Ajker Patrika

খেজুরের রস সংগ্রহে গাছিদের ব্যস্ততা

আগৈলঝাড়া প্রতিনিধি
আপডেট : ৩০ অক্টোবর ২০২১, ১১: ০৯
খেজুরের রস সংগ্রহে গাছিদের ব্যস্ততা

আগৈলঝাড়ায় শীতের আগমনী বার্তার সঙ্গে সঙ্গে খেজুরের রস আহরণে গাছি বা সিঁউলিরা ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এ জন্য আনুষঙ্গিক কাজ শেষ করেছেন তাঁরা। আবহমানকাল থেকে গ্রামবাংলার আদি ঐতিহ্যের সঙ্গে খেজুরের রস ও শীতকাল একাকার হয়ে আছে। শীতের মূল উৎসবই হলো শীতের পিঠা। প্রতিবছর খেজুরের রস সংগ্রহের প্রস্তুতি শুরু হয় শীতের শুরুতেই।

এবারও খেজুরগাছ কাটার কাজ শেষ করেছেন গাছি বা সিঁউলিরা। খেজুরের রস মূলত আহরণ করা হয় খেজুরগাছ থেকে। রস সংগ্রহের আগে অগ্রহায়ণের শেষের দিকে গাছের কাণ্ডের একেবারে উপরের অংশে পাতা ও ডালপালাগুলো পরিষ্কার করা হয়। এর কাণ্ডের নরম অংশে ধারালো ছুরি বা দা দিয়ে চেঁছে বাকল তুলে ফেলা হয়। এর সাত থেকে আট দিন পর পুনরায় পরিষ্কার করা হয় বা চাঁছা হয়। পরিষ্কার করা অংশে ছোট গর্ত করে বাঁশের তৈরি নল পুঁতে দেওয়া হয়, যাতে রস বের হয়ে নলে আসতে পারে। এরপর নলের দুপাশে দুটি খুঁটিতে পুঁতে দেওয়া হয় যা মাটির হাঁড়ি ঝোলানোর কাজে ব্যবহার করা হয়। হাঁড়িতে বাঁধা দড়ি দুই খুঁটিতে বেঁধে নল বরাবর ঝুলিয়ে রাখা হয়। রস একদম নল বেয়ে সোজা হাঁড়িতে পড়ে। আবহাওয়া যদি শীতার্ত ও পরিচ্ছন্ন হয় তবে রস বেশি হয়। অক্টোবরের শেষের দিক কিংবা নভেম্বরে রস আহরণ শুরু হলেও জানুয়ারি মাসের দিকে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে রস পাওয়া যায়।

উপজেলার গাছি জালাল মিয়া, লোকমান হোসেন ও শাহ আলম জানান, তাদের নিজেদের কোনো গাছ নেই। অন্যের গাছ কেটে রস সংগ্রহ করতে হয়। তাই গাছের মালিককে রসের একটা অংশ দিতে হয়। তারপরেও প্রতিবছর তারা রস ও গুড় বিক্রি করে লাভবান হন বলে জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

অপারেশন সিঁদুরে নিহত প্রায় দেড় শ সেনার তালিকা প্রকাশ করে মুছে ফেলল পাকিস্তানি টিভি

ঢাবিতে পাঁচ প্যানেলে ভোটের যুদ্ধ

এনবিআর কর্মকর্তার কাণ্ড: কৃত্রিম অঙ্গের ঘোষণা দিয়ে ৪৫০ টন গয়না আমদানি

দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে এনসিপির মাহিন সরকারকে বহিষ্কার

যুগ্ম সদস্যসচিব মাহিন সরকারকে বহিষ্কারের কারণ জানাল এনসিপি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত