নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কার্যক্রমে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমসহ প্রযুক্তি বৃদ্ধির কারণে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বৃদ্ধি পেয়েছে দাবি করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিন শ আসনেই এ প্রযুক্তির ব্যবহার চায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ইসিরও দাবি, এ মেশিনে একজনের ভোট আরেকজন দেওয়া অসম্ভব। আর ভোটের গোপনীয়তা নিয়ে তো কথাই নেই।
এরই মধ্যে ইভিএম নিয়ে গত রোববার পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জোবায়দুল হক রাসেলের একটি বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেখানে রাসেল বলেন, ‘ভোট হবে ইভিএমে, কে কোথায় ভোট দেবে তা কিন্তু আমাদের কাছে চলে আসবে। অতএব ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নাই, টেনশনেরও কিছু নাই।’ তাঁর এই বক্তব্য ইভিএম নিয়ে বিতর্ককে আবার উসকে দিয়েছে।
গত জুন মাসে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মুজিবুল হক চৌধুরীর একটি বক্তব্য সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘ইভিএম মানে কী জানো? তোমার আঙুল, কিন্তু টিপ দেব আমি। ওটাই হলো সুষ্ঠু ভোট।’
দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা যখন এসব মন্তব্য করেন ইভিএমসহ কমিশনের চলমান কার্যক্রম প্রশ্নের মুখে পড়ে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর এক নেতার। তিনি বলেন, সকল পর্যায়ের নেতাদের এসব বেফাঁস কথা পরিহার করা উচিত।
আর সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, উনি (জোবায়দুল হক রাসেল) ঠিকই বলেছেন। এখানে প্রোগ্রামিংয়ের মাধ্যমে জালিয়াতি করা যায়। ইভিএম একটা নিকৃষ্ট যন্ত্র, এটা প্রতিষ্ঠিত। কারণ, এখানে পুনর্গণনার সুযোগ নেই। ভোট নিয়ে ইসি যে তথ্য দেবে, সেটাই মেনে নিতে হবে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে গত মাসে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করেছে নির্বাচন কমিশন। এতে বিএনপিসহ ১১টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল অংশ নেয়নি। বাকি ২৮টি দলের মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ চারটি দল আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ভোট নেওয়ার দাবি করে। অন্য তিনটি দল হলো আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি, সাম্যবাদী দল ও গণতন্ত্রী পার্টি। অন্যরা ইভিএম নিয়ে সন্দেহ, আস্থাহীনতা ও অবিশ্বাসের কথাই তুলে ধরে ইসির সংলাপে।
আওয়ামী লীগের সর্বশেষ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম করার কথা ওঠে। পরে ভোটে ইভিএমের সুফল বর্ণনা করে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে বক্তব্য দেন ক্ষমতাসীন দলের নেতারা।
ইসির সঙ্গে বৈঠকে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ মনে করে, ইসির কার্যক্রমে ইভিএমসহ প্রযুক্তি বৃদ্ধির কারণে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বৃদ্ধি পেয়েছে। ইভিএম ব্যবহারের ফলে ভোট ডাকাতি, কেন্দ্র দখল, নির্বাচনে জালিয়াতি ও ভোট চুরি বন্ধ হবে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘ব্যালটে আমার নিজেরও অভিজ্ঞতা আছে কীভাবে ভোটকেন্দ্র দখল করে এক ঘণ্টায় দু-তিন শ সিল মেরে ভরাট করেছে। আপনারা পাশে থেকেও তো ওটা বন্ধ করতে পারেননি। সেদিক থেকে ইভিএমে যদি কোনো দোষ-ত্রুটি থেকে থাকে, আমি ইভিএম বিশেষজ্ঞ না, তার পরও আমি এ পর্যন্ত যতটুকু ইভিএম দেখেছি ইতিবাচক দিকগুলো অনেক বেশি।’
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কার্যক্রমে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমসহ প্রযুক্তি বৃদ্ধির কারণে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বৃদ্ধি পেয়েছে দাবি করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিন শ আসনেই এ প্রযুক্তির ব্যবহার চায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ইসিরও দাবি, এ মেশিনে একজনের ভোট আরেকজন দেওয়া অসম্ভব। আর ভোটের গোপনীয়তা নিয়ে তো কথাই নেই।
এরই মধ্যে ইভিএম নিয়ে গত রোববার পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জোবায়দুল হক রাসেলের একটি বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেখানে রাসেল বলেন, ‘ভোট হবে ইভিএমে, কে কোথায় ভোট দেবে তা কিন্তু আমাদের কাছে চলে আসবে। অতএব ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নাই, টেনশনেরও কিছু নাই।’ তাঁর এই বক্তব্য ইভিএম নিয়ে বিতর্ককে আবার উসকে দিয়েছে।
গত জুন মাসে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মুজিবুল হক চৌধুরীর একটি বক্তব্য সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘ইভিএম মানে কী জানো? তোমার আঙুল, কিন্তু টিপ দেব আমি। ওটাই হলো সুষ্ঠু ভোট।’
দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা যখন এসব মন্তব্য করেন ইভিএমসহ কমিশনের চলমান কার্যক্রম প্রশ্নের মুখে পড়ে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর এক নেতার। তিনি বলেন, সকল পর্যায়ের নেতাদের এসব বেফাঁস কথা পরিহার করা উচিত।
আর সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, উনি (জোবায়দুল হক রাসেল) ঠিকই বলেছেন। এখানে প্রোগ্রামিংয়ের মাধ্যমে জালিয়াতি করা যায়। ইভিএম একটা নিকৃষ্ট যন্ত্র, এটা প্রতিষ্ঠিত। কারণ, এখানে পুনর্গণনার সুযোগ নেই। ভোট নিয়ে ইসি যে তথ্য দেবে, সেটাই মেনে নিতে হবে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে গত মাসে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করেছে নির্বাচন কমিশন। এতে বিএনপিসহ ১১টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল অংশ নেয়নি। বাকি ২৮টি দলের মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ চারটি দল আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ভোট নেওয়ার দাবি করে। অন্য তিনটি দল হলো আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি, সাম্যবাদী দল ও গণতন্ত্রী পার্টি। অন্যরা ইভিএম নিয়ে সন্দেহ, আস্থাহীনতা ও অবিশ্বাসের কথাই তুলে ধরে ইসির সংলাপে।
আওয়ামী লীগের সর্বশেষ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম করার কথা ওঠে। পরে ভোটে ইভিএমের সুফল বর্ণনা করে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে বক্তব্য দেন ক্ষমতাসীন দলের নেতারা।
ইসির সঙ্গে বৈঠকে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ মনে করে, ইসির কার্যক্রমে ইভিএমসহ প্রযুক্তি বৃদ্ধির কারণে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বৃদ্ধি পেয়েছে। ইভিএম ব্যবহারের ফলে ভোট ডাকাতি, কেন্দ্র দখল, নির্বাচনে জালিয়াতি ও ভোট চুরি বন্ধ হবে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘ব্যালটে আমার নিজেরও অভিজ্ঞতা আছে কীভাবে ভোটকেন্দ্র দখল করে এক ঘণ্টায় দু-তিন শ সিল মেরে ভরাট করেছে। আপনারা পাশে থেকেও তো ওটা বন্ধ করতে পারেননি। সেদিক থেকে ইভিএমে যদি কোনো দোষ-ত্রুটি থেকে থাকে, আমি ইভিএম বিশেষজ্ঞ না, তার পরও আমি এ পর্যন্ত যতটুকু ইভিএম দেখেছি ইতিবাচক দিকগুলো অনেক বেশি।’
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
১ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
১ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫