Ajker Patrika

আ.লীগের প্রার্থী বাছাই তালিকায় ‘অনিয়ম’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২১, ১৪: ৩৮
আ.লীগের প্রার্থী বাছাই তালিকায় ‘অনিয়ম’

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নামের তালিকা করা হয়েছে। উপজেলার দুটি ইউপিতে প্রার্থী তালিকায় সেরা তিনজনের যে তালিকা করা হয়েছে; অভিযোগ আছে সে তালিকায় দলে পদ নেই, এমন ব্যক্তিকে ১ নম্বরে রাখা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নবীনগরের বিদ্যাকুট ইউপিতে দুবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন এনামুল হক। কিন্তু এবার তাঁকেই দলের মনোনয়নবিমুখ করার চক্রান্ত হচ্ছে। নবীনগর আ.লীগ তৃণমূলের যে প্রার্থী তালিকা করেছে, তাতে এনামুলের নাম দেওয়া হয়েছে ২ নম্বরে। এনামুল হক অভিযোগ করেন, ১ নম্বরে রাখা হয়েছে মো. জাকারুল নামের এক ব্যবসায়ীকে। তিনি ঢাকার সাভারে ব্যবসা করেন। সেখানেই স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। মাস ছয়েক আগে বিদ্যাকুট ইউনিয়নের ভৈরবনগরের ভোটার হন জাকারুল।

একই অভিযোগ বড়াইল ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি জাকির হোসেনেরও। তাঁর নামও ২ নম্বরে দেওয়া হয়েছে। এই দুটি ইউপিতে যাঁদের নাম ১ নম্বরে দিয়ে দলের মনোনয়ন বাগানোর পথ করা হয়েছে, দলের রাজনীতির সঙ্গে তাঁদের কোনো যোগাযোগ নেই বলে অভিযোগ করেছেন বর্তমান চেয়ারম্যান দুজন।

গত বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকায় নবীনগর আওয়ামী লীগের তৃণমূলের সভা হয়। কিন্তু সেখানে তৃণমূল নেতাদের কোনো মতামত নেওয়া হয়নি বলে দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা অভিযোগ করেন। তাঁদের কাছ থেকে শুধু স্বাক্ষর নেওয়া হয়। হতাশ হয়ে এনামুল হক বলেন, ‘এমন হলে কেমনে রাজনীতি করবে মানুষ।’ এনামুল ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি ও নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক।

ওদিকে দলের কোনো ইউনিটে পদ না থাকা এমন আরেকজনকে উপজেলার বড়াইল ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। আবিদ হোসেন নামের ওই মনোনয়নপ্রত্যাশীর নাম রয়েছে নবীনগর আওয়ামী লীগের করা তালিকার ১ নম্বরে। তৃণমূলের মতামত উপেক্ষা করে আবিদের নাম ১ নম্বরে দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। এই ইউনিয়নে ১০ নেতা চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।

ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন জানান, তিনি বর্তমান চেয়ারম্যান এবং আওয়ামী লীগের সভাপতি। অথচ দলের রাজনীতির সঙ্গে যোগাযোগ নেই এমন একজনের নাম দেওয়া হয়েছে ১ নম্বরে। তাঁর নাম ২ নম্বরে আর নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমানের নাম দেওয়া হয়েছে ৩ নম্বরে।

বড়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক মোল্লা বলেন, ‘আবিদ হোসেন দলে অনুপ্রবেশকারী। দলে তাঁর কোনো অবদান নেই। কোনো পদও নেই তাঁর। তৃণমূলের মতামত উপেক্ষা করে আবিদের নাম ১ নম্বরে রেখে তালিকা করা হয়েছে।’

তবে আ.লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী আবিদ হোসেন বলেন, ‘আমি আওয়ামী পরিবারের ছেলে। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে আমরা ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হালিম জানান, দলে কোনো পদবি না থাকলেও আবিদ দলের জন্য কাজ করে। বিদ্যাকুট ইউনিয়নের বিষয়ে তাঁর মন্তব্য পাওয়া যায়নি। ষষ্ঠ দফায় আগামী ৩১ জানুয়ারি নবীনগর উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সারজিসের সামনেই বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ

পিটুনিতে নিহত সেই শামীম মোল্লাকে বহিষ্কার করল জাবি প্রশাসন, সমালোচনার ঝড়

চিন্ময় দাসের জামিন স্থগিতের আবেদন, শুনানি রোববার

মধুপুরে বিদ্যালয়ে ঢুকে শিক্ষককে জুতাপেটা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত