Ajker Patrika

ডব্লিউ বি ইয়েটস

সম্পাদকীয়
ডব্লিউ বি ইয়েটস

আয়ারল্যান্ডের কবি, নাট্যকার এবং বিশ শতকের সাহিত্যাঙ্গনের একজন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ডব্লিউ বি ইয়েটস। তাঁর পুরো নাম উইলিয়াম বাটলার ইয়েটস। থমাস হার্ডির পর তিনি ছিলেন ইংরেজি সাহিত্যের আকাশে উজ্জ্বল নক্ষত্র। তাঁর কাব্য প্রতিভা তাঁকে কিংবদন্তিতে পরিণত করেছে। তাঁকে বলা হয়ে থাকে প্রকৃতির এবং রোমান্টিসিজমের শেষ সেরা কবি। একই সঙ্গে তিনি ঐতিহ্যগত ভাবধারার অনুসারী ছিলেন।

ইয়েটসের যখন দুই বছর বয়স, তখন তাঁর বাবা জন বাটলার ইয়েটস চিত্রশিল্প শেখার জন্য সপরিবারে চলে যান লন্ডনে। ১৮৭৭ সালের ২৬ জানুয়ারি শিশু ইয়েটসের স্কুলে যাওয়া শুরু হয়। তাঁকে ভর্তি করা হয় লন্ডনের ডলফিন স্কুলে। এই স্কুলে তিনি চার বছর পড়ালেখা করেন। শৈশবে তেমন মেধাবী ছিলেন না। তবে স্কুলের পড়াশোনা শেষে তাঁর উপলব্ধি হয়েছিল স্কুলে তাঁর জীবনের একটা মূল্যবান সময় নষ্ট হয়েছে। তাঁর বাবা সে সময় খুবই অর্থকষ্টে ভুগছিলেন। ফলে ১৮৮০ সালে ফের আয়ারল্যান্ডে ফিরে যেতে বাধ্য হয় তাঁর পরিবার।

ইয়েটস তাঁর সাহিত্যকর্ম শুরু করেন মাত্র ১৭ বছর বয়সে। ১৮৮৫ সালের ২১ অক্টোবর তাঁর ‘দ্য পোয়েট্রি অব স্যামুয়েল ফার্গুসন’ শিরোনামের কবিতাটি প্রথম প্রকাশিত হয় ডাবলিন ইউনিভার্সিটি রিভিউতে। ইয়েটসের শুরুর দিকের কবিতাগুলো ছিল শেলি ও এডমন্ড স্পেন্সার দ্বারা প্রভাবিত। পরে অবশ্য তিনি অন্য ধারায় কবিতা রচনা শুরু করেন। তাঁর সৃষ্টিকর্মে প্রি-রাফায়েল, আইরিশ লোকগাথা এবং সাংস্কৃতিক প্রভাবও ছিল সুস্পষ্ট।

তিনি রবীন্দ্রনাথের গীতাঞ্জলি ইংরেজিতে অনুবাদ করতে সহযোগিতা করেন। ১৯১৩ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গীতাঞ্জলির জন্য নোবেল পান। রবীন্দ্রনাথের নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তিতে তাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য ছিল, তা তো বলাই যায়।

১৯২৩ সালে তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।

তাঁর কবিতা নিয়ে নোবেল কমিটি বলেছিল, ‘অনুপ্রেরণা জাগানো কবিতা, যা খুবই শৈল্পিকভাবে পুরো জাতির স্পৃহা জাগানো ভাবটিকে প্রকাশ করেছে।’

ইয়েটসের জীবনপ্রদীপ নিভে যায় ১৯৩৯ সালের ২৮ জানুয়ারি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত