Ajker Patrika

এক বছরে সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছে ৪৪ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৬ মার্চ ২০২২, ১৪: ৪৪
এক বছরে সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছে ৪৪ শতাংশ

দেশে সন্দেহজনক লেনদেন বাড়ছে। বাড়ছে নগদ লেনদেনও। বিদায়ী অর্থবছরে পাচার-সংক্রান্ত সন্দেহজনক লেনদেন রিপোর্টিং (এসটিআর) ও সন্দেহজনক কার্যক্রম রিপোর্টিং (এসএআর) নিয়ে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) বার্ষিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। বিএফআইইউর ওই প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে ৫ হাজার ২৮০টি সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। এর আগের অর্থবছরে (২০১৯-২০) এ ধরনের লেনদেনের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৬৭৫টি। সেই হিসাবে গত এক বছরে সন্দেহজনক লেনদেনের সংখ্যা ৪৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেড়েছে। আর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সন্দেহজনক লেনদেনের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৯০৮টি।

গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স কক্ষে বিএফআইইউর বার্ষিক প্রতিবেদন ২০২০-২১ এবং ‘বিএফআইইউর কার্যক্রম অবহিতকরণ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব তথ্য প্রকাশ করে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট। সংস্থাটি জানায়, শুধু যে দুর্নীতির কারণে সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছে, তা নয়। বরং বিএফআইইউর কার্যক্রম ও সচেতনতা বৃদ্ধির ফলে এসব বিষয় সম্পর্কে আগের তুলনায় অধিক তথ্য সংগ্রহ সম্ভব হয়েছে।

বিএফআইইউর প্রধান মাসুদ বিশ্বাস বলেন, ‘আমরা যেসব সন্দেহজনক লেনদেন চিহ্নিত করি এর ২৬ দশমিক ১ শতাংশ তথ্য আসে গণমাধ্যম থেকে। চলতি বছরের ৭ মার্চ বিএফআইইউর স্বতন্ত্র ওয়েবসাইট উদ্বোধন করা হয়েছে। সেখানে যে কারো পরিচয় গোপন রেখে অভিযোগ করার ঝুঁকিহীন সুযোগের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেটাকে গুরুত্বসহকারে দেখবে বিএফআইইউ। আর এ বছর আমরা বিএফআইইউর ২০ বছর পূর্তি উদযাপন করতে যাচ্ছি। এরই মধ্যে আমাদের মানি লন্ডারিং ব্যবস্থা বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। তথ্যপ্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে ব্যবসা এবং ঝুঁকির ধরন পাল্টেছে। আমরাও বিভিন্নভাবে সমৃদ্ধ হয়েছি।’

কয়েকটি আলোচিত অভিযোগের জের টেনে তিনি বলেন, ‘আমরা কানাডার বেগমপল্লি, মালয়েশিয়া এবং পিকে হালদার নিয়ে কাজ করেছি এবং এ বিষয়ে যথাযথ সংস্থাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে।’

সম্প্রতি আলোচিত ই-কমার্স ইস্যুর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ইদানীং ই-কমার্সের মাধ্যমে শতশত অবৈধ লেনদেন হচ্ছে, যা আগের তুলনায় অনেক বেশি। আমরা অনেকের বিষয়ে কাজ করছি।’

মতবিনিময় সভায় মাসুদ বিশ্বাস বলেন, সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছে। তবে এটি শুধু দুর্নীতি বাড়ার কারণে হয়েছে তা নয়, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সচেতনতা বৃদ্ধির কারণেও বেড়েছে। এ ছাড়া এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা ও সচেতনতা বাড়ায় এসটিআর ও এসএআর বেড়েছে।

বিএফআইইউর প্রধান মাসুদ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম, বিএফআইইউর প্রোগ্রামার ইফতেখার মাহমুদ, জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) এবিএম জহুরুল হুদা, পাবলিকেশন ডিপার্টমেন্টের জেনারেল ম্যানেজার জিএম আবুল কালাম আজাদ, বিএফআইইউর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার কামাল হোসাইন, যুগ্ম পরিচালক ইকরামুল হাসান প্রমুখ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিএফআইইউ যে সন্দেহজনক লেনদেন চিহ্নিত করেছে এটা ভালো উদ্যোগ। তবে এ ধরনের লেনদেন শুধু চিহ্নিত করলে হবে না, বরং তা নিয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করতে হবে। সন্দেহজনক লেনদেন বন্ধে সংস্থাটির সক্ষমতা বাড়াতে হবে এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পরে প্রতিবেদন প্রকাশ করার সময়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা যেন প্রকাশের ব্যবস্থা করা হয়। এতে বিএফআইইউর প্রতি আস্থা বাড়বে এবং অপরাধীদের মধ্যে ভীতির সৃষ্টি হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পুরোনো রাউটার ফেলে না দিয়ে যে কাজে ব্যবহার করতে পারেন

পাকিস্তানের সামরিক ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতার সামনে অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে ভারত: ব্রিটিশ বিশ্লেষক

কী লিখেছিলেন মাহফুজ আলম, ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ডিলিট করলেন কেন

প্রশাসনিক আদেশে জামায়াত নিষিদ্ধ ভুল, আ.লীগের কার্যক্রম বন্ধ সঠিক: বিএনপি

প্রথম ভাষণে গাজা প্রসঙ্গে যা বললেন পোপ লিও চতুর্দশ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত