সম্পাদকীয়
দুই বছরের করোনার ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পৃথিবীজুড়ে ভয়াবহ এক সংকট তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলনে দেওয়া ভাষণে জাতিসংঘ উন্নয়ন কার্যক্রমের (ইউএনডিপি) প্রধান আখিম স্টেইনার বলেছেন, বিশ্বের ৫৪টি উন্নয়নশীল দরিদ্র দেশ দেউলিয়া হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। এই যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্যসংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা জাতিসংঘের মহাসচিব নিজেও ব্যক্ত করেছেন। যুদ্ধের কারণে খাদ্যপণ্য সরবরাহে সমস্যা হওয়ায় দাম বাড়ছে। পৃথিবী যেহেতু এখনো পুরোপুরি ক্ষুধামুক্ত হয়নি, সেহেতু খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহ বিঘ্নিত হলে খাদ্যসংকটের কথাটি সামনে আসে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাম্প্রতিক একাধিক বক্তৃতায় ভবিষ্যতে খাদ্যসংকটের আভাস দিয়ে উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান জানানোর পর বিরোধী রাজনৈতিক দল, বিশেষ করে বিএনপির পক্ষ থেকে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা ছড়ানো হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেননি যে বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ হবেই; বরং তিনি এটাই বলেছেন যে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার মতো অবস্থা আমাদের আছে। তিনি বৈশ্বিক পরিস্থিতি আমলে নিয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতি ইঞ্চি জমি আবাদের আওতায় আনতে বলেছেন। এ ছাড়া সরকারি এবং ব্যক্তি পর্যায়ে ব্যয় কমানোর পরামর্শও দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।
এটা ঠিক যে বিশ্বে খাদ্য উৎপাদন কমে গেলে পরিস্থিতি খারাপ হবেই। আমরা খাদ্য উৎপাদনে এখনো স্বয়ংসম্পূর্ণ নই। আমাদের খাদ্যপণ্য আমদানি করতে হয়। চাল-গমসহ যা যা আমদানি করতে হয়, বিশ্বে তার উৎপাদন কমে গেলে আমরা তো সংকটে পড়তেই পারি। এর ওপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ খাদ্যপণ্যের দাম বাড়িয়েছে। বিশ্বজুড়েই অর্থনীতির চরম অবস্থা যাচ্ছে।
বিএনপির পক্ষ থেকে চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষের উদাহরণ দিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেই দেশে দুর্ভিক্ষ হয়–এমন প্রচারণার জবাবেই সম্ভবত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, ‘বাংলাদেশে ইনশা আল্লাহ কোনো দুর্ভিক্ষ হবে না।’ যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ১১ নভেম্বরের সমাবেশে বৈশ্বিক সংকটের কথা উল্লেখ করে সব ধরনের প্রস্তুতির আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘বিশ্বব্যাপী দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি শোনা গেলেও আমাদের অর্থনীতি এখনো যথেষ্ট শক্তিশালী। অনেকে বলেছিল শ্রীলঙ্কা হবে, এই হবে, সেই হবে—তাদের মুখে ছাই পড়েছে। সেটা হয়নি, ইনশা আল্লাহ হবেও না।’
মন্ত্রিসভার বৈঠকে গত সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রিজার্ভ কমে যাওয়া, কোভিড-পরবর্তী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, চীনে উৎপাদন কমায় ২০২৩ সালে দেশে সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা করেছেন। একই সঙ্গে সংকট কাটাতে ছয়টি পরামর্শও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পরামর্শগুলো হলো—খাদ্য উৎপাদন বাড়ানো, বিদেশে দক্ষ শ্রমিক পাঠানো, রেমিট্যান্স বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া, বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানো, খাদ্য মজুত ঠিক রাখা এবং খাদ্য আমদানিতে উৎসে কর বাদ দিয়ে আমদানিকারকদের স্বস্তি দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া।
আন্তর্জাতিক কারণে সংকট দেখা দিলেও আমরা যেন বিহ্বল না হয়ে দৃঢ়তার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারি, তার নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী দায়িত্বশীলতারই পরিচয় দিয়েছেন।
দুই বছরের করোনার ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পৃথিবীজুড়ে ভয়াবহ এক সংকট তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলনে দেওয়া ভাষণে জাতিসংঘ উন্নয়ন কার্যক্রমের (ইউএনডিপি) প্রধান আখিম স্টেইনার বলেছেন, বিশ্বের ৫৪টি উন্নয়নশীল দরিদ্র দেশ দেউলিয়া হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। এই যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্যসংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা জাতিসংঘের মহাসচিব নিজেও ব্যক্ত করেছেন। যুদ্ধের কারণে খাদ্যপণ্য সরবরাহে সমস্যা হওয়ায় দাম বাড়ছে। পৃথিবী যেহেতু এখনো পুরোপুরি ক্ষুধামুক্ত হয়নি, সেহেতু খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহ বিঘ্নিত হলে খাদ্যসংকটের কথাটি সামনে আসে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাম্প্রতিক একাধিক বক্তৃতায় ভবিষ্যতে খাদ্যসংকটের আভাস দিয়ে উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান জানানোর পর বিরোধী রাজনৈতিক দল, বিশেষ করে বিএনপির পক্ষ থেকে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা ছড়ানো হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেননি যে বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ হবেই; বরং তিনি এটাই বলেছেন যে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার মতো অবস্থা আমাদের আছে। তিনি বৈশ্বিক পরিস্থিতি আমলে নিয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতি ইঞ্চি জমি আবাদের আওতায় আনতে বলেছেন। এ ছাড়া সরকারি এবং ব্যক্তি পর্যায়ে ব্যয় কমানোর পরামর্শও দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।
এটা ঠিক যে বিশ্বে খাদ্য উৎপাদন কমে গেলে পরিস্থিতি খারাপ হবেই। আমরা খাদ্য উৎপাদনে এখনো স্বয়ংসম্পূর্ণ নই। আমাদের খাদ্যপণ্য আমদানি করতে হয়। চাল-গমসহ যা যা আমদানি করতে হয়, বিশ্বে তার উৎপাদন কমে গেলে আমরা তো সংকটে পড়তেই পারি। এর ওপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ খাদ্যপণ্যের দাম বাড়িয়েছে। বিশ্বজুড়েই অর্থনীতির চরম অবস্থা যাচ্ছে।
বিএনপির পক্ষ থেকে চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষের উদাহরণ দিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেই দেশে দুর্ভিক্ষ হয়–এমন প্রচারণার জবাবেই সম্ভবত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, ‘বাংলাদেশে ইনশা আল্লাহ কোনো দুর্ভিক্ষ হবে না।’ যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ১১ নভেম্বরের সমাবেশে বৈশ্বিক সংকটের কথা উল্লেখ করে সব ধরনের প্রস্তুতির আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘বিশ্বব্যাপী দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি শোনা গেলেও আমাদের অর্থনীতি এখনো যথেষ্ট শক্তিশালী। অনেকে বলেছিল শ্রীলঙ্কা হবে, এই হবে, সেই হবে—তাদের মুখে ছাই পড়েছে। সেটা হয়নি, ইনশা আল্লাহ হবেও না।’
মন্ত্রিসভার বৈঠকে গত সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রিজার্ভ কমে যাওয়া, কোভিড-পরবর্তী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, চীনে উৎপাদন কমায় ২০২৩ সালে দেশে সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা করেছেন। একই সঙ্গে সংকট কাটাতে ছয়টি পরামর্শও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পরামর্শগুলো হলো—খাদ্য উৎপাদন বাড়ানো, বিদেশে দক্ষ শ্রমিক পাঠানো, রেমিট্যান্স বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া, বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানো, খাদ্য মজুত ঠিক রাখা এবং খাদ্য আমদানিতে উৎসে কর বাদ দিয়ে আমদানিকারকদের স্বস্তি দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া।
আন্তর্জাতিক কারণে সংকট দেখা দিলেও আমরা যেন বিহ্বল না হয়ে দৃঢ়তার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারি, তার নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী দায়িত্বশীলতারই পরিচয় দিয়েছেন।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫