কিশোরগঞ্জ ও অষ্টগ্রাম প্রতিনিধি
টানা বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম, ইটনা ও মিঠামইনসহ অন্তত আটটি উপজেলার ৫০ ইউনিয়নের ২০০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়ি, হাট-বাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, উপাসনালয়। নিরাপত্তার জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে অন্তত ১৫টি গ্রামের বিদ্যুৎ সরবরাহ। বাড়িঘরে পানি উঠে যাওয়ায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছে অন্তত ২০ হাজারের বেশি মানুষ। ইতিমধ্যে পাঁচ হাজার মানুষ স্থানীয় বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। অন্যদিকে জেলা প্রশাসন বলছে, হাওর অধ্যুষিত সব উপজেলায় ৩৩২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। হাওরাঞ্চলের এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ইতিমধ্যে ৪ হাজার ৮৯৬ জন আশ্রয় নিয়েছেন। বন্যাকবলিত এলাকায় এবং আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ত্রাণ কার্যক্রম চলছে।
গতকাল সোমবার জেলার কয়েকটি প্লাবিত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন সড়কে ও হাট-বাজারে পানি উঠেছে। গবাদিপশুসহ গৃহস্থালি মালামাল সরিয়ে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজছেন বানভাসি মানুষ। অনেকে
উঠছেন আশ্রয়কেন্দ্রে। সরকারিভাবে ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, ১৪০ মেট্রিক টন চাল ও আড়াই লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অষ্টগ্রামের হাবেলীপাড়া, মধ্য অষ্টগ্রাম স্বপনপাড়া, দক্ষিণহাটি, হাবেলীপাড়া, ঋষিপাড়া, গোয়াইলহাটি, উত্তরহাটি নোয়াপাড়া, সাপান্তবাজার, মোহতলাবাজার, খয়েরপুর, কদমচাল, কাদিরপুর, মনোহরপুর, জিন্নাতপুর, চাঁনপুর গ্রাম প্লাবিত হয়ে গেছে। ঘরবাড়িতে পানি ঢুকেছে।
ইটনা উপজেলার, লাইপাশা, মৃগা, জয়সিদ্ধি ডুইয়েরপাড়, নুরপুর, বানিহাটি, পুরানহাটি, আমিরগঞ্জ, ইটনাবাজার, নতুনবাজার, আনন্দবাজারসহ উপজেলার ৮০ ভাগ এলাকা বন্যাকবলিত।
মিঠামইনে কেওয়ারজোড়, ঢাকী, বৈরাটি ও খাটখাল, গোপদিঘি ইউনিয়নের ৩০টি গ্রামে পানি উঠেছে। এ ছাড়া, ইটনা ও অষ্টগ্রামের ২০টি পুকুরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে।
অষ্টগ্রামের কাদিরপুর ও খয়েরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (সপ্রাবি), ইটনায় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সরকারি কলেজ ও গাবতলি সপ্রাবি এবং মিঠামইনে ৭৩ আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছে কয়েক শ বানভাসি পরিবার। হাওরে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায়, নিরাপত্তার জন্য গত শনিবার রাত থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে ইটনার চৌগাংগা ও শান্তিপুর, বড়িবাড়ি, এনসহিলা, দিয়ারকান্দি, বাদলা, কুর্শি, শিমুলবাঁক, টিয়ারকোণা, চং নোয়াগাঁও ও আনন্দবাজার, অষ্টগ্রামের কলমার সাপান্ত, কাকুরিয়া, শান্তিপুর, বাজুরী আদমপুরের চৌদন্ত, গাজীরহাটি, দোয়েলপুরসহ ১৫টি গ্রামে।
মিঠামইনের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘উপজেলার কাটখাল, বৈরাটি, গোপদিঘী, কেওয়ারজোড়সহ ৭টি ইউনিয়নের প্রায় ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ এলাকা প্লাবিত। ইতিমধ্যে ৭৩টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৪৮০টি পরিবারকে নিয়ে আসা হয়েছে।’
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম বলেন, ‘হাওর অধ্যুষিত সব উপজেলায় ৩৩২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। হাওরাঞ্চলের এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ইতিমধ্যে ৪ হাজার ৮৯৬ জন আশ্রয় নিয়েছেন। যাঁরা আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে চান, আমরা তাঁদের জন্য সার্বক্ষণিক ট্রলারের ব্যবস্থা রেখেছি।’
টানা বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম, ইটনা ও মিঠামইনসহ অন্তত আটটি উপজেলার ৫০ ইউনিয়নের ২০০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়ি, হাট-বাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, উপাসনালয়। নিরাপত্তার জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে অন্তত ১৫টি গ্রামের বিদ্যুৎ সরবরাহ। বাড়িঘরে পানি উঠে যাওয়ায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছে অন্তত ২০ হাজারের বেশি মানুষ। ইতিমধ্যে পাঁচ হাজার মানুষ স্থানীয় বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। অন্যদিকে জেলা প্রশাসন বলছে, হাওর অধ্যুষিত সব উপজেলায় ৩৩২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। হাওরাঞ্চলের এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ইতিমধ্যে ৪ হাজার ৮৯৬ জন আশ্রয় নিয়েছেন। বন্যাকবলিত এলাকায় এবং আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ত্রাণ কার্যক্রম চলছে।
গতকাল সোমবার জেলার কয়েকটি প্লাবিত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন সড়কে ও হাট-বাজারে পানি উঠেছে। গবাদিপশুসহ গৃহস্থালি মালামাল সরিয়ে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজছেন বানভাসি মানুষ। অনেকে
উঠছেন আশ্রয়কেন্দ্রে। সরকারিভাবে ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, ১৪০ মেট্রিক টন চাল ও আড়াই লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অষ্টগ্রামের হাবেলীপাড়া, মধ্য অষ্টগ্রাম স্বপনপাড়া, দক্ষিণহাটি, হাবেলীপাড়া, ঋষিপাড়া, গোয়াইলহাটি, উত্তরহাটি নোয়াপাড়া, সাপান্তবাজার, মোহতলাবাজার, খয়েরপুর, কদমচাল, কাদিরপুর, মনোহরপুর, জিন্নাতপুর, চাঁনপুর গ্রাম প্লাবিত হয়ে গেছে। ঘরবাড়িতে পানি ঢুকেছে।
ইটনা উপজেলার, লাইপাশা, মৃগা, জয়সিদ্ধি ডুইয়েরপাড়, নুরপুর, বানিহাটি, পুরানহাটি, আমিরগঞ্জ, ইটনাবাজার, নতুনবাজার, আনন্দবাজারসহ উপজেলার ৮০ ভাগ এলাকা বন্যাকবলিত।
মিঠামইনে কেওয়ারজোড়, ঢাকী, বৈরাটি ও খাটখাল, গোপদিঘি ইউনিয়নের ৩০টি গ্রামে পানি উঠেছে। এ ছাড়া, ইটনা ও অষ্টগ্রামের ২০টি পুকুরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে।
অষ্টগ্রামের কাদিরপুর ও খয়েরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (সপ্রাবি), ইটনায় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সরকারি কলেজ ও গাবতলি সপ্রাবি এবং মিঠামইনে ৭৩ আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছে কয়েক শ বানভাসি পরিবার। হাওরে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায়, নিরাপত্তার জন্য গত শনিবার রাত থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে ইটনার চৌগাংগা ও শান্তিপুর, বড়িবাড়ি, এনসহিলা, দিয়ারকান্দি, বাদলা, কুর্শি, শিমুলবাঁক, টিয়ারকোণা, চং নোয়াগাঁও ও আনন্দবাজার, অষ্টগ্রামের কলমার সাপান্ত, কাকুরিয়া, শান্তিপুর, বাজুরী আদমপুরের চৌদন্ত, গাজীরহাটি, দোয়েলপুরসহ ১৫টি গ্রামে।
মিঠামইনের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘উপজেলার কাটখাল, বৈরাটি, গোপদিঘী, কেওয়ারজোড়সহ ৭টি ইউনিয়নের প্রায় ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ এলাকা প্লাবিত। ইতিমধ্যে ৭৩টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৪৮০টি পরিবারকে নিয়ে আসা হয়েছে।’
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম বলেন, ‘হাওর অধ্যুষিত সব উপজেলায় ৩৩২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। হাওরাঞ্চলের এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ইতিমধ্যে ৪ হাজার ৮৯৬ জন আশ্রয় নিয়েছেন। যাঁরা আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে চান, আমরা তাঁদের জন্য সার্বক্ষণিক ট্রলারের ব্যবস্থা রেখেছি।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১১ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫