Ajker Patrika

আত্মীয়তা রক্ষার সুফল অনেক

মুনীরুল ইসলাম
আপডেট : ২৭ মার্চ ২০২২, ১১: ৪৮
আত্মীয়তা রক্ষার সুফল অনেক

আত্মীয়তার সম্পর্ক মানুষের মনে শক্তি ও সাহস জোগায়। দুইভাবে আত্মীয়তার সম্পর্ক স্থাপিত হয়ে থাকে—রক্তের সম্পর্কে এবং বৈবাহিক সম্পর্কে। আত্মীয়তার সম্পর্ক অটুট রাখার জোর তাগিদ দেয় ইসলাম।

পবিত্র কোরআনে প্রিয় বান্দাদের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আল্লাহ যে সম্পর্ক অক্ষুণ্ন রাখতে আদেশ দিয়েছেন, যারা তা অক্ষুণ্ন রাখে এবং তাদের প্রতিপালককে ভয় করে আর ভয় করে কঠোর হিসাবকে, (তারাই বিবেকবান)।’ (সুরা রাদ: ২১)

অন্য আয়াতে এরশাদ হচ্ছে, ‘এবং আত্মীয়দের (অধিকার খর্ব করা)-কে ভয় করো। নিশ্চিত জেনে রেখো, আল্লাহ তোমাদের প্রতি লক্ষ রাখছেন।’ (সুরা নিসা: ১)

গরিব আত্মীয়-স্বজনকে দান করলে দ্বিগুণ সওয়াব পাওয়া যায় বলে হাদিসে ঘোষণা করা হয়েছে। কোরবানির গোশত তিন ভাগ করে এক ভাগ নিজে রাখতে, এক ভাগ গরিবদের এবং এক ভাগ আত্মীয়দের দিতে বলা হয়েছে। আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ও ভালোবাসার সম্পর্ক অটুট রাখার ক্ষেত্রে মহানবী (সা.)-এর আদর্শ অতুলনীয়। তিনি নিজে যেমন এ ব্যাপারে সদা যত্নবান ছিলেন, সাহাবিদেরও নিয়মিত তাগিদ ও উৎসাহ দিতেন। এ সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য ইহকালে রয়েছে অনেক কল্যাণ এবং পরকালে রয়েছে প্রচুর সওয়াব।

মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি রিজিকে প্রাচুর্য এবং জীবনের উন্নতি কামনা করে, তার আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা উচিত।’ (বুখারি) পক্ষান্তরে আত্মীয়তার সম্পর্ক নষ্ট করার ক্ষতি সম্পর্কে মহানবী (সা.) বলেন, ‘আত্মীয়তার সম্পর্ক নষ্ট করা ও জুলুম করার চেয়ে অধিক উপযুক্ত কোনো অপরাধ নেই, যার শাস্তি সত্বরই দুনিয়াতে দেওয়া হবে। অথচ আখিরাতের শাস্তি তার জন্য বরাদ্দ থাকেই।’ (আহমদ)

মুনীরুল ইসলাম, সভাপতি, বাংলাদেশ ইসলামী লেখক ফোরাম

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত