Ajker Patrika

মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনাতে গিয়ে কাঁদলেন তাঁরা

রাজশাহী প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ মার্চ ২০২২, ১৩: ৩৯
মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনাতে গিয়ে কাঁদলেন তাঁরা

যুদ্ধফেরত এক মুক্তিযোদ্ধার কাছে একসঙ্গে যুদ্ধে যাওয়া স্বামীর খোঁজ নিতে এসেছিলেন এক নারী। সেদিন ওই নারীর কাছে সহযোদ্ধারা কেউ বলেননি যে, তাঁর স্বামী যুদ্ধে মারা গেছেন। স্ত্রীকে আশা দিয়ে বাসায় ফেরত পাঠানো হয়। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে শিক্ষার্থীদের কাছে এই সত্য গোপন করার জন্য ডুকরে কেঁদে ওঠেন একজন মুক্তিযোদ্ধা।

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার ডাকরা ডিগ্রি কলেজের পক্ষ থেকে গতকাল রোববার সকালে শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনানোর আয়োজন করা হয়েছিল। কলেজের সামনে বকুতলায় বসে চারজন বীর মুক্তিযোদ্ধা শিক্ষার্থীদের এই গল্প শোনান। গল্প বলতে গিয়ে তাঁরা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। ৫০ বছর আগের ঘটনা এমন করে বলছেন যেন গতকাল ঘটে যাওয়া ঘটনা।

গল্প বলতে এসেছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলাইমান খন্দকার, বয়ান উদ্দিন, ইউসুফ আলী ও আব্দুল মজিদ। ইউসুফ আলী সৈয়দপুরে সেনাবাহিনীতে কর্মরত অবস্থায় যুদ্ধে যোগদান করেছিলেন। আর আব্দুল মজিদ ছিলেন কুমিল্লায়। দুজনেই পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে থেকে কীভাবে নিজের জীবন বাঁচিয়ে যুদ্ধে যোগদান করেছিলেন, সেটির লোমহর্ষ বর্ণনা দেন। বয়ান উদ্দিন বর্ণনা দেন যেখানে বসে তাঁরা গল্প বলছিলেন, তাঁর কয়েক শ গজ দূরে কীভাবে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে তাঁরা লড়েছিলেন। ভাত খেতে বসা একজন মুক্তিযোদ্ধাকে রাজাকাররা পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে কীভাবে তুলে দিয়েছিল। পরে তাঁর লাশও খুঁজে পাওয়া যায়নি।

বয়ান উদ্দিন আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্থানীয় এই ইতিহাস কোনো বইপুস্তকে কেউ কোনো দিন লিখে রাখবে না। নতুন প্রজন্ম জানতেও পারবে না যে, গল্পের আসরে এসেছিলেন যুদ্ধে বাবা হারানো এক শহীদের সন্তান। এসেছিলেন স্থানীয় ভায়া লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ। তিনিও যুদ্ধের সময়ের অভিজ্ঞতা শিক্ষার্থীদের মাঝে তুলে ধরেন।

কলেজের শিক্ষার্থীরা মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে খুঁটে খুঁটে সবকিছুই জানতে চাচ্ছিলেন। কলেজের অধ্যক্ষ মো. আব্দুর রউফ বলেন, ‘জাতির এই সূর্যসন্তানদের কাছে আমাদের ঋণ কোনো দিন শোধ হবে না। যেখানে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে দেখা হবে, সেখানেই তাঁদের শ্রদ্ধা জানতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সমাবেশে দলীয় স্লোগান ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনে বাধা দেওয়া প্রসঙ্গে এনসিপির বিবৃতি

তোরা যারা রাজাকার, সময় থাকতে বাংলা ছাড়: বাকের মজুমদার

কঠোর হচ্ছে যুক্তরাজ্যের অভিবাসন নীতি, স্থায়ী বসবাসের আবেদনে অপেক্ষা ১০ বছর

চাকরিতে কোটা: সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য আসছে সমান সুযোগ

যুদ্ধবিরতি ঘোষণার কারণে এক্সে তোপের মুখে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব ও তাঁর মেয়ে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত