সম্পাদকীয়
‘বুক তার বাংলাদেশের হৃদয়’ নূর হোসেনকে নিয়ে লেখা শামসুর রাহমানের কবিতা। অজস্রবার পাঠ ও আবৃত্তি হয়েছে কবিতাটি। স্বৈরাচার এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের অংশ হিসেবে বুকে-পিঠে গণতন্ত্রের স্লোগান নিয়ে হাজির হয়েছিলেন নূর হোসেন। তাঁকে নিয়েই শামসুর রাহমানের কবিতাটি।
‘সারারাত নূর হোসেনের চোখে/ এক ফোঁটা ঘুমও/ শিশিরের মতো জমেনি, বরং তার/শিরায় শিরায়/
জ্বলেছে আতশবাজি সারারাত, কী/ এক ভীষণ/ বিস্ফোরণ সারারাত জাগিয়ে/ রেখেছে /ওকে…’।
নূর হোসেন শহীদ হয়েছেন ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর। ১৯৮৮ সালের মার্চ বা এপ্রিল মাসে শামসুর রাহমান হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। একটি ওষুধের ভুল ডোজই হৃদ্রোগের কারণ। বুকের কষ্ট কাটানোর জন্য হাসপাতালে যেতে হয়। খবর রটে গেলে অনেক মানুষ এসে ভিড় করে হাসপাতালে।
তখন তল্লাবাগের একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন শামসুর রাহমান। সেখান থেকেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। বক্ষব্যাধি হাসপাতালের বারান্দায় স্ট্রেচারে শোয়া অবস্থায় ছিলেন যখন, তখন একজন ডাক্তার এসে দেখলেন তাঁকে। ঘাবড়ে গেলেন।
তিনি ভেবেছিলেন, এ অবস্থায় যদি শামসুর রাহমানের মৃত্যু হয়, তাহলে হাসপাতালে জড়ো হওয়া তরুণেরা চিকিৎসককে ছিঁড়ে ফেলবেন।মহাখালীর বক্ষব্যাধি হাসপাতালে অনেকেই এসেছিলেন শামসুর রাহমানকে দেখতে। একদিন এলেন শহীদ নূর হোসেনের বাবা মুজিবুর রহমান। তিনি যে অটোরিকশাচালক, সেটা এখন সবাই জানেন। খুবই সাদাসিধা পোশাক।
মাথায় কিস্তি টুপি। মুখে সাদা-কালো দাড়ি আর গোঁফ। সঙ্গে নিয়ে এসেছেন সুন্দর একটা ফুলের তোড়া। বড় একটা ফলের প্যাকেট।
তাঁর হাতে এত কিছু দেখে বিব্রত হলেন শামসুর রাহমান। বললেন, ‘আপনি কষ্ট করে আমাকে দেখতে এসেছেন। আমি খুব খুশি হয়েছি। কিন্তু এসব নিয়ে এলেন কেন? পয়সা খরচ করে কোনো দরকার ছিল না এ সবের।’
নূর হোসেনের বাবা বিনীত উত্তর দিলেন, ‘কী বলছেন? আপনি আমার ছেলেকে নিয়ে কবিতা লিখেছেন, আপনার জন্য এই সামান্য জিনিস আনতে পারব না?’
সূত্র: শামসুর রাহমান গদ্যসংগ্রহ, পৃষ্ঠা ৩২১-৩২৩
‘বুক তার বাংলাদেশের হৃদয়’ নূর হোসেনকে নিয়ে লেখা শামসুর রাহমানের কবিতা। অজস্রবার পাঠ ও আবৃত্তি হয়েছে কবিতাটি। স্বৈরাচার এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের অংশ হিসেবে বুকে-পিঠে গণতন্ত্রের স্লোগান নিয়ে হাজির হয়েছিলেন নূর হোসেন। তাঁকে নিয়েই শামসুর রাহমানের কবিতাটি।
‘সারারাত নূর হোসেনের চোখে/ এক ফোঁটা ঘুমও/ শিশিরের মতো জমেনি, বরং তার/শিরায় শিরায়/
জ্বলেছে আতশবাজি সারারাত, কী/ এক ভীষণ/ বিস্ফোরণ সারারাত জাগিয়ে/ রেখেছে /ওকে…’।
নূর হোসেন শহীদ হয়েছেন ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর। ১৯৮৮ সালের মার্চ বা এপ্রিল মাসে শামসুর রাহমান হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। একটি ওষুধের ভুল ডোজই হৃদ্রোগের কারণ। বুকের কষ্ট কাটানোর জন্য হাসপাতালে যেতে হয়। খবর রটে গেলে অনেক মানুষ এসে ভিড় করে হাসপাতালে।
তখন তল্লাবাগের একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন শামসুর রাহমান। সেখান থেকেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। বক্ষব্যাধি হাসপাতালের বারান্দায় স্ট্রেচারে শোয়া অবস্থায় ছিলেন যখন, তখন একজন ডাক্তার এসে দেখলেন তাঁকে। ঘাবড়ে গেলেন।
তিনি ভেবেছিলেন, এ অবস্থায় যদি শামসুর রাহমানের মৃত্যু হয়, তাহলে হাসপাতালে জড়ো হওয়া তরুণেরা চিকিৎসককে ছিঁড়ে ফেলবেন।মহাখালীর বক্ষব্যাধি হাসপাতালে অনেকেই এসেছিলেন শামসুর রাহমানকে দেখতে। একদিন এলেন শহীদ নূর হোসেনের বাবা মুজিবুর রহমান। তিনি যে অটোরিকশাচালক, সেটা এখন সবাই জানেন। খুবই সাদাসিধা পোশাক।
মাথায় কিস্তি টুপি। মুখে সাদা-কালো দাড়ি আর গোঁফ। সঙ্গে নিয়ে এসেছেন সুন্দর একটা ফুলের তোড়া। বড় একটা ফলের প্যাকেট।
তাঁর হাতে এত কিছু দেখে বিব্রত হলেন শামসুর রাহমান। বললেন, ‘আপনি কষ্ট করে আমাকে দেখতে এসেছেন। আমি খুব খুশি হয়েছি। কিন্তু এসব নিয়ে এলেন কেন? পয়সা খরচ করে কোনো দরকার ছিল না এ সবের।’
নূর হোসেনের বাবা বিনীত উত্তর দিলেন, ‘কী বলছেন? আপনি আমার ছেলেকে নিয়ে কবিতা লিখেছেন, আপনার জন্য এই সামান্য জিনিস আনতে পারব না?’
সূত্র: শামসুর রাহমান গদ্যসংগ্রহ, পৃষ্ঠা ৩২১-৩২৩
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৫ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৫ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৫ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫