Ajker Patrika

ইজারা বন্ধ, মুফতে বালু তুলে পকেট ভারী

মিন্টু মিয়া, নান্দাইল (ময়মনসিংহ)
ইজারা বন্ধ, মুফতে বালু তুলে পকেট ভারী

ময়মনসিংহের নান্দাইলে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে অবৈধভাবে বালু তোলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নদ থেকে বালু তোলার কারণে চরভেলামারী বেড়িবাঁধ ও ফসলি জমি হুমকির মুখে পড়েছে। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল এর সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

উপজেলা প্রশাসন বলছে, ইতিমধ্যে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে ভেকু। অবৈধভাবে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

জানা গেছে, উপজেলার চরবেতাগৈর ইউনিয়নের চরভেলামারীতে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে প্রতিদিন বালু তোলা হচ্ছে। বালু তোলার স্থানটি নান্দাইল-ত্রিশাল সীমান্তবর্তী এলাকায়। নান্দাইল অংশে চরভেলামারী ব্রহ্মপুত্র নদের ইজারা ২০১৮ সাল থেকে বন্ধ থাকলেও অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ হয়নি। ফলে নদের চরভেলামারী বেড়িবাঁধ ও ফসলি জমি হুমকির মুখে পড়েছে।

আরও জানা গেছে, চরবেতাগৈর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কিছু প্রভাবশালী লোক অবৈধ বালু তোলার সঙ্গে জড়িত। তাঁরা প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে কোটি কোটি টাকার বালু ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে তুলে বিক্রি করছেন।

ব্রহ্মপুত্র নদের নান্দাইল অংশ চরভেলামারী এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, নদের তীরে স্তূপ করে রাখা হয়েছে বালু। কেউ আবার বালু ট্রাক্টর ও ডাম্প ট্রাকে করে বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করছেন। বালুর স্তূপের সামনে এগিয়ে গেলে দেখা যায় বিশাল বিস্তৃত গর্ত করে নদ থেকে ভেকু দিয়ে সরাসরি ট্রাক্টরে ভরা হচ্ছে। তার পাশে কয়েকজন যুবক পাহারা দিয়ে প্রশাসনের উপস্থিতির ওপর নজর রেখে বালুর তদারকি করছেন।

স্থানীয়রা জানান, নান্দাইল-ত্রিশাল সড়ক দিয়ে প্রতিদিন এইসব বালু ঈশ্বরগঞ্জ-মধুপুর-দেওয়ানগঞ্জ, নান্দাইলসহ বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করা হয়। অবৈধভাবে বালু তোলায় সরকার কোটি কোট টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। গত ২৯ জুলাই সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ টি এম আরিফ ব্রহ্মপুত্র নদে অভিযান চালিয়ে দুটি ভেকু জব্দ করেন। এ ঘটনায় বেতাগৈর ইউনিয়নের উপসহকারী কর্মকর্তা বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে নিয়মিত মামলা করেন।

এদিকে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে নান্দাইল নদী রক্ষা কমিটি ও মানবাধিকার কমিশনের নেতাদের যৌথ উদ্যোগে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন করে। 
চরবেতাগৈর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক আবুল হাসেম বলেন, ‘কিছু গরিব মানুষ বালু তুলছে। কারা বালু তুলছে আমি খোঁজখবর রাখি না। কারা বালু নিচ্ছে সে ব্যাপারে আমার কাছে তথ্য নেই।’

চরবেতাগৈর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফরিদ উদ্দিন মোবাইল ফোনে বলেন, ‘একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরেই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। আমি অনেকবার প্রশাসনের সহযোগিতায় তা বন্ধ করতে চেয়েছি, কিন্তু পারছি না। গত ২৯ জুলাই সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিযান চালিয়ে দুটি ভেকু জব্দ করে আমার জিম্মায় রেখেছেন।’

নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আবুল মনসুরের মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে সহকারী কমিশনারের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। 
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নান্দাইল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ টি এম আরিফ বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমরা অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছি। দুটি ভেকু জব্দ করা হয়েছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মে. জে. ফজলুরের সেভেন সিস্টার্স দখলের মন্তব্য সমর্থন করে না সরকার: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে স্টারলিংকের প্রস্তাবিত কার্যক্রমের বিস্তারিত চায় ভারত

নিজের প্রস্রাব পান করে ‘আশিকি’ অভিনেত্রী অনু আগারওয়াল বললেন, ‘আহা অমৃত’

নির্দেশনা মানেননি পাইলট, মদিনা-ঢাকা ফ্লাইটকে নামতে হলো সিলেটে

গায়ে কেরোসিন ঢেলে কলেজছাত্রীর আত্মহনন, পলাতক ইমাম গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত