ওমর ফারুক
প্রশ্ন: তৃতীয়বারের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট খেলতে যাচ্ছেন, এমন টুর্নামেন্ট উন্নতিতে কতটা সহায়ক?
জাহানারা আলম: তিন মাস অনুশীলন করে একটা ম্যাচ খেলা আর ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট কিন্তু অনেক পার্থক্য। এটা একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ, বিশ্বকাপের মতো সব দেশে খেলোয়াড়দের মিলনমেলা। এ ধরনের প্ল্যাটফর্মে যদি আপনি খেলতে পারেন, অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারেন, নিজের খেলায় অনেক উন্নতি হয়। এটা আপনার ক্যারিয়ারের জন্য বাড়তি পাওয়া। ৩৫টা দেশের ক্রিকেটার আসবে। তাদের মানসিকতা, চিন্তা-ভাবনা, দক্ষতা, সবকিছু নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ থাকে। ম্যাচে কী কী হতে পারে, চাপ কীভাবে উতরে যাওয়া যায়, সবকিছু মিলিয়ে ভালো অভিজ্ঞতা হবে, এটা আমার জন্য ভালো একটা সুযোগ। পরে দেশের হয়ে যখন খেলব, এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাব।
প্রশ্ন: ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে পুরুষ ক্রিকেটারদের আয়ের পথ প্রসারিত হয়েছে, একইভাবে নারীদের ক্ষেত্রেও কি তা হচ্ছে?
জাহানারা: আমরা এখন পেশাদার ক্রিকেটার। পেশাদারি শব্দটা কিন্তু অনেক ভারী। বিসিবিতে যেমন আমরা কেন্দ্রীয় চুক্তিতে আছি, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ খেলছি, সামনের মাসেও খেলা আছে। ওখান থেকে আমরা একটা বড় সাপোর্ট পাই। আমরা যখন এ ধরনের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলি, সেখান থেকে আয়ের বড় একটা অংশ আসে। সবকিছু মিলিয়ে এটাকে একজন নারী ক্রিকেটারের জন্য অনেক বড় পাওয়াই বলা যায়। আর্থিক দিক থেকে আরও স্বাবলম্বী হওয়ার একটা সুযোগ থাকে।
প্রশ্ন: আগেও ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলেছেন। সেই অভিজ্ঞতা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কীভাবে কাজে লাগিয়েছেন?
জাহানারা: ফ্র্যাঞ্চাইজি খেলে বেশ ভালো একটা অভিজ্ঞতা হয়। তবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমরা যে দলের সঙ্গে বেশি খেলেছি, তাদের বিপক্ষে ভালো করার সুযোগ বাড়ে। যেমন—পাকিস্তান, ওদের সঙ্গে খেলা হলেই আমরা ভালো করি। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ১৫ বছরে কোনো খেলা হয়নি, বিশ্বকাপেই প্রথম খেললাম। যখন ফ্র্যাঞ্চাইজি খেলেছি, বিভিন্ন দেশের শীর্ষ ক্রিকেটারদের সঙ্গে খেলার সুযোগ হয়েছে। তাদের শক্তিমত্তা, দুর্বলতা নিয়ে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। ওটা ভবিষ্যতে কাজে লাগাতে পারি।
প্রশ্ন: বিশ্বকাপের কথা বলছিলেন, প্রথমবার ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ খেললেন। আপনাদের কতটা প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে এই টুর্নামেন্টে?
জাহানারা: আবহাওয়া কিংবা উইকেট অনুযায়ী পারফরম্যান্স ভালো হয়েছে। তবে আরও ভালো করা যেত। বাইরে থেকে আমরা যেমন দেখি, উইকেট তেমন ছিল না। ক্রাইস্টচার্চের উইকেটটা ভালো ছিল, যেখানে আমরা অনুশীলন ম্যাচ খেলেছিলাম। আমি চোটে পড়ায় সেখানে সুযোগ পাইনি। তবে অন্য ভেন্যুর উইকেটগুলো আদর্শ উইকেট ছিল। আবহাওয়াটা অন্যরকম ছিল। অস্ট্রেলিয়াও অবাক হয়েছিল, ওরাও প্রথমবার এ রকম আবহাওয়ায় খেলেছে।
প্রশ্ন: কন্ডিশন নিয়ে বলছিলেন, এক মাস আগে সেখানে ক্যাম্প করে কি সুফল মিলেছিল?
জাহানারা: অবশ্যই ক্যাম্প আগে করার সুফল আমরা পেয়েছি। আমরা কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পেরেছি। পুরো বিশ্বকাপে আমি আমার পারফরম্যান্স নিয়ে খুশি।
প্রশ্ন: বোলিংয়ে ভালো হয়েছে, ব্যাটিংয়ে কোথায় উন্নতি করতে হবে বলে মনে করেন?
জাহানারা: আমাদের সবার দক্ষতা আছে। আমাদের বিশ্বকাপের খেলাগুলো দেখলেই বুঝতে পারবেন আমরা কতটা দক্ষতা অর্জন করেছি। কিন্তু অভিজ্ঞতা অনেক বড় বিষয়। আমরা ১৪-১৫ বছর ক্রিকেট খেলেও খুব কম ম্যাচ খেলেছি। তবে হ্যাঁ, সবশেষ ১৫ বছরে যা খেলেছি আইসিসির এফটিপি অনুযায়ী, আগামী তিন বছর তার চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাব। যত বেশি ম্যাচ খেলব, তত বেশি অভিজ্ঞ হব। আমরা আমাদের দক্ষতা দিয়ে উতরে যাব।
প্রশ্ন: তৃতীয়বারের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট খেলতে যাচ্ছেন, এমন টুর্নামেন্ট উন্নতিতে কতটা সহায়ক?
জাহানারা আলম: তিন মাস অনুশীলন করে একটা ম্যাচ খেলা আর ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট কিন্তু অনেক পার্থক্য। এটা একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ, বিশ্বকাপের মতো সব দেশে খেলোয়াড়দের মিলনমেলা। এ ধরনের প্ল্যাটফর্মে যদি আপনি খেলতে পারেন, অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারেন, নিজের খেলায় অনেক উন্নতি হয়। এটা আপনার ক্যারিয়ারের জন্য বাড়তি পাওয়া। ৩৫টা দেশের ক্রিকেটার আসবে। তাদের মানসিকতা, চিন্তা-ভাবনা, দক্ষতা, সবকিছু নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ থাকে। ম্যাচে কী কী হতে পারে, চাপ কীভাবে উতরে যাওয়া যায়, সবকিছু মিলিয়ে ভালো অভিজ্ঞতা হবে, এটা আমার জন্য ভালো একটা সুযোগ। পরে দেশের হয়ে যখন খেলব, এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাব।
প্রশ্ন: ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে পুরুষ ক্রিকেটারদের আয়ের পথ প্রসারিত হয়েছে, একইভাবে নারীদের ক্ষেত্রেও কি তা হচ্ছে?
জাহানারা: আমরা এখন পেশাদার ক্রিকেটার। পেশাদারি শব্দটা কিন্তু অনেক ভারী। বিসিবিতে যেমন আমরা কেন্দ্রীয় চুক্তিতে আছি, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ খেলছি, সামনের মাসেও খেলা আছে। ওখান থেকে আমরা একটা বড় সাপোর্ট পাই। আমরা যখন এ ধরনের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলি, সেখান থেকে আয়ের বড় একটা অংশ আসে। সবকিছু মিলিয়ে এটাকে একজন নারী ক্রিকেটারের জন্য অনেক বড় পাওয়াই বলা যায়। আর্থিক দিক থেকে আরও স্বাবলম্বী হওয়ার একটা সুযোগ থাকে।
প্রশ্ন: আগেও ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলেছেন। সেই অভিজ্ঞতা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কীভাবে কাজে লাগিয়েছেন?
জাহানারা: ফ্র্যাঞ্চাইজি খেলে বেশ ভালো একটা অভিজ্ঞতা হয়। তবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমরা যে দলের সঙ্গে বেশি খেলেছি, তাদের বিপক্ষে ভালো করার সুযোগ বাড়ে। যেমন—পাকিস্তান, ওদের সঙ্গে খেলা হলেই আমরা ভালো করি। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ১৫ বছরে কোনো খেলা হয়নি, বিশ্বকাপেই প্রথম খেললাম। যখন ফ্র্যাঞ্চাইজি খেলেছি, বিভিন্ন দেশের শীর্ষ ক্রিকেটারদের সঙ্গে খেলার সুযোগ হয়েছে। তাদের শক্তিমত্তা, দুর্বলতা নিয়ে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। ওটা ভবিষ্যতে কাজে লাগাতে পারি।
প্রশ্ন: বিশ্বকাপের কথা বলছিলেন, প্রথমবার ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ খেললেন। আপনাদের কতটা প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে এই টুর্নামেন্টে?
জাহানারা: আবহাওয়া কিংবা উইকেট অনুযায়ী পারফরম্যান্স ভালো হয়েছে। তবে আরও ভালো করা যেত। বাইরে থেকে আমরা যেমন দেখি, উইকেট তেমন ছিল না। ক্রাইস্টচার্চের উইকেটটা ভালো ছিল, যেখানে আমরা অনুশীলন ম্যাচ খেলেছিলাম। আমি চোটে পড়ায় সেখানে সুযোগ পাইনি। তবে অন্য ভেন্যুর উইকেটগুলো আদর্শ উইকেট ছিল। আবহাওয়াটা অন্যরকম ছিল। অস্ট্রেলিয়াও অবাক হয়েছিল, ওরাও প্রথমবার এ রকম আবহাওয়ায় খেলেছে।
প্রশ্ন: কন্ডিশন নিয়ে বলছিলেন, এক মাস আগে সেখানে ক্যাম্প করে কি সুফল মিলেছিল?
জাহানারা: অবশ্যই ক্যাম্প আগে করার সুফল আমরা পেয়েছি। আমরা কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পেরেছি। পুরো বিশ্বকাপে আমি আমার পারফরম্যান্স নিয়ে খুশি।
প্রশ্ন: বোলিংয়ে ভালো হয়েছে, ব্যাটিংয়ে কোথায় উন্নতি করতে হবে বলে মনে করেন?
জাহানারা: আমাদের সবার দক্ষতা আছে। আমাদের বিশ্বকাপের খেলাগুলো দেখলেই বুঝতে পারবেন আমরা কতটা দক্ষতা অর্জন করেছি। কিন্তু অভিজ্ঞতা অনেক বড় বিষয়। আমরা ১৪-১৫ বছর ক্রিকেট খেলেও খুব কম ম্যাচ খেলেছি। তবে হ্যাঁ, সবশেষ ১৫ বছরে যা খেলেছি আইসিসির এফটিপি অনুযায়ী, আগামী তিন বছর তার চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাব। যত বেশি ম্যাচ খেলব, তত বেশি অভিজ্ঞ হব। আমরা আমাদের দক্ষতা দিয়ে উতরে যাব।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪