Ajker Patrika

পলাশ বাজার সেতুতে ফাটল

শাহীন রহমান, পাবনা
আপডেট : ১৯ অক্টোবর ২০২১, ১৬: ৫০
পলাশ বাজার সেতুতে ফাটল

নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মিত পলাশ বাজার সেতুতে দেখা দিয়েছে অসংখ্য ফাটল। বহু বছরের পুরোনো এই সেতুর সংস্কার না হওয়ায় ঝূঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেতুটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

ঘোড়াশাল পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ড কো-অপারেটিভ মোড়ে শীতলক্ষ্যা নদীর পাশে খালের ওপর এ সেতু নির্মিত হয়েছে। এ সেতুর ওপর দিয়েই স্থানীয় বাসিন্দাদের পলাশ বাজারে যেতে হয়। উপজেলার সবচেয়ে বড় কাপড় ও কেনাকাটার বাজার এটি। বাজারের পাশে রয়েছে পলাশ পাইলট নামে একটি প্রাইমারি স্কুল ও একটি উচ্চবিদ্যালয়। প্রতিদিন স্কুলের শিক্ষার্থীসহ এই সেতু দিয়ে যাতায়াত করেন হাজারো মানুষ।

ঘোড়াশাল পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ড কো-অপারেটিভ মোড়ে শীতলক্ষ্যা নদীর পাশে অবস্থিত সেতুটি পলাশ বাজার এলাকায় যাতায়াতের একমাত্র সড়ক এটি। এ ছাড়া উপজেলার সবচেয়ে বড় কাপড়ের বাজারও এ পথে। বাজারের পাশে রয়েছে দুটি বিদ্যালয়। ফলে প্রতিদিন হাজারো মানুষ ও ভারী যানবাহন যাতায়াত করে এ সেতু দিয়ে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ঘোড়াশাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উত্তপ্ত পানি নদীতে ছাড়াতে জন্য কো-অপারেটিভ মোড়ের পাশ দিয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে থেকে শীতলক্ষ্যা নদী পর্যন্ত একটি খাল খনন করা হয়। এর ওপর দিয়ে যাতায়াতের জন্য খালের ওপর একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। কিন্তু এরপর থেকে সেতুটির সংস্কার কিংবা মেরামত না করায় এর চারপাশে দেখা দিয়েছে অসংখ্য ফাটল। এ ছাড়া অনেক স্থানে সেতুর রেলিং ধসে পড়েছে। বিকল্প সড়ক না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের।

ব্যবসায়ী জহির মিয়া বলেন, আমার জন্মের পর থেকে সেতুটির এ অবস্থায় দেখে আসছি। বহু বছরের পুরোনো হওয়ায় সেতুর ধারণ ক্ষমতা কমে গেছে। যার ফলে অনেক স্থানে ফাটল আর ধস দেখা দিয়েছে।

ওই সেতুর পাশের দোকানদার ইব্রাহিম মিয়া বলেন, বাজারের ব্যবসায়ীরা মালামাল পরিবহনে একমাত্র পথ হিসেবে এই এই সেতুটি ব্যবহার করে। ভারী যানবাহন চলাচলের সময় সেতুটি কেঁপে উঠে। মনে হয় যেন এখনই ধসে পড়বে।

কাপড় ব্যবসায়ী রাজিব মিয়া বলেন, পলাশ উপজেলার কাপড়ের সবচেয়ে বড় বাজার এটি। এখানে প্রতিদিন হাজারো মানুষের যাতায়াত। সেতুটি যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। এটি ভেঙে গেলে যোগাযোগের পথ বন্ধ হয়ে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের।

পলাশ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন বিদ্যালয়ের হাজারো ছাত্র-ছাত্রী যাতায়াত করে। সেতুটি মেরামত না করলে যে কোনো সময় বড় ধরনের র্দুঘটনা ঘটতে পারে।

এ ব্যাপারে ঘোড়াশাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী (সিভিল) হোসাইন মো. সাব্বির বলেন, সেতুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করলেও এটি পৌরসভার আওতাধীন। এ ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ কেন্দ্র চাইলেও কিছু করতে পারছে না।

পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী আনোয়ার সাহাৎ বলেন, সেতুটি পৌরসভার আওতাধীন হলেও সংস্কার কিংবা পুনঃ নির্মাণের এখতিয়ার পৌরসভার নেই। এটি সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণাধীন।

এদিকে পৌরসভা ও বিদ্যুৎ কেন্দ্রের টানাপোড়েনে দিনদিন মরণ ফাঁদে পরিণত হচ্ছে সেতুটি। সেতুটি দ্রুত পুনঃ নির্মাণ বা সংস্কার করা না হলে বড় ধরনের বিপদের মুখে পড়তে হবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাকা দিয়ে নারীর চাবুকের ঘা খাচ্ছিলেন পুরুষ, দুজন গ্রেপ্তার

প্রবাসীর রেমিট্যান্সের অর্থ আত্মসাৎ, নারী ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে

মানবিক করিডর না ভূরাজনৈতিক কৌশল? সীমান্তে যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতায় উদ্বেগ

আইসিএক্স বাদ দিলে ঝুঁকিতে পড়বে দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব, বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ

‘কলেমা পড়ে বিয়ে’ করা স্ত্রীর ঘরে গিয়ে মধ্যরাতে ঘেরাও পুলিশ কনস্টেবল

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত