সম্পাদকীয়
... যখন বয়স পঁচিশ, গঙ্গার ধারে বাংলার এক প্রত্যন্ত জেলায় বোট হাউসে পরম নির্জনতায় দিন কাটিয়েছি। প্রতি হেমন্তে হিমালয়ের ঝিলগুলি থেকে যে-বুনো হাঁসেরা উড়ে আসত, একমাত্র তারাই ছিল আমার জীবন্ত সঙ্গী। সেই গভীর নির্জনতায় উন্মুক্ত বিশ্বের মাঝে ঝলমলে রৌদ্রের মধ্যে যেন আমি মাতাল হয়ে থাকতাম, নদীর কুলকুল বয়ে যাওয়ার শব্দ আমাকে প্রকৃতির রহস্য ধরিয়ে দিত। সেই নির্জন বিচ্ছিন্নতায় আমি দিন কাটাতাম। আমার স্বপ্ন, চিন্তাকে রূপ দিতাম কবিতায়, কলকাতার মানুষজনের কাছে তা পৌঁছে যেত বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে।...
এরপর সেই সময় এল যখন নির্জনতা আর সহ্য হলো না, তার থেকে বেরিয়ে আসার জন্য প্রাণ ছটফট করতে লাগল। আমার চারপাশের মানুষের জন্য কিছু করার তাগিদ অনুভব করতে লাগলাম। স্বদেশবাসীর জন্য নির্দিষ্ট করে কিছু কাজ করা, আমার ধ্যানধারণা ও স্বপ্নের একটি নির্দিষ্ট রূপ দেওয়ার তাড়না তৈরি হলো।
একটি কাজের কথা মাথায় এলো। তা হল, শিশুদের পড়ানোর কথা। এমনটা নয় যে, এই কাজে আমি পারঙ্গম, আমি নিজেই তো ধারাবাহিক শিক্ষাব্যবস্থার পূর্ণ সুবিধা নিইনি। তাই প্রথমে এই কাজ শুরু করার ক্ষেত্রে কিছুটা দ্বিধা থাকলেও, ভেবে দেখলাম, প্রকৃতির প্রতি আমার গভীর টান রয়েছে, তেমন শিশুদের প্রতিও রয়েছে প্রগাঢ় ভালোবাসা।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শুরু করার পেছনে মূল উদ্দেশ্য ছিল, বাচ্চাদের আনন্দ উপভোগ করার পূর্ণ অবকাশ ও স্বাধীনতা দেওয়া, প্রকৃতির সঙ্গে তাদের একাত্মতা গড়ে তুলতে সাহায্য করা। আমার শৈশবে যে প্রতিবন্ধকতাগুলো এসেছে, ইশকুলে যাওয়া বহু শিশু সেই একই বাধাবিপত্তির শিকার, যে শিক্ষাব্যবস্থার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে তা শিশুজীবনের স্বাধীনতা এবং আনন্দকে গুঁড়িয়ে দেয়। তাই, আমার লক্ষ্য ছিল সেই আনন্দ এবং স্বাধীনতাকে বাচ্চাদের হাতে তুলে দেওয়া।
কিছু ছেলেপুলে জুটে গেল, তাদের পড়াতে লাগলাম। তাদের আনন্দ দিতে চেষ্টা করলাম। আমি হয়ে উঠলাম তাদের খেলার সাথি।
... যখন বয়স পঁচিশ, গঙ্গার ধারে বাংলার এক প্রত্যন্ত জেলায় বোট হাউসে পরম নির্জনতায় দিন কাটিয়েছি। প্রতি হেমন্তে হিমালয়ের ঝিলগুলি থেকে যে-বুনো হাঁসেরা উড়ে আসত, একমাত্র তারাই ছিল আমার জীবন্ত সঙ্গী। সেই গভীর নির্জনতায় উন্মুক্ত বিশ্বের মাঝে ঝলমলে রৌদ্রের মধ্যে যেন আমি মাতাল হয়ে থাকতাম, নদীর কুলকুল বয়ে যাওয়ার শব্দ আমাকে প্রকৃতির রহস্য ধরিয়ে দিত। সেই নির্জন বিচ্ছিন্নতায় আমি দিন কাটাতাম। আমার স্বপ্ন, চিন্তাকে রূপ দিতাম কবিতায়, কলকাতার মানুষজনের কাছে তা পৌঁছে যেত বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে।...
এরপর সেই সময় এল যখন নির্জনতা আর সহ্য হলো না, তার থেকে বেরিয়ে আসার জন্য প্রাণ ছটফট করতে লাগল। আমার চারপাশের মানুষের জন্য কিছু করার তাগিদ অনুভব করতে লাগলাম। স্বদেশবাসীর জন্য নির্দিষ্ট করে কিছু কাজ করা, আমার ধ্যানধারণা ও স্বপ্নের একটি নির্দিষ্ট রূপ দেওয়ার তাড়না তৈরি হলো।
একটি কাজের কথা মাথায় এলো। তা হল, শিশুদের পড়ানোর কথা। এমনটা নয় যে, এই কাজে আমি পারঙ্গম, আমি নিজেই তো ধারাবাহিক শিক্ষাব্যবস্থার পূর্ণ সুবিধা নিইনি। তাই প্রথমে এই কাজ শুরু করার ক্ষেত্রে কিছুটা দ্বিধা থাকলেও, ভেবে দেখলাম, প্রকৃতির প্রতি আমার গভীর টান রয়েছে, তেমন শিশুদের প্রতিও রয়েছে প্রগাঢ় ভালোবাসা।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শুরু করার পেছনে মূল উদ্দেশ্য ছিল, বাচ্চাদের আনন্দ উপভোগ করার পূর্ণ অবকাশ ও স্বাধীনতা দেওয়া, প্রকৃতির সঙ্গে তাদের একাত্মতা গড়ে তুলতে সাহায্য করা। আমার শৈশবে যে প্রতিবন্ধকতাগুলো এসেছে, ইশকুলে যাওয়া বহু শিশু সেই একই বাধাবিপত্তির শিকার, যে শিক্ষাব্যবস্থার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে তা শিশুজীবনের স্বাধীনতা এবং আনন্দকে গুঁড়িয়ে দেয়। তাই, আমার লক্ষ্য ছিল সেই আনন্দ এবং স্বাধীনতাকে বাচ্চাদের হাতে তুলে দেওয়া।
কিছু ছেলেপুলে জুটে গেল, তাদের পড়াতে লাগলাম। তাদের আনন্দ দিতে চেষ্টা করলাম। আমি হয়ে উঠলাম তাদের খেলার সাথি।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৪ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৪ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৪ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫