই মেয়ে আনিসুজ্জামানের সহকর্মী হয়েছিলেন কিছুদিন বাদে, আর যে মেয়েটি গোলযোগের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী ছিল, সে মেয়েটিও যথাসময়ে আনিসুজ্জামানের সহকর্মী হয়েছিলেন।’
সূত্র: আনিসুজ্জামান, বিপুলা পৃথিবী, পৃষ্ঠা ৪০৬-৪০৭
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৪ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৪ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৫ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫