Ajker Patrika

কাঁচা রাস্তায় চরম দুর্ভোগ

শিবপুর (নরসিংদী) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০২১, ০৭: ০৯
কাঁচা রাস্তায় চরম দুর্ভোগ

নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার বাঘাব ইউনিয়নের বিরাজনগর গ্রামের উত্তরপাড়া থেকে জয়মঙ্গল উত্তরপাড়া পর্যন্ত সড়কটি কাঁচা। সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তায় পানি জমে। তখন যানবাহন তো দূরের কথা, হেঁটেও চলাচল করা যায় না। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, রাস্তাটি পাকা করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা জনপ্রতিনিধিদের কাছে দাবি করছেন, কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। তাঁদের দাবি—দ্রুত রাস্তাটি পাকা করা হোক।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিরাজনগর উত্তরপাড়া থেকে হলুদের টেক হয়ে জয়মঙ্গল মনির মেম্বারের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তাটি বেহাল। রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে গর্ত। সামান্য বৃষ্টি হলেই এসব গর্তে পানি জমে। প্রায় দেড় কিলোমিটার এই রাস্তা দিয়ে কয়েক গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে। ঝুঁকি নিয়ে এই সড়ক দিয়ে স্থানীয় জনসাধারণ চলাচল করছে। শুধু তা-ই নয়, ওই এলাকার স্কুল-কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রীরাও এ সড়কের ওপর নির্ভরশীল। এলাকার কৃষকেরা তাঁদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করতে এ রাস্তা ব্যবহার করেন। অসুস্থ রোগীদের এই রাস্তায় চিকিৎসার্থে হাসপাতালে নেওয়াও ঝুঁকিপূর্ণ।

বিরাজনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তাটিতে পানি জমে কর্দমাক্ত হয়ে যায়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন চলাচলরত সাধারণ মানুষ ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। প্রতিনিয়ত এই পথে ছোটখাটো দুর্ঘটনাও ঘটে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ভোটের সময় অনেক জনপ্রতিনিধি এলাকার দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে এই রাস্তা পাকা করার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু কখনোই তা আর বাস্তবায়ন হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসী একটি রাস্তার জন্য বিভিন্ন মহলের কাছে আবেদন করলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

হলুদের টেক এলাকার বাসিন্দা আবুল হোসেন বলেন, ‘এই রাস্তায় চলাচল করতে প্রতিদিন আমাদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। রাস্তাটি দ্রুত পাকা করা হোক। এ জন্য আমরা নরসিংদী-৩ আসনের সাংসদ জহিরুল হক ভূঁইয়ার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

স্থানীয় পল্লি চিকিৎসক শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আমাদের গ্রামের বেহাল এই রাস্তায় সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি হয় রোগীদের। বিশেষ করে সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয় অন্তঃসত্ত্বা নারীদের। কারণ জরুরি মুহূর্তে অ্যাম্বুলেন্স বা কোনো সিএনজি অটোরিকশায় তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। এই রাস্তায় কোনো অ্যাম্বুলেন্স বা অটোরিকশা ঢোকানো যায় না। তাই রোগী নিয়ে খুবই ভোগান্তিতে পড়তে হয় স্বজনদের।’

স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল হোসেন বলেন, ‘কাঁচা রাস্তাটি চলাচল উপযোগী করতে আমি কয়েবার মাটি ও ইটের খোয়া দিয়ে সংস্কার করে দিয়েছি। এই রাস্তার মাটি এঁটেল। তাই সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি কর্দমাক্ত হয়ে যায়। রাস্তাটি পাকা হলে চলাচলে সুবিধা হবে।’

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তরুণ মৃধা বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে কয়েকবার সড়কটি সংস্কার করা হয়েছে। পাকাকরণের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আশা করি দ্রুতই কাঁচা সড়কটি পাকা করা হবে।

উপজেলা প্রকৌশলী মো. আরিফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ইতিমধ্যে রাস্তাটির মাপজোখ করে বাজেট তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। দ্রুতই দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে রাস্তাটি পাকা করা হবে।

স্থানীয় সাংসদ জহিরুল হক ভূঁইয়া মোহন বলেন, ‘জনগুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাসহ উপজেলার বেশ কয়েকটি কাঁচা রাস্তা পাকাকরণ করতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আশা করি, শিগগির রাস্তাটি পাকা করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ফেল করায় বকা খেয়ে বাড়ি ছাড়ে বাংলাদেশি কিশোরী, ভারতে ৩ মাসে ২০০ লোকের ধর্ষণ

রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী আটক

আগামী সপ্তাহের মধ্যে ৫ ইসলামী ব্যাংক একীভূত করার প্রক্রিয়া শুরু: গভর্নর

মৌচাকে হাসপাতালের পার্কিংয়ে প্রাইভেট কার থেকে উদ্ধার দুই মরদেহের পরিচয় মিলেছে

চলন্ত বাইকে বাঁধা নারীর লাশ, পুলিশের ধাওয়া

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত