Ajker Patrika

এক উদ্যোগে ৭ দিনের জন্য ভোগান্তিমুক্ত জন্মনিবন্ধন

ত্রিশাল প্রতিনিধি
আপডেট : ২১ মার্চ ২০২২, ১৫: ৩৬
এক উদ্যোগে ৭ দিনের জন্য ভোগান্তিমুক্ত জন্মনিবন্ধন

ত্রিশালে জন্মনিবন্ধন সংশোধন অনেক বিড়ম্বনা ও সময়সাপেক্ষ হয়ে উঠেছিল সাধারণ মানুষের জন্য। তবে মুক্তির উৎসব ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ত্রিশাল উপজেলা প্রশাসনের এক উদ্যোগ বদলে গেছে সেই প্রেক্ষাপট। সাত দিনের জন্য মাত্র এক ঘণ্টায় জন্মনিবন্ধন করতে পারছেন সেবাগ্রহীতারা। এই উদ্যোগের ফলে চার দিনেই তিন শতাধিক উপকারভোগী তাঁদের জন্মনিবন্ধন ও সংশোধন করতে পেরেছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া সাত দিনব্যাপী মুক্তির উৎসব ও সুবর্ণজয়ন্তী মেলায় ইউএনও কার্যালয়ের স্টলে এ সুযোগ পাচ্ছে সেবাগ্রহীতারা। জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের জন্য সংশোধিত বিষয়ের ওপর কী কী তথ্য-উপাত্ত প্রয়োজন হবে তা লিপিবদ্ধ করে স্টলের সামনে টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মাইকিং করে মানুষকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এর আগে জন্মনিবন্ধন সনদ সংশোধনে সেবাগ্রহীতাদের দীর্ঘ ভোগান্তি পোহাতে হতো। জন্ম নিবন্ধন করতে দিনের পর দিন এমনকি মাসও লেগে যেতো বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন। তবে সাত দিনের জন্য সেই ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাচ্ছেন তাঁরা। এখন স্থায়ীভাবে এ ধরনের সুযোগ সৃষ্টির উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন অনেকে।

শফিকুল ইসলাম নামে একজন বলেন, ‘এভাবে জন্মনিবন্ধন সহজ হওয়ায় এখন অল্প সময়েই নিবন্ধন করতে পারছি। এ বিশেষ উদ্যোগের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি উপজেলা প্রশাসনকে।’

উপজেলার আইসিটি টেকনিশিয়ান মোজাম্মেল হক বলেন, ‘এটি আমাদের ইউএনওর একটি উদ্যোগ। সেবার মান আরও ভালো করা সম্ভব, যদি সারাক্ষণ সার্ভার সচল থাকে। এ পর্যন্ত তিন শতাধিক লোকের জন্মনিবন্ধন সংশোধন সম্ভব হয়েছে।’

জন্মনিবন্ধন সনদ সংশোধন করতে আসা সমিক হাসান বলেন, ‘শুনেছিলাম জন্ম নিবন্ধন সংশোধনে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। আবেদন ফরম জমা দিলে বেশ কয়েক দিন পর শুনানির তারিখ পড়ে। সে তারিখে উপস্থিত হয়ে তারপর সংশোধন করতে হয়। কিন্তু মেলা উপলক্ষে কয়েক মিনিটেই আমি আমার জন্মনিবন্ধন সনদ সংশোধন করতে পেরেছি।’

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘সংশোধনের ধরনের ওপর ভিত্তি করে কী কী ডকুমেন্টস প্রয়োজন হবে, তা সেবাগ্রহীতাদের আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে অল্প সময়ে সহজেই জন্মনিবন্ধন সংশোধন করে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। মুক্তির উৎসব ও সুবর্ণজয়ন্তী মেলা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্য এই উদ্যোগ বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত