তাসনিম মহসিন, ঢাকা
জাতিসংঘে দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে বাংলাকে এখনই সংযুক্ত করতে যাচ্ছে না বাংলাদেশ। দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে বাংলাকে যুক্ত করতে প্রায় ৬০ কোটি ডলার খরচ হবে, যা টাকার অঙ্কে পাঁচ হাজার কোটি টাকার বেশি। এই বিপুল খরচ এখনই করতে চাইছে না বাংলাদেশ। তবে ভবিষ্যতে খরচ বহন করতে পারলে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে বাংলাকে যুক্ত করা হবে।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘যে অনুভূতি থেকে প্রশ্নটি করছেন, একজন বাঙালি হিসেবে আমারও একই প্রত্যাশা। কিন্তু বাস্তবতা হলো, এর আগে যে ভাষা সংযুক্ত হয়েছে, সেখানে কিন্তু ভাষা সংযুক্ত হলে যাবতীয় খরচ সেই রাষ্ট্রকে দিতে হয়।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে যুক্ত করতে হলে বাংলাদেশকে ৬০০ মিলিয়ন বা ৬০ কোটি ডলার খরচ করতে হবে। এ খরচ যুক্তিপূর্ণ হবে কি না, তা ভেবে দেখতে হবে। একদিন আমরা এ খরচ বহন করতে পারব। সেই দিনটির অপেক্ষায় থাকতে হবে সবাইকে।’
১৯৯৯ সালে ইউনেসকো ২১ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এর পর থেকে বাংলা ভাষা আন্তর্জাতিক ব্যাপ্তি লাভ করতে শুরু করে। ২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে দিবসটি জাতিসংঘের সদস্যদেশগুলোতে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে। ২০১০ সালের ২১ অক্টোবর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৬৫তম অধিবেশনে পাস হওয়া সর্বসম্মত এক প্রস্তাবে বলা হয়েছে, এখন থেকে প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করবে জাতিসংঘ। যদিও এর আগে ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের ৩০তম অধিবেশনে বঙ্গবন্ধু বাংলা ভাষায় বক্তৃতা দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
সাবেক পররাষ্ট্রসচিব মো. তৌহিদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশের জন্য এ অর্থ খরচ করা সহজ নয়। অর্থনীতির বিবেচনায় জাপান, জার্মানি বা ব্রাজিল বাংলাদেশের তুলনায় শক্তিশালী দেশ। কিন্তু এরা কেউই কেন তাদের ভাষাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা করার চেষ্টা করছে না, সে কথাটি বিবেচনা করা প্রয়োজন।’
জনসংখ্যা ও ব্যবহারের দিক থেকে বাংলা ভাষার অবস্থান বিশ্বে ষষ্ঠ। বিশ্বে তিনটি দেশের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে বাংলা। দেশগুলো হলো বাংলাদেশ, ভারত ও সিরেয়া লিওন।
বর্তমানে জাতিসংঘে মোট ছয়টি দাপ্তরিক ভাষা রয়েছে ইংরেজি, চীনা, রুশ, স্প্যানিশ, ফরাসি ও আরবি। ইংরেজি, ফরাসি, রুশ ও চীনা ভাষা ১৯৪৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পায়। অন্যদিকে রুশ ও স্প্যানিশ ভাষা নিরাপত্তা পরিষদের ভাষা হিসেবে স্থান পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে ২২ জানুয়ারি ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত। চীনাদের ভাষা নিরাপত্তা পরিষদের ভাষা হিসেবে ব্যবহার শুরু হয় ১৯৭৪ সাল থেকে। সর্বশেষে আরবি ভাষা জাতিসংঘের ষষ্ঠ দাপ্তরিক ভাষার তালিকাভুক্ত হয় ১৯৭৩ সালে। আর এটি নিরাপত্তা পরিষদের ভাষা হিসেবে কার্যক্রম শুরু হয় ২১ ডিসেম্বর ১৯৮২ সালে।
জাতিসংঘে দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে বাংলাকে এখনই সংযুক্ত করতে যাচ্ছে না বাংলাদেশ। দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে বাংলাকে যুক্ত করতে প্রায় ৬০ কোটি ডলার খরচ হবে, যা টাকার অঙ্কে পাঁচ হাজার কোটি টাকার বেশি। এই বিপুল খরচ এখনই করতে চাইছে না বাংলাদেশ। তবে ভবিষ্যতে খরচ বহন করতে পারলে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে বাংলাকে যুক্ত করা হবে।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘যে অনুভূতি থেকে প্রশ্নটি করছেন, একজন বাঙালি হিসেবে আমারও একই প্রত্যাশা। কিন্তু বাস্তবতা হলো, এর আগে যে ভাষা সংযুক্ত হয়েছে, সেখানে কিন্তু ভাষা সংযুক্ত হলে যাবতীয় খরচ সেই রাষ্ট্রকে দিতে হয়।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে যুক্ত করতে হলে বাংলাদেশকে ৬০০ মিলিয়ন বা ৬০ কোটি ডলার খরচ করতে হবে। এ খরচ যুক্তিপূর্ণ হবে কি না, তা ভেবে দেখতে হবে। একদিন আমরা এ খরচ বহন করতে পারব। সেই দিনটির অপেক্ষায় থাকতে হবে সবাইকে।’
১৯৯৯ সালে ইউনেসকো ২১ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এর পর থেকে বাংলা ভাষা আন্তর্জাতিক ব্যাপ্তি লাভ করতে শুরু করে। ২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে দিবসটি জাতিসংঘের সদস্যদেশগুলোতে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে। ২০১০ সালের ২১ অক্টোবর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৬৫তম অধিবেশনে পাস হওয়া সর্বসম্মত এক প্রস্তাবে বলা হয়েছে, এখন থেকে প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করবে জাতিসংঘ। যদিও এর আগে ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের ৩০তম অধিবেশনে বঙ্গবন্ধু বাংলা ভাষায় বক্তৃতা দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
সাবেক পররাষ্ট্রসচিব মো. তৌহিদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশের জন্য এ অর্থ খরচ করা সহজ নয়। অর্থনীতির বিবেচনায় জাপান, জার্মানি বা ব্রাজিল বাংলাদেশের তুলনায় শক্তিশালী দেশ। কিন্তু এরা কেউই কেন তাদের ভাষাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা করার চেষ্টা করছে না, সে কথাটি বিবেচনা করা প্রয়োজন।’
জনসংখ্যা ও ব্যবহারের দিক থেকে বাংলা ভাষার অবস্থান বিশ্বে ষষ্ঠ। বিশ্বে তিনটি দেশের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে বাংলা। দেশগুলো হলো বাংলাদেশ, ভারত ও সিরেয়া লিওন।
বর্তমানে জাতিসংঘে মোট ছয়টি দাপ্তরিক ভাষা রয়েছে ইংরেজি, চীনা, রুশ, স্প্যানিশ, ফরাসি ও আরবি। ইংরেজি, ফরাসি, রুশ ও চীনা ভাষা ১৯৪৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পায়। অন্যদিকে রুশ ও স্প্যানিশ ভাষা নিরাপত্তা পরিষদের ভাষা হিসেবে স্থান পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে ২২ জানুয়ারি ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত। চীনাদের ভাষা নিরাপত্তা পরিষদের ভাষা হিসেবে ব্যবহার শুরু হয় ১৯৭৪ সাল থেকে। সর্বশেষে আরবি ভাষা জাতিসংঘের ষষ্ঠ দাপ্তরিক ভাষার তালিকাভুক্ত হয় ১৯৭৩ সালে। আর এটি নিরাপত্তা পরিষদের ভাষা হিসেবে কার্যক্রম শুরু হয় ২১ ডিসেম্বর ১৯৮২ সালে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪