নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের কোর্ট হিলে ৪০ বছরে পাঁচটি ভবন তুলেছে জেলা আইনজীবী সমিতি। আরও দুটি ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে তারা। এ নিয়ে গত বছরের সেপ্টেম্বরে আইনজীবী নেতাদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব দেখা দেয় জেলা প্রশাসনের। এরপরই ২৫টি সরকারি দপ্তর থেকে কোর্ট হিলের (পরীর পাহাড়) অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে চিঠি দেওয়া হয়। এবার আইনজীবী সমিতির পাঁচটি ভবন অপসারণের নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি)। পুলিশের এই বিশেষ শাখা থেকে ভবনগুলো অপসারণ করে খাস জমি অধিগ্রহণেরও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের কাছে পাঠানো স্পেশাল ব্রাঞ্চের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. জাহিদ হোসেন ভূঞার সই করা এক চিঠিতে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়। ওই চিঠিতে বলা হয়, ২০০৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রামের বাংলাদেশ ব্যাংককে ১ক শ্রেণির গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা (কি পয়েন্ট ইন্সটেলশন-কেপিআই) হিসেবে ঘোষণা করে। কেপিআই সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক প্রতিষ্ঠান। কিন্তু চট্টগ্রাম জেলার আইনজীবী সমিতি প্রচলিত বিল্ডিং কোড না মেনে, সিডিএ এবং কেপিআইডিসির ছাড়পত্র না নিয়ে কেপিআই প্রতিষ্ঠানের দেয়াল ঘেঁষে অবৈধভাবে সরকারি খাস জমিতে ৫টি বহুতল ঝুঁকিপূর্ণ নির্মাণ করেছে।
এ বিষয়ে গত বছরের ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আইনজীবী সমিতির ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা অপসারণে কেপিআই নিরাপত্তা অনুসারে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিবকে চিঠি দেন। এরপর সুরক্ষা বিভাগ থেকে আইনজীবীদের নির্মাণ করা ৫টি ভবন অপসারণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের মহাপুলিশ পরিদর্শক বরাবর চিঠি দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ আইনজীবী সমিতির ভবনগুলো পর্যালোচনা করে। এরপরই জেলা প্রশাসককে এই চিঠি দেওয়া হয়।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা ও প্রেক্ষাপটে কেপিআই নিরাপত্তা নীতিমালা ২০১৩ এর ১০.২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি কর্তৃক ১ক শ্রেণির কেপিআই চট্টগ্রামের বাংলাদেশ ব্যাংকের দেয়াল ঘেঁষে সরকারি খাস জমিতে অবৈধভাবে নির্মাণ করা ৫টি ভবন কেপিআই নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। যে কারণে তা অপসারণ ও খাস জমি অধিগ্রহণ করার জন্য চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসককে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয় এতে।
চিঠি পাওয়ায় বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে চিঠি পেয়েছি। শিগগির কেপিআই ডিফেন্স কমিটি কোর্ট হিল এলাকা পরিদর্শন করবে। এরপর কোন কোন জমি অধিগ্রহণ করতে হবে, তা জানাবে। সে অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ শুরু করবে।’
এদিকে ভবন অপসারণে চিঠি দেওয়ার বিষয়টি অবগত নন বলে জানিয়েছেন আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ এইচ এম জিয়াউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ এই বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে পারে। কিন্তু অপসারণের বিষয়ে জেলা প্রশাসককে বলার এখতিয়ার তাদের নেই। আর চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) অনুমোদন নিয়ে আমরা ভবন নির্মাণ করেছি। এখন কীভাবে অন্যরা ভবনগুলো অপসারণ করবে?’
১৯৭৭ সালের ৩০ ডিসেম্বরের ইজারা দলিলের ভিত্তিতে কোর্ট হিলে আইনজীবী সমিতিকে ১২ দশমিক ৯০ শতক জমি ইজারা দেওয়া হয়। শুরুতে সেখানে ‘আইনজীবী সমিতি ভবন’ নির্মাণ করা হয়। এরপর গত ৪০ বছরে আরও চারটি ভবন নির্মাণের পর কয়েক হাজার আইনজীবীকে চেম্বার বরাদ্দ দেয় আইনজীবী সমিতি। আইনজীবীদের সংখ্যা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে গত বছরের সেপ্টেম্বরে আরও দুটি নতুন ভবন নির্মাণে উদ্যোগ নেওয়া হয়। তখন আইনজীবী সমিতি সঙ্গে জেলা প্রশাসনের দ্বন্দ্বের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
চট্টগ্রামের কোর্ট হিলে ৪০ বছরে পাঁচটি ভবন তুলেছে জেলা আইনজীবী সমিতি। আরও দুটি ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে তারা। এ নিয়ে গত বছরের সেপ্টেম্বরে আইনজীবী নেতাদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব দেখা দেয় জেলা প্রশাসনের। এরপরই ২৫টি সরকারি দপ্তর থেকে কোর্ট হিলের (পরীর পাহাড়) অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে চিঠি দেওয়া হয়। এবার আইনজীবী সমিতির পাঁচটি ভবন অপসারণের নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি)। পুলিশের এই বিশেষ শাখা থেকে ভবনগুলো অপসারণ করে খাস জমি অধিগ্রহণেরও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের কাছে পাঠানো স্পেশাল ব্রাঞ্চের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. জাহিদ হোসেন ভূঞার সই করা এক চিঠিতে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়। ওই চিঠিতে বলা হয়, ২০০৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রামের বাংলাদেশ ব্যাংককে ১ক শ্রেণির গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা (কি পয়েন্ট ইন্সটেলশন-কেপিআই) হিসেবে ঘোষণা করে। কেপিআই সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক প্রতিষ্ঠান। কিন্তু চট্টগ্রাম জেলার আইনজীবী সমিতি প্রচলিত বিল্ডিং কোড না মেনে, সিডিএ এবং কেপিআইডিসির ছাড়পত্র না নিয়ে কেপিআই প্রতিষ্ঠানের দেয়াল ঘেঁষে অবৈধভাবে সরকারি খাস জমিতে ৫টি বহুতল ঝুঁকিপূর্ণ নির্মাণ করেছে।
এ বিষয়ে গত বছরের ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আইনজীবী সমিতির ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা অপসারণে কেপিআই নিরাপত্তা অনুসারে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিবকে চিঠি দেন। এরপর সুরক্ষা বিভাগ থেকে আইনজীবীদের নির্মাণ করা ৫টি ভবন অপসারণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের মহাপুলিশ পরিদর্শক বরাবর চিঠি দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ আইনজীবী সমিতির ভবনগুলো পর্যালোচনা করে। এরপরই জেলা প্রশাসককে এই চিঠি দেওয়া হয়।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা ও প্রেক্ষাপটে কেপিআই নিরাপত্তা নীতিমালা ২০১৩ এর ১০.২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি কর্তৃক ১ক শ্রেণির কেপিআই চট্টগ্রামের বাংলাদেশ ব্যাংকের দেয়াল ঘেঁষে সরকারি খাস জমিতে অবৈধভাবে নির্মাণ করা ৫টি ভবন কেপিআই নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। যে কারণে তা অপসারণ ও খাস জমি অধিগ্রহণ করার জন্য চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসককে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয় এতে।
চিঠি পাওয়ায় বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে চিঠি পেয়েছি। শিগগির কেপিআই ডিফেন্স কমিটি কোর্ট হিল এলাকা পরিদর্শন করবে। এরপর কোন কোন জমি অধিগ্রহণ করতে হবে, তা জানাবে। সে অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ শুরু করবে।’
এদিকে ভবন অপসারণে চিঠি দেওয়ার বিষয়টি অবগত নন বলে জানিয়েছেন আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ এইচ এম জিয়াউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ এই বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে পারে। কিন্তু অপসারণের বিষয়ে জেলা প্রশাসককে বলার এখতিয়ার তাদের নেই। আর চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) অনুমোদন নিয়ে আমরা ভবন নির্মাণ করেছি। এখন কীভাবে অন্যরা ভবনগুলো অপসারণ করবে?’
১৯৭৭ সালের ৩০ ডিসেম্বরের ইজারা দলিলের ভিত্তিতে কোর্ট হিলে আইনজীবী সমিতিকে ১২ দশমিক ৯০ শতক জমি ইজারা দেওয়া হয়। শুরুতে সেখানে ‘আইনজীবী সমিতি ভবন’ নির্মাণ করা হয়। এরপর গত ৪০ বছরে আরও চারটি ভবন নির্মাণের পর কয়েক হাজার আইনজীবীকে চেম্বার বরাদ্দ দেয় আইনজীবী সমিতি। আইনজীবীদের সংখ্যা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে গত বছরের সেপ্টেম্বরে আরও দুটি নতুন ভবন নির্মাণে উদ্যোগ নেওয়া হয়। তখন আইনজীবী সমিতি সঙ্গে জেলা প্রশাসনের দ্বন্দ্বের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪