Ajker Patrika

সড়কজুড়ে খানাখন্দে বৃষ্টির পানি, চলাচলে ভোগান্তি

হোমনা প্রতিনিধি
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২১, ১৪: ৫১
সড়কজুড়ে খানাখন্দে বৃষ্টির পানি, চলাচলে ভোগান্তি

হোমনা পৌরসভা বাজারের ওভার ব্রিজ থেকে পূর্ব শ্রীমদ্দি ঈদগাহ পর্যন্ত এক কিলোমিটার সড়ক বেহাল হয়ে গেছে। সড়কের কার্পেটিং উঠে গিয়ে অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রতিদিনই কোনো না কোনো যানবাহন সড়কের গর্তে আটকে যাচ্ছে। সড়কটি সংস্কার না করায় আনুমানিক ২০ হাজার মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কের বিভিন্ন অংশে পিচ ঢালাই উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। ছোট-বড় গর্ত এড়িয়ে যানবাহনগুলো চলছে এঁকেবেঁকে। বৃষ্টি হলেই গর্তগুলোতে পানি জমে যায়।

এর মধ্যে হোমনার পুরোনো ডাকবাংলো, মহরম আলী মাস্টারের বাড়ি, লাখ মিয়ার বেকারী, মুকেন্দ্র মাস্টার বাড়ি ও তারা মিয়া বেকারীর সামনে এবং পূর্ব শ্রীমদ্দি হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও ঈদগাহর সামনের সড়কের অবস্থা সবচেয়ে বেশি খারাপ। বড় গর্তে বিভিন্ন যানবাহন আটকে গিয়ে প্রায়ই যানজটের সৃষ্টি হয় বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। একই অবস্থা বিভিন্ন যানবাহনের চালকদেরও। তবে বিকল্প না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই এ সড়কে যাতায়াত করছেন ভুক্তভোগীরা।

ওভার ব্রিজের সিএনজি স্টেশনের লাইনম্যান মো. মোবারক হোসেন বলেন, এ সড়ক ব্যবহার করেই পৌরসভার শ্রীমদ্দি, লটিয়া, চরের গাঁ ও আড়াই হাজার উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের লোকজন প্রতিদিন হোমনা উপজেলা সদরে আসেন। এ ছাড়া হোমনা, তিতাস, মেঘনা ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে শিক্ষার্থীদের কষ্ট করে সরকারি কলেজে আসতে হয়। প্রতিদিন এ সড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ আনুমানিক পাঁচ শতাধিক যানবাহন চলাচল করে। খানাখন্দে পড়ে সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাগুলো উল্টে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটছে।

ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের চালক মো. শাহাবুদ্দিন মিয়া বলেন, ‘সড়ক খারাপ হওয়ায় আমাদের গাড়িগুলো প্রায় উল্টে যায়। এতে অটোরিকশাগুলো যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তেমনি এর যাত্রীসহ আমরা চালকেরাও ব্যথা পাই।’

সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক গোপাল সাহা বলেন, ‘খানাখন্দের সড়কে গাড়ি চালাতে আমাদের অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। একদিকে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে যাত্রী ও চালকেরা আহত হচ্ছেন। অপর দিকে গাড়ির যন্ত্রপাতিও নষ্ট হচ্ছে।’

স্থানীয় বাসিন্দা ও হোমনা সরকারি কলেজের শিক্ষক মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আমরা সদরে বসবাস করি। কিন্তু এই সড়কটির কারণে ঘর থেকে বের হতে মন চায় না।’

হোমনা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সাদিয়া আক্তার ও রাশিদা আক্তার বলেন, সড়কের বড় গর্তের কারণে রিকশায় উঠেও দুর্ঘটনার শঙ্কা নিয়ে চলাচল করতে হয়।

হোমনা উপজেলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘খানাখন্দের এই সড়ক ব্যবহার করে প্রতিদিন শত শত কোমলমতি শিক্ষার্থী উপজেলা সদরের বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাওয়া আসা করে। গর্তে পড়ে অনেক শিক্ষার্থীকেই তাদের বই-খাতা ও জামা-কাপড় নষ্ট করতে দেখেছি। এটি পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক। সড়কটি দ্রুত সংস্কার করে দুর্ভোগ লাঘব করতে কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।’

হোমনা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘হোমনা উপজেলার সর্বোচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হোমনা সরকারি কলেজ। দুই হাজারের বেশি শিক্ষার্থী এখানে অধ্যয়ন করছে। কিন্তু কলেজে আসার সড়কটির অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। এটি সংস্কার না করায় কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন কলেজে আসা যাওয়ায় সময় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আমি জরুরি ভিত্তিতে সড়কটি সংস্কারের জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানাচ্ছি।’

হোমনা পৌরসভার মেয়র মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘সড়কটি সংস্কারের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে অনেক আগেই। বেশি দিন টেকসই করতে এটি আরসিসি ঢালাইয়ের মাধ্যমে সংস্কার করা হবে। খুব শিগগিরই কাজ শুরু হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এবার ‘পাকিস্তানপন্থার’ বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলেন আসিফ মাহমুদ

সমাবেশে দলীয় স্লোগান ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনে বাধা দেওয়া প্রসঙ্গে এনসিপির বিবৃতি

বাহাত্তরের সংবিধান, জুলাই সনদ, প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতির ক্ষমতা নিয়ে আইন উপদেষ্টার গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য

চাকরিতে কোটা: সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য আসছে সমান সুযোগ

পাকিস্তানের ভয়ে যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য প্রকাশ করতে চায় না ভারত

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত