শাহীন রহমান, পাবনা
নতুন করে বেড়েছে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব। এরই মধ্যে পাবনায় ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে। ঘন কুয়াশা আর মৃদু শৈত্যপ্রবাহে জনজীবনে নেমে এসেছে দুর্ভোগ। প্রতিদিন শিশু, বৃদ্ধসহ অর্ধশতাধিক মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। ফলে অভিভাবক ও পরীক্ষার্থীদের মধ্যে করোনার উদ্বেগ বেড়েছে।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালে শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডে গতকাল সোমবার ১৯০ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। অনেক রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা শয্যা না পেয়ে হাসপাতালের বারান্দায় অবস্থান করছেন।
এদিকে অনার্স চতুর্থ ও ডিগ্রি প্রথম বর্ষের পরীক্ষা চলায় কেন্দ্রগুলোতে জ্বর, ঠান্ডা ও কাশি নিয়ে অনেকে প্রবেশ করছেন। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরাজ করছে শঙ্কা ও উদ্বেগ। পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ, শহীদ বুলবুল সরকারি কলেজ, সরকারি মহিলা কলেজ, পাবনা কলেজসহ বেশকিছু কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ পরীক্ষার্থী মাস্ক ব্যবহার করেননি। পরীক্ষার কক্ষে পরিদর্শকেরা তাঁদের মাস্ক পরতে তাগিদ দিচ্ছেন। এ ছাড়া সামাজিক দূরত্ব, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া অনেকে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি জ্বরে আক্রান্ত; সঙ্গে হাঁচি, কাশি ও ঠান্ডাও রয়েছে।
এদিকে জেলায় কয়েক দিন ধরে বেড়েছে শীতের প্রকোপ। প্রায় প্রতিদিনই অর্ধশতাধিক নানা বয়সী রোগী হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা নিচ্ছেন। ভর্তি রোগীরা শয্যা না পেয়ে বারান্দা ও মেঝেতে ঠাসাঠাসি করে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এখানে প্রতিদিন ঠান্ডাজনিত নিউমোনিয়াসহ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ৪০-৫০ জন রোগী ভর্তি হচ্ছেন। ধারণক্ষমতার বেশি রোগী আসায় তাঁদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্টদের।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শিশু ওয়ার্ডে ৩৬টি শয্যা থাকলেও এখানে রোগী ভর্তি রয়েছে ১২০ জন। ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ১৬টি শয্যার বিপরীতে রোগী আছে ৬০ জন। এসব রোগীর অনেকে হাসপাতালের বারান্দা কিংবা করিডরে অবস্থান করছেন। এক সপ্তাহ ধরে রোগীর চাপ আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন, হাসপাতালের শয্যাসংখ্যা ২৫০। এর মধ্যে করোনা রোগীদের জন্য ১০০ শয্যা সংরক্ষিত রাখার পর বাকি রয়েছে ১৫০ টি। কিন্তু এ হাসপাতালে রোগী ভর্তি রয়েছে ৪৫০ থেকে ৫০০ জন। শিশু ওয়ার্ডের ১৫ জন নার্স ও পাঁচজন চিকিৎসক দুই শতাধিক রোগীকে চিকিৎসা দিচ্ছেন। ফলে তাঁদের সেবা দিতে বেগ পেতে হচ্ছে। গত ১৫ দিনে শিশু ওয়ার্ডে সাড়ে ৮০০ রোগী ভর্তি হলেও এর মধ্যে নিউমোনিয়া আক্রান্ত তিন শতাধিক আর ডায়রিয়ার রোগী শতাধিক। বাকি সবাই জ্বর, থ্যালাসেমিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক কে এম আবু জাফর জানান, প্রতি ওয়ার্ডেই নির্ধারিত শয্যার চেয়ে রোগী ভর্তি বেশি হচ্ছে। তারপরও চেষ্টা করছেন সীমিত ব্যবস্থার মধ্যে সর্বোচ্চ সেবা দিতে। হাসপাতালে বর্তমান চিকিৎসকের ২০টি পদ শূন্য রয়েছে।
এদিকে গত শনিবার সকালে অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা চলাকালে কথা হয় সহকারী অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন ও প্রভাষক বাবর আলী মালিথার সঙ্গে। তাঁরা বলেন, প্রত্যেকটি কক্ষে পরীক্ষার্থীদের মাস্ক পরিধান করতে বলা হয়েছে। মাস্ক নিশ্চিত করেই তাঁদের হলে প্রবেশ করানো এবং পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়েছে। তারপরও অনেকের মধ্যে তা মানতে অনীহা দেখা যায়।
পাবনার সিভিল সার্জন মনিসর চৌধুরী জানান, পাবনায় শীতজনিত রোগীর সংখ্যা যদিও বেড়েছে। তবে এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। করোনাকাল হওয়ায় তাঁরা রোগীসহ চিকিৎসাসংশ্লিষ্ট সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন।
নতুন করে বেড়েছে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব। এরই মধ্যে পাবনায় ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে। ঘন কুয়াশা আর মৃদু শৈত্যপ্রবাহে জনজীবনে নেমে এসেছে দুর্ভোগ। প্রতিদিন শিশু, বৃদ্ধসহ অর্ধশতাধিক মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। ফলে অভিভাবক ও পরীক্ষার্থীদের মধ্যে করোনার উদ্বেগ বেড়েছে।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালে শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডে গতকাল সোমবার ১৯০ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। অনেক রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা শয্যা না পেয়ে হাসপাতালের বারান্দায় অবস্থান করছেন।
এদিকে অনার্স চতুর্থ ও ডিগ্রি প্রথম বর্ষের পরীক্ষা চলায় কেন্দ্রগুলোতে জ্বর, ঠান্ডা ও কাশি নিয়ে অনেকে প্রবেশ করছেন। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরাজ করছে শঙ্কা ও উদ্বেগ। পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ, শহীদ বুলবুল সরকারি কলেজ, সরকারি মহিলা কলেজ, পাবনা কলেজসহ বেশকিছু কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ পরীক্ষার্থী মাস্ক ব্যবহার করেননি। পরীক্ষার কক্ষে পরিদর্শকেরা তাঁদের মাস্ক পরতে তাগিদ দিচ্ছেন। এ ছাড়া সামাজিক দূরত্ব, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া অনেকে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি জ্বরে আক্রান্ত; সঙ্গে হাঁচি, কাশি ও ঠান্ডাও রয়েছে।
এদিকে জেলায় কয়েক দিন ধরে বেড়েছে শীতের প্রকোপ। প্রায় প্রতিদিনই অর্ধশতাধিক নানা বয়সী রোগী হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা নিচ্ছেন। ভর্তি রোগীরা শয্যা না পেয়ে বারান্দা ও মেঝেতে ঠাসাঠাসি করে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এখানে প্রতিদিন ঠান্ডাজনিত নিউমোনিয়াসহ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ৪০-৫০ জন রোগী ভর্তি হচ্ছেন। ধারণক্ষমতার বেশি রোগী আসায় তাঁদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্টদের।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শিশু ওয়ার্ডে ৩৬টি শয্যা থাকলেও এখানে রোগী ভর্তি রয়েছে ১২০ জন। ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ১৬টি শয্যার বিপরীতে রোগী আছে ৬০ জন। এসব রোগীর অনেকে হাসপাতালের বারান্দা কিংবা করিডরে অবস্থান করছেন। এক সপ্তাহ ধরে রোগীর চাপ আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন, হাসপাতালের শয্যাসংখ্যা ২৫০। এর মধ্যে করোনা রোগীদের জন্য ১০০ শয্যা সংরক্ষিত রাখার পর বাকি রয়েছে ১৫০ টি। কিন্তু এ হাসপাতালে রোগী ভর্তি রয়েছে ৪৫০ থেকে ৫০০ জন। শিশু ওয়ার্ডের ১৫ জন নার্স ও পাঁচজন চিকিৎসক দুই শতাধিক রোগীকে চিকিৎসা দিচ্ছেন। ফলে তাঁদের সেবা দিতে বেগ পেতে হচ্ছে। গত ১৫ দিনে শিশু ওয়ার্ডে সাড়ে ৮০০ রোগী ভর্তি হলেও এর মধ্যে নিউমোনিয়া আক্রান্ত তিন শতাধিক আর ডায়রিয়ার রোগী শতাধিক। বাকি সবাই জ্বর, থ্যালাসেমিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক কে এম আবু জাফর জানান, প্রতি ওয়ার্ডেই নির্ধারিত শয্যার চেয়ে রোগী ভর্তি বেশি হচ্ছে। তারপরও চেষ্টা করছেন সীমিত ব্যবস্থার মধ্যে সর্বোচ্চ সেবা দিতে। হাসপাতালে বর্তমান চিকিৎসকের ২০টি পদ শূন্য রয়েছে।
এদিকে গত শনিবার সকালে অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা চলাকালে কথা হয় সহকারী অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন ও প্রভাষক বাবর আলী মালিথার সঙ্গে। তাঁরা বলেন, প্রত্যেকটি কক্ষে পরীক্ষার্থীদের মাস্ক পরিধান করতে বলা হয়েছে। মাস্ক নিশ্চিত করেই তাঁদের হলে প্রবেশ করানো এবং পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়েছে। তারপরও অনেকের মধ্যে তা মানতে অনীহা দেখা যায়।
পাবনার সিভিল সার্জন মনিসর চৌধুরী জানান, পাবনায় শীতজনিত রোগীর সংখ্যা যদিও বেড়েছে। তবে এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। করোনাকাল হওয়ায় তাঁরা রোগীসহ চিকিৎসাসংশ্লিষ্ট সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪