বিকুল চক্রবর্তী, শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার)
বকের রং কী?
কাউকে যদি এ প্রশ্ন করা হয়, তাহলে সে আপনার দিকে অবাক চোখে তাকাবে। মনে করবে, আপনি পাগল নন তো? বক তো সাদা, বক তো ধূসর।
কিন্তু আপনি যদি বলেন, আরে না, আমরা যে বকের কথা বলছি, সেটার রং কালো।
তাহলে আপনার দিকে সে এমনভাবে তাকাবে, যেন আপনি একজন পাগল।
হ্যাঁ, বক কালোও হয়। সে রকম একটি বকের সঙ্গেই আজ পরিচয় করিয়ে দেব। গত সোমবার এমনই একটি কালো বকের সন্ধান মিলেছে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের হাইল হাওরে।
বকটা কোনো ফাঁদে আটকা পড়েনি। ওটা ধরা পড়েছে বড়শিতে। মাছ ধরার জন্য যে বড়শি পাতা ছিল, তাতেই আটকা পড়েছিল এই বিরল প্রজাতির কালো বকটি।
খবরটা রটে গেলে শ্রীমঙ্গল হাইল হাওরের ওই জায়গায় ছুটে যান বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক স্বপন দেব সজল।
সোমবার দুপুর ১২টায় বকটি মাছের টোপের বড়শিতে ছিল আহত অবস্থায়। সেটাকে নিয়ে আসা হয় শ্রীমঙ্গলের বাংলাদেশ বন্য প্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনে।
স্বপন দেব সজলের কাছে শোনা হয় পুরো ঘটনাটা। তিনি বলেন, এক মাছচাষি হাইল হাওরে ফেলে রেখেছিল মাছের টোপ। সেই টোপের মাছ খেতে গিয়ে বড়শিতে ঠোঁক দিয়েছিল কালো বকটা। এরপর সে আর বের করতে পারে না মুখ। বড়শির টানাটানিতে ঠোঁটে আঘাত পায়। এখন বকটিকে চিকিৎসা দিতে হবে।
স্বপন দেব প্রথমে বুঝতে পারেননি এটা কালো বক। সেবা ফাউন্ডেশনে এসে বই খুলে দেখেন, এটার পরিচয় দেওয়া আছে কালো বক। এরপর পাখি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হন।
বন্য প্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সিতেশ রঞ্জন দেব জানান, এটি কালো রঙের বক, হাওর যখন উন্মুক্ত ছিল, এর পরিসর আরও বড় ছিল। তখন মাঝেমধ্যে এই বক দেখা যেত। তবে এখন আর সচরাচর চোখে পড়ে না। এ পাখিটির বাংলা নাম কালিবক, সিলেটি ভাষায় বা স্থানীয়দের কাছে কালো বগলা নামেও এরা পরিচিত। তিনি জানান, একটু সুস্থ হওয়ার পর বন বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে পাখিটিকে বাইক্কা বিল অভয়াশ্রমে অবমুক্ত করা হবে।
শ্রীমঙ্গল বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক শ্যামল কুমার মিত্র জানান, এটি বর্তমানে সচরাচর দেখা যায় না। তবে এটি এ অঞ্চলেরই পাখি। বিশেষ করে মৌলভীবাজারের হাওরাঞ্চলে এদের একসময় প্রচুর দেখা যেত। এরা বিলে থাকতে পছন্দ করে।
কালো বক এখন প্রায় দেখাই যায় না, তা নিয়ে যে কথাবার্তা হয় না, তা নয়। অনেকেই এ ব্যাপারে উদ্বিগ্ন। পাখিপ্রেমীরা হাওরে, নদীতে, বনে পাখি দেখার আনন্দ পুরোপুরি পেতে চান। কিন্তু বন, হাওর সবই তো ভূমিদস্যুদের দখলে চলে যাচ্ছে। তাতে প্রতিদিনই বিপদে পড়ছে প্রাণীরা। মানুষ ধ্বংস করছে প্রাণীদের বাসস্থান। পাখিপ্রেমী খোকন থৌনাউজাম ও সুহেল শ্যাম আক্ষেপ করে বলেন, ‘পশুপাখি প্রকৃতির অংশ। এই প্রকৃতিকেই আমরা ধ্বংস করছি।’
কালো বকটি মানুষের এসব কথা বোঝে না। আর মানুষ বোঝে না, বন, হাওর, নদীকে প্রাণীদের বসবাসযোগ্য করে তোলার অর্থ।
বকের রং কী?
কাউকে যদি এ প্রশ্ন করা হয়, তাহলে সে আপনার দিকে অবাক চোখে তাকাবে। মনে করবে, আপনি পাগল নন তো? বক তো সাদা, বক তো ধূসর।
কিন্তু আপনি যদি বলেন, আরে না, আমরা যে বকের কথা বলছি, সেটার রং কালো।
তাহলে আপনার দিকে সে এমনভাবে তাকাবে, যেন আপনি একজন পাগল।
হ্যাঁ, বক কালোও হয়। সে রকম একটি বকের সঙ্গেই আজ পরিচয় করিয়ে দেব। গত সোমবার এমনই একটি কালো বকের সন্ধান মিলেছে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের হাইল হাওরে।
বকটা কোনো ফাঁদে আটকা পড়েনি। ওটা ধরা পড়েছে বড়শিতে। মাছ ধরার জন্য যে বড়শি পাতা ছিল, তাতেই আটকা পড়েছিল এই বিরল প্রজাতির কালো বকটি।
খবরটা রটে গেলে শ্রীমঙ্গল হাইল হাওরের ওই জায়গায় ছুটে যান বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক স্বপন দেব সজল।
সোমবার দুপুর ১২টায় বকটি মাছের টোপের বড়শিতে ছিল আহত অবস্থায়। সেটাকে নিয়ে আসা হয় শ্রীমঙ্গলের বাংলাদেশ বন্য প্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনে।
স্বপন দেব সজলের কাছে শোনা হয় পুরো ঘটনাটা। তিনি বলেন, এক মাছচাষি হাইল হাওরে ফেলে রেখেছিল মাছের টোপ। সেই টোপের মাছ খেতে গিয়ে বড়শিতে ঠোঁক দিয়েছিল কালো বকটা। এরপর সে আর বের করতে পারে না মুখ। বড়শির টানাটানিতে ঠোঁটে আঘাত পায়। এখন বকটিকে চিকিৎসা দিতে হবে।
স্বপন দেব প্রথমে বুঝতে পারেননি এটা কালো বক। সেবা ফাউন্ডেশনে এসে বই খুলে দেখেন, এটার পরিচয় দেওয়া আছে কালো বক। এরপর পাখি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হন।
বন্য প্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সিতেশ রঞ্জন দেব জানান, এটি কালো রঙের বক, হাওর যখন উন্মুক্ত ছিল, এর পরিসর আরও বড় ছিল। তখন মাঝেমধ্যে এই বক দেখা যেত। তবে এখন আর সচরাচর চোখে পড়ে না। এ পাখিটির বাংলা নাম কালিবক, সিলেটি ভাষায় বা স্থানীয়দের কাছে কালো বগলা নামেও এরা পরিচিত। তিনি জানান, একটু সুস্থ হওয়ার পর বন বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে পাখিটিকে বাইক্কা বিল অভয়াশ্রমে অবমুক্ত করা হবে।
শ্রীমঙ্গল বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক শ্যামল কুমার মিত্র জানান, এটি বর্তমানে সচরাচর দেখা যায় না। তবে এটি এ অঞ্চলেরই পাখি। বিশেষ করে মৌলভীবাজারের হাওরাঞ্চলে এদের একসময় প্রচুর দেখা যেত। এরা বিলে থাকতে পছন্দ করে।
কালো বক এখন প্রায় দেখাই যায় না, তা নিয়ে যে কথাবার্তা হয় না, তা নয়। অনেকেই এ ব্যাপারে উদ্বিগ্ন। পাখিপ্রেমীরা হাওরে, নদীতে, বনে পাখি দেখার আনন্দ পুরোপুরি পেতে চান। কিন্তু বন, হাওর সবই তো ভূমিদস্যুদের দখলে চলে যাচ্ছে। তাতে প্রতিদিনই বিপদে পড়ছে প্রাণীরা। মানুষ ধ্বংস করছে প্রাণীদের বাসস্থান। পাখিপ্রেমী খোকন থৌনাউজাম ও সুহেল শ্যাম আক্ষেপ করে বলেন, ‘পশুপাখি প্রকৃতির অংশ। এই প্রকৃতিকেই আমরা ধ্বংস করছি।’
কালো বকটি মানুষের এসব কথা বোঝে না। আর মানুষ বোঝে না, বন, হাওর, নদীকে প্রাণীদের বসবাসযোগ্য করে তোলার অর্থ।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪