Ajker Patrika

অভিযানে জব্দ চিংড়ি ফের মালিকের কব্জায়

শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৩ অক্টোবর ২০২১, ১৩: ২৪
অভিযানে জব্দ চিংড়ি ফের মালিকের কব্জায়

র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে অপদ্রব্য প্রয়োগের সময় জব্দ করা চিংড়ি (বাগদা) বিতরণের পর তা আবার কিনে নিয়েছেন মালিকেরা। অভিযান শেষে র‍্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থল ত্যাগের পরই মালিকের লোকজন বিভিন্ন এলাকায় থেকে সেসব চিংড়ি সংগ্রহ করে। একপর্যায়ে রপ্তানি উপযোগী করতে রাতেই নির্দিষ্ট গন্তব্যে (হিমাগার) পাঠিয়ে দেওয়া হয় চিংড়িগুলো। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার নুরনগর বাজারে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলিট ফোর্স র‍্যাবের সাতক্ষীরা ইউনিটের একটি আভিযানিক দল গত সোমবার বেলা ১১টার দিকে নুরনগর বাজারে অভিযান চালায়। এ সময় রপ্তানির জন্য প্রস্তুতকৃত এসব চিংড়ির মধ্যে বিশেষ পদ্ধতিতে অপদ্রব্য প্রয়োগের বিষয়টি হাতেনাতে ধরে র‍্যাব সদস্যরা। একপর্যায়ে ওই বাজারের জাকিয়া ফিশ ও হাসিব এন্টারপ্রাইজসহ চার প্রতিষ্ঠানকে লক্ষাধিক টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো থেকে প্রয়োগের কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জামসহ সাবু, ময়দা উদ্ধারের পাশাপাশি প্রায় ৩০০ কেজি অপদ্রব্য পুশকৃত বাগদা জব্দ করেন তাঁরা। অভিযানের শেষে সংশ্লিষ্টরা আটক করা যাবতীয় চিংড়ি আশপাশের এলাকাজুড়ে গড়ে ওঠা এতিমখানা ও মাদ্রাসাগুলোতে বিতরণ করেন।

স্থানীয়রা জানান, র‍্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থল ত্যাগের পরপরই বেলা ৩টার দিকে ওই চার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মালিক ও তাঁর লোকজন বিতরণ করা মাছ উদ্ধারে দৌড়ঝাঁপ শুরু করে। এ সময় তাঁরা একে একে বিতরণের চিংড়ি পাওয়া আশপাশের এতিমখানা ও মাদ্রাসাগুলোতে পৌঁছে চিংড়িগুলো ফিরিয়ে নেন। তাঁরা আরও জানান, এতিমখানা ও মাদ্রাসাসহ থেকে চিংড়ির চালান ফিরিয়ে নেওয়ার বিনিময়ে কর্তৃপক্ষকে নগদ পাঁচ হাজার করে টাকা দেন সংশ্লিষ্ট চিংড়ির মালিকেরা। এ সময় স্বল্প পরিমাণ চিংড়ি এতিমখানা ও মাদ্রাসার বাচ্চাদের খাওয়ার জন্য মালিকের লোকজন দিয়ে যান।

অভিযুক্ত ব্যবসায়ী জাকিয়া ফিশের স্বত্বাধিকারী জাহাঙ্গীর হোসেনসহ আব্দুল আজিজের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁদের কেউ মোবাইল ফোন রিসিভ করেনি। যদিও অপর ব্যবসায়ী সৈয়দ আলী দাবি করেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে জব্দকৃত চিংড়ি বিভিন্ন এতিমখানা ও মাদ্রাসায় দেওয়ার পর কী হয়েছে তা তাঁর জানা নেই। তবে র‍্যাব সদস্যরা চলে যাওয়ার পর অনেকে বিভিন্ন মাদ্রাসায় গিয়ে টাকা দিয়ে মাছ নেওয়ার চেষ্টা করে বলে তিনি লোকমুখে শুনেছেন বলে জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত