Ajker Patrika

জিকির মানসিক প্রশান্তি আনে

মাওলানা ইসমাইল নাজিম
আপডেট : ০৬ জানুয়ারি ২০২২, ১৯: ০২
জিকির মানসিক প্রশান্তি আনে

জিকির শব্দের অর্থ স্মরণ করা। ইসলামের পরিভাষায় মহান আল্লাহর নাম শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করার নামই জিকির। মুমিনের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আল্লাহর আনুগত্য করা এবং তাঁকে স্মরণ করার নির্দেশ দেয় ইসলাম। আল্লাহ বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ কর।’ (সুরা আহজাব: ৪১)

জিকির উৎকৃষ্ট মানের ইবাদত; আল্লাহ তা অত্যন্ত পছন্দ করেন। জিকিরে অভ্যস্ত বান্দাদের ক্ষমা করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহকে অধিক স্মরণকারী পুরুষ ও অধিক স্মরণকারী নারী—এদের জন্য আল্লাহ প্রস্তুত রেখেছেন ক্ষমা ও মহা প্রতিদান।’ (সুরা আহজাব: ৩৫)

জিকিরের অনেক ফজিলতের কথা কোরআন-হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এটি মানসিক প্রশান্তি আনে। এর মাধ্যমে দুশ্চিন্তা ও হতাশা দূর হয়। আল্লাহ বলেন, ‘জেনে রেখো, আল্লাহর স্মরণেই মন প্রশান্ত হয়।’ (সুরা রাদ: ২৮)

এক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি সকালে জেগে উঠে ১০০ বার ‘সুবহানাল্লাহিল আজিম ওয়া বিহামদিহি’ বলবে এবং সন্ধ্যায়ও অনুরূপ বলবে, তাহলে সৃষ্টিকুলের কেউই তার মতো মর্যাদা ও সওয়াব অর্জন করতে পারবে না। (আবু দাউদ: ৫০৯১)

দরিদ্র সাহাবিরা একবার মহানবী (সা.)-এর কাছে নালিশ করলেন যে, সম্পদশালী সাহাবিরা তো আমাদের মতোই নামাজ-রোজা করছেন এবং অর্থের মাধ্যমে হজ, ওমরাহ, সদকা ইত্যাদি করারও সৌভাগ্য লাভ করছেন? এ অভিযোগ শুনে তিনি বললেন, ‘আমি কি তোমাদের এমন কিছু কাজের কথা বলব, যা তোমরা করলে যারা নেক কাজে তোমাদের চেয়ে অগ্রগামী হয়ে গেছে, তাদের পর্যায়ে পৌঁছতে পারবে?...তোমরা প্রত্যেক নামাজের পর ৩৩ বার করে ‘সুবহানাল্লাহ’, ‘আলহামদুলিল্লাহ’ এবং ‘আল্লাহু আকবার’ পাঠ করবে। (বুখারি: ৮৪৩)

মাওলানা ইসমাইল নাজিম, ইসলামবিষয়ক গবেষক

আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত