Ajker Patrika

আমার মাথায় মুকুট পরানো হয়েছে

সম্পাদকীয়
আমার মাথায় মুকুট পরানো হয়েছে

এই অপূর্ব মর্যাদার সামনে দাঁড়িয়ে কী করতে পারি আজ আমি? আমার পা যেন আর মাটিতে গাঁথা নেই। আকাশে উড়ছে আর মাথা ঘুরছে বনবন করে। নিজেকে নিজের মধ্যে ধরে রাখা সহজ নয় এখন।

আসলে আমি যা ছিলাম, তা-ই রয়েছি; কিন্তু আমার দেশের প্রতি যে শ্রদ্ধার্ঘ্য, সম্মান বর্ষিত হচ্ছে, তাতে আমি অভিভূত। কয়েক মিনিট আগেই এই হলে আমাদের জাতীয় সংগীত বাজার সময়েও যা টের পাওয়া গেল।এমনটা নয় যে এই প্রথম আমার মাটি থেকে পা উঠল।

সেই যৌবনকালেও কতবারই না এমনটা ঘটেছে। কারই-বা যৌবনে তা ঘটেনি? তবে সেই সব সংরক্ষণশীল যুবকের কাছে অবশ্য এই অনুভূতিটা বেশ আশ্চর্যের, যাঁরা জন্ম থেকেই বুড়ো, যাঁরা ভেসে যাওয়ার মানেই জানেন না। সেই সব যুবক-যুবতীর চেয়ে দুর্ভাগা আর কেই-বা আছেন, যাঁরা অকালপক্বের মতো অল্প বয়সেই সাবধানি, খুঁতখুঁতে এবং কাঠখোট্টা? তবে ঈশ্বর জানেন, বেশি বয়সেও অনেক সুযোগ আসে ভেসে যাওয়ার। নিজেকে না বদলে নিজের মতো করে থাকতে পারলে মন্দ কী!

যা-ই হোক, আমি আমার এই মেঠো জ্ঞান অধিক বিতরণ করতে চাই না—এই অত্যন্ত বিশিষ্ট শ্রোতাদের সামনে, বিশেষ করে এমন একটা সময়ে যখন আমার পরই বলতে উঠবেন বিজ্ঞান শাখার বিজয়ীরা। তাই আমি শিগগিরই শেষ করব, তবে এটাও বলব যে আজ আমার এক বিরাট দিন।

আপনাদের বিচারে আজ আমাকে বেছে নেওয়া হয়েছে হাজার হাজার জনের মধ্য থেকে, আমার মাথায় মুকুট পরানো হয়েছে। আমার দেশের পক্ষ থেকে আমি সুইডিশ একাডেমি এবং গোটা সুইডেনকে ধন্যবাদ জানাই এই বিরল সম্মান দেওয়ার জন্য। ব্যক্তিগতভাবে এই বিরাট সম্মানের ভারে আমার মাথা নুয়ে আসছে ঠিকই, কিন্তু আমি গর্বিত এই ভেবে যে আপনাদের একাডেমি এই সম্মান বহনের মতো চওড়া কাঁধ আমার মধ্যে দেখতে পেয়েছে। 

ন্যুট হ্যামসন ১৯২০ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত