শরিফুল ইসলাম
আজকের পত্রিকা: কোন কোন দিক বিবেচনায় নিয়ে অনলাইনে বইমেলার আয়োজন শুরু করেন?
মাহমুদুল হাসান সোহাগ: রকমারির আয়োজনে আমরা ১০ বছর ধরে অনলাইনে বইমেলা করছি। আমি মনে করি, সশরীরে বইমেলার কোনো বিকল্প নেই। মেলা তো শুধু বই বিক্রির জন্য আয়োজন করা হয় না। এটা আমাদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্যের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পৃক্ত। মেলাকে বলা হয় লেখক-পাঠকের মিলনমেলা। সেখানে বই নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা হয়। আর এটা অনলাইন বইমেলায় সম্ভব নয়। অনলাইনে শুধু বই বিক্রিই সম্ভব। যাঁরা মেলায় যাওয়ার সময় পাচ্ছেন না, বিশেষ করে যাঁরা ঢাকার বাইরে থাকেন কিন্তু নতুন বইয়ের স্বাদ পেতে চান—আমাদের ভূমিকা সেই জায়গায় বেশি। আমরা মূলত তাঁদের কাছে বই পৌঁছে দিচ্ছি।
আজকের পত্রিকা: আপনারা প্রায়ই মূল্যছাড়ের অফার দেন। এটা কি বিপণন কৌশল নাকি পাঠক কম দামে বই পেতে চায়?
মাহমুদুল হাসান সোহাগ: পৃথিবীব্যাপী যেকোনো পণ্যে মূল্যছাড় দিলে তার বিক্রি বাড়ে। তবে অফার বা ডিসকাউন্টের ক্ষেত্রে আমাদের একটা মুশকিলও আছে। সেটা হলো আমাদের বইয়ের ব্যবসা এখনো কোনো কাঠামোয় দাঁড়ায়নি। এ কারণে আমাদের মতো প্রতিষ্ঠানের এসব অফারে বই দেওয়াটা অনেক সময়ই অসম্ভব হয়ে পড়ে। কিন্তু বাজার চাহিদার কারণে অথবা অন্যরা দিচ্ছে বলে আমাদের দিতে হয়। এভাবে এ খাতে টেকসই অবস্থান তৈরি হবে না। তাই আমরা প্রকাশকদের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেছি। পাঠক দুই টাকা কমে বই পাওয়ায় যদি প্রকাশক থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সবাই যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে ইন্ডাস্ট্রি সামনে এগুতে পারবে না।
আজকের পত্রিকা: তাহলে করণীয় কী?
মাহমুদুল হাসান সোহাগ: আমরা বইয়ের ব্যবসায় দারিদ্র্যের দুষ্টচক্রের মধ্যে আটকে আছি। বেশির ভাগ প্রকাশক ৩০০ থেকে ৫০০ কপি বই বিক্রি করেন। আর ৫০০ কপি বই বিক্রি হলে লেখক কয় টাকা পাবেন? হিসাব-নিকাশ না করেও বলা যায় এর পরিমাণ খুবই সামান্য। বাংলাদেশের মানুষ অনেকটাই আবেগ দিয়ে চলেন বলেই এখনো বই প্রকাশ হচ্ছে। আর্থিক দিক বিবেচনা করলে হয়তো বই প্রকাশই হতো না। কিন্তু একটা ভালো বইয়ের খবর দেশের ১৬ কোটি মানুষকে জানাতে পারলে ওই বইয়ের বিক্রি ১ লাখ কপিও হতে পারত। কিন্তু এই ১৬ কোটি মানুষের কাছে জানানোর জন্য যে বিনিয়োগটা দরকার, সেটা কোথা থেকে আসবে। আমরা বিপণনে বিনিয়োগ করতে পারছি না বলে বইও বিক্রি করতে পারছি না।
আজকের পত্রিকা: বইয়ের প্রচারণা কি অন্যান্য পণ্যের মতোই করা প্রয়োজন?
মাহমুদুল হাসান সোহাগ: আমাকে টাকা দিয়ে বই কিনতে হয়। বই বা কনটেন্ট যে একটা দামি জিনিস, সেই আইডিয়াতেই তো আমরা নেই। আমরা পাতা গুনে বইয়ের উৎপাদন ব্যয় হিসাব করে দাম ধরছি। আপনি একটা বই হাতে নিয়ে বলছেন, এর দাম ৩০০ টাকা কেন? অন্যদিকে লোকজন এর চেয়ে বেশি টাকা দিয়ে চকোলেট কেনে। চকোলেট কিংবা আইসক্রিম বিক্রেতা ওই ব্র্যান্ডটা তৈরি করতে পেরেছে যে এটা এ রকম। আমি, আপনি মেনে নিয়েছি। ব্র্যান্ডটা এস্টাবলিস্ট করেছে। আমাদের কথা হলো–বই একটা ইন্ডাস্ট্রি। আমরা এটাকে ব্র্যান্ড করতে পারিনি এবং এটার পেছনে বিনিয়োগ করিনি। এ জন্য আমি মনে করি, দাম কম রেখে এই ইন্ডাস্ট্রি বিকশিত হবে—এই আইডিয়ার সঙ্গে আমি একমত না। আমি দাম বেশি রাখার পক্ষেও না। আমি চাই, বইয়ের ন্যায্য দাম রাখা হোক।
আজকের পত্রিকা: সৃজনশীল বইয়ের বেলায় ব্যাপারটা চ্যালেঞ্জিং হয়ে যাবে না?
মাহমুদুল হাসান সোহাগ: নোট, গাইডের বিক্রি তো কম না। লাখ লাখ বই বিক্রি হয়। মানুষ ভেবে নিয়েছে রেজাল্ট ভালো করতে হলে আমার এইসব বই লাগবে। কিন্তু একটা সাহিত্যের বই হলে সবাই ভাবে এই বইটা তো আমার রেজাল্ট কিংবা চাকরির সঙ্গে সম্পর্কিত না। এ জন্য এইসব বইয়ের বাজার তৈরি করতে হয়। তবে কারোর একার পক্ষে এটা করা সম্ভব নয়। না রকমারি করতে পারবে, না একজন প্রকাশক করতে পারবে। সার্বিকভাবে বাজার তৈরি করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকেও বিনিয়োগের প্রয়োজন আছে। তবে অবশ্যই বইয়ের গুণগত মানোন্নয়নে সময়, শ্রম এবং মেধার বিনিয়োগটা সবার আগে করতে হবে। বইয়ের মান ছাড়া শুধু বিপণনে বিনিয়োগ করে লাভ হবে না।
আজকের পত্রিকা: কোন কোন দিক বিবেচনায় নিয়ে অনলাইনে বইমেলার আয়োজন শুরু করেন?
মাহমুদুল হাসান সোহাগ: রকমারির আয়োজনে আমরা ১০ বছর ধরে অনলাইনে বইমেলা করছি। আমি মনে করি, সশরীরে বইমেলার কোনো বিকল্প নেই। মেলা তো শুধু বই বিক্রির জন্য আয়োজন করা হয় না। এটা আমাদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্যের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পৃক্ত। মেলাকে বলা হয় লেখক-পাঠকের মিলনমেলা। সেখানে বই নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা হয়। আর এটা অনলাইন বইমেলায় সম্ভব নয়। অনলাইনে শুধু বই বিক্রিই সম্ভব। যাঁরা মেলায় যাওয়ার সময় পাচ্ছেন না, বিশেষ করে যাঁরা ঢাকার বাইরে থাকেন কিন্তু নতুন বইয়ের স্বাদ পেতে চান—আমাদের ভূমিকা সেই জায়গায় বেশি। আমরা মূলত তাঁদের কাছে বই পৌঁছে দিচ্ছি।
আজকের পত্রিকা: আপনারা প্রায়ই মূল্যছাড়ের অফার দেন। এটা কি বিপণন কৌশল নাকি পাঠক কম দামে বই পেতে চায়?
মাহমুদুল হাসান সোহাগ: পৃথিবীব্যাপী যেকোনো পণ্যে মূল্যছাড় দিলে তার বিক্রি বাড়ে। তবে অফার বা ডিসকাউন্টের ক্ষেত্রে আমাদের একটা মুশকিলও আছে। সেটা হলো আমাদের বইয়ের ব্যবসা এখনো কোনো কাঠামোয় দাঁড়ায়নি। এ কারণে আমাদের মতো প্রতিষ্ঠানের এসব অফারে বই দেওয়াটা অনেক সময়ই অসম্ভব হয়ে পড়ে। কিন্তু বাজার চাহিদার কারণে অথবা অন্যরা দিচ্ছে বলে আমাদের দিতে হয়। এভাবে এ খাতে টেকসই অবস্থান তৈরি হবে না। তাই আমরা প্রকাশকদের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেছি। পাঠক দুই টাকা কমে বই পাওয়ায় যদি প্রকাশক থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সবাই যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে ইন্ডাস্ট্রি সামনে এগুতে পারবে না।
আজকের পত্রিকা: তাহলে করণীয় কী?
মাহমুদুল হাসান সোহাগ: আমরা বইয়ের ব্যবসায় দারিদ্র্যের দুষ্টচক্রের মধ্যে আটকে আছি। বেশির ভাগ প্রকাশক ৩০০ থেকে ৫০০ কপি বই বিক্রি করেন। আর ৫০০ কপি বই বিক্রি হলে লেখক কয় টাকা পাবেন? হিসাব-নিকাশ না করেও বলা যায় এর পরিমাণ খুবই সামান্য। বাংলাদেশের মানুষ অনেকটাই আবেগ দিয়ে চলেন বলেই এখনো বই প্রকাশ হচ্ছে। আর্থিক দিক বিবেচনা করলে হয়তো বই প্রকাশই হতো না। কিন্তু একটা ভালো বইয়ের খবর দেশের ১৬ কোটি মানুষকে জানাতে পারলে ওই বইয়ের বিক্রি ১ লাখ কপিও হতে পারত। কিন্তু এই ১৬ কোটি মানুষের কাছে জানানোর জন্য যে বিনিয়োগটা দরকার, সেটা কোথা থেকে আসবে। আমরা বিপণনে বিনিয়োগ করতে পারছি না বলে বইও বিক্রি করতে পারছি না।
আজকের পত্রিকা: বইয়ের প্রচারণা কি অন্যান্য পণ্যের মতোই করা প্রয়োজন?
মাহমুদুল হাসান সোহাগ: আমাকে টাকা দিয়ে বই কিনতে হয়। বই বা কনটেন্ট যে একটা দামি জিনিস, সেই আইডিয়াতেই তো আমরা নেই। আমরা পাতা গুনে বইয়ের উৎপাদন ব্যয় হিসাব করে দাম ধরছি। আপনি একটা বই হাতে নিয়ে বলছেন, এর দাম ৩০০ টাকা কেন? অন্যদিকে লোকজন এর চেয়ে বেশি টাকা দিয়ে চকোলেট কেনে। চকোলেট কিংবা আইসক্রিম বিক্রেতা ওই ব্র্যান্ডটা তৈরি করতে পেরেছে যে এটা এ রকম। আমি, আপনি মেনে নিয়েছি। ব্র্যান্ডটা এস্টাবলিস্ট করেছে। আমাদের কথা হলো–বই একটা ইন্ডাস্ট্রি। আমরা এটাকে ব্র্যান্ড করতে পারিনি এবং এটার পেছনে বিনিয়োগ করিনি। এ জন্য আমি মনে করি, দাম কম রেখে এই ইন্ডাস্ট্রি বিকশিত হবে—এই আইডিয়ার সঙ্গে আমি একমত না। আমি দাম বেশি রাখার পক্ষেও না। আমি চাই, বইয়ের ন্যায্য দাম রাখা হোক।
আজকের পত্রিকা: সৃজনশীল বইয়ের বেলায় ব্যাপারটা চ্যালেঞ্জিং হয়ে যাবে না?
মাহমুদুল হাসান সোহাগ: নোট, গাইডের বিক্রি তো কম না। লাখ লাখ বই বিক্রি হয়। মানুষ ভেবে নিয়েছে রেজাল্ট ভালো করতে হলে আমার এইসব বই লাগবে। কিন্তু একটা সাহিত্যের বই হলে সবাই ভাবে এই বইটা তো আমার রেজাল্ট কিংবা চাকরির সঙ্গে সম্পর্কিত না। এ জন্য এইসব বইয়ের বাজার তৈরি করতে হয়। তবে কারোর একার পক্ষে এটা করা সম্ভব নয়। না রকমারি করতে পারবে, না একজন প্রকাশক করতে পারবে। সার্বিকভাবে বাজার তৈরি করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকেও বিনিয়োগের প্রয়োজন আছে। তবে অবশ্যই বইয়ের গুণগত মানোন্নয়নে সময়, শ্রম এবং মেধার বিনিয়োগটা সবার আগে করতে হবে। বইয়ের মান ছাড়া শুধু বিপণনে বিনিয়োগ করে লাভ হবে না।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৬ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৬ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৬ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫