Ajker Patrika

লোকসানের আশঙ্কা খামারির

শিমুল চৌধুরী, ভোলা
আপডেট : ২৪ জুন ২০২২, ১৪: ১৪
লোকসানের আশঙ্কা খামারির

গোখাদ্যের দাম ও শ্রমিকের মজুরি বেড়ে যাওয়ায় আসন্ন কোরবানিতে পশুর প্রত্যাশিত দাম পাওয়া নিয়ে চিন্তায় আছেন ভোলার খামারিরা। লোকসানের আশঙ্কা করছেন তাঁরা।

জানা গেছে, ভোলার পশু খামারিরা গত দুই বছর করোনা মহামারির প্রভাব কাটিয়ে এবার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও পশুখাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় খামারির সংখ্যা তুলনামূলক কমে আসছে। কমে যাচ্ছে পশুর সংখ্যাও। এর মধ্যে পবিত্র ঈদুল আজহার জন্য খামারে-খামারে প্রস্তুত করা হচ্ছে কোরবানির পশু। এবার জেলায় লক্ষাধিক পশু কোরবানিতে বিক্রির জন্য লালন-পালন করা হচ্ছে।

ভোলা জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে, এবারের কোরবানির জন্য জেলার মোট দুই হাজার ৪৪৫ জন খামারি তাঁদের পশু প্রস্তুত করেছেন। প্রস্তুতকৃত পশুর সংখ্যা এক লাখ ৩ হাজার। এ ছাড়া এর বাইরেও কৃষকের বাড়িতে নিজস্বভাবে পশু পালিত হচ্ছে। এবার জেলায় কোরবানির জন্য পশুর চাহিদা ধরা হয়েছে ৯৭ হাজার ৫০০টি, যা গত বছরের চেয়ে প্রায় ৫ হাজার বেশি। গত বছর জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা ছিল ৯৩ হাজার ২০০টি। চলতি বছর জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদার বিপরীতে প্রস্তুতকৃত পশু উদ্বৃত্ত থাকবে ৯৮ হাজার ৪৫০টি।

পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত বছর জেলায় খামারের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ২৯১টি, এ বছর তা ১৫৪টি বেড়েছে। গত বছর কোরবানির জন্য ৯৮ হাজার ৪৫০টি পশু প্রস্তুত করা হয়েছিল। চাহিদা ছিল ৯৩ হাজার ২০০টি। এবার তা ৪ হাজার ৫৫০টি বেড়ে মোট প্রস্তুত পশুর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩ হাজার। এর মধ্যে গরু রয়েছে ৫৫ হাজার ৮৭০টি। আর মহিষ ৮৫০টি। এ ছাড়া ছাগল রয়েছে ৪৪ হাজার ৮৩০টি ও ভেড়া রয়েছে ১ হাজার ৩৫০টি।

ভোলা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ইন্দ্রজিৎ কুমার মণ্ডল আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত বছরের চেয়ে জেলায় গবাদিপশুর খামার ও প্রস্তুতকৃত পশুর সংখ্যা বেড়েছে। তবে, পশুখাদ্যের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। এতে করে খামারির সংখ্যা ও পশুর সংখ্যাও কিছুটা কমেছে। তা না হলে এবার কোরবানিতে পশুর সংখ্যা আরও বেশি হতো।

অসাধু কিছু ব্যবসায়ী গরু মোটাতাজা করতে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর স্টেরয়েড ও হরমোনজাতীয় ওষুধ ব্যবহারের ব্যাপারে এই কর্মকর্তা জানান, ক্ষতিকর ওষুধ ব্যবহার করে পশু মোটাতাজাকরণের প্রবণতা এখন আর নেই বললেই চলে। এ ব্যাপারে তাঁদের কাছে কোনো অভিযোগ বা তথ্যও নেই। কোনো খামারির বিরুদ্ধে এ ধরনের তথ্য প্রমাণিত হলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে খামারি এবং মেঘনা ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আকতার হোসেন বলেন, গত কয়েক মাসে বাজারে গোখাদ্যের দাম অনেক বেড়েছে। এক হাজার টাকার পশুখাদ্য এখন ১ হাজার ৭০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা। এতে সব মিলিয়ে পশু প্রস্তুতের যেমন খরচ বেড়েছে তেমনি পশুর ওষুধের দামও বেড়েছে। তাই গতবারের চেয়ে বেশি দামে পশু বিক্রি করতে না পারলে লোকসান গুনতে হবে খামারিদের।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত