ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
নিজের কথা ও সুরে মুক্তিযুদ্ধের গান গেয়ে দেশসেরা ময়মনসিংহের মেয়ে আদিশ্রী সাহা। সে মুক্তাগাছা উপজেলার নগেন্দ্র নারায়ণ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের দশম শ্রেণির ছাত্রী। আদিশ্রীর বাবা তাপস কুমার সাহা পেশায় কলেজশিক্ষক। আর মা রিতা রাণী রায় একজন গৃহিণী। দুই ভাইবোনের মধ্যে ছোট আদিশ্রী।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় সংগীত বিভাগে মাধ্যমিক স্তরে দেশসেরা হয়েছে আদিশ্রী সাহা। ‘বিজয়ের দেশ আমার বাংলাদেশ’ শিরোনামে নিজের লেখা ও সুর করা মুক্তিযুদ্ধের গান গেয়ে তার এ সাফল্য আসে। গত ২৭ মার্চ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতি আ ক ম মোজাম্মেল হক তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
জানা গেছে, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জাতীয় ও বিভাগীয় পর্যায়ের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কলেজ স্তরে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কুইজ, নৃত্য, সংগীত, চিত্রাঙ্কন এবং রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে মন্ত্রিসভা কমিটি। সেখানে আদিশ্রী উপজেলা, জেলা, অঞ্চল ও বিভাগীয় পর্যায়ে দেশাত্মবোধক গান গেয়ে প্রথম স্থান অর্জন করে জাতীয় পর্যায়ে উন্নীত হয়।
জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতার প্রজ্ঞাপনে শর্ত ছিল প্রতিযোগীকে গাইতে হবে ‘মুক্তিযুদ্ধের নতুন গান’। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আদিশ্রী নিজেই প্রস্তুত করে গানটি। লেখেন কথা, দেন সুর। গানটির শিরোনাম ‘বিজয়ের দেশ আমার বাংলাদেশ’। সেই গানেই জাতীয় পর্যায়ে প্রথম হয়েছে প্রতিভাবান এ কিশোরী।
আদিশ্রী সাহার কথায়, ‘যখন জানতে পারি নতুন গান গাইতে হবে তখন একটু সমস্যায় পড়ে যাই। আমি মানসিকভাবে সাহস রাখি। হাতে সময়ও ছিল অল্প। আগে থেকেই গান লেখা ও সুর করার শখ রয়েছে। কিছু গান লিখে সুরও করতাম। কয়েকজনের সঙ্গে পরামর্শ করে গানটি নির্ধারণ করি। জাতীয় প্রতিযোগিতায় নিজের লেখা ও সুরের গান কেমন হবে, সেটা ভেবে প্রথমে বিচলিত ছিলাম। পরে পরিবারের অনুপ্রেরণায় ও সংগীতগুরু মামুনুল ইসলাম রনির সহযোগিতা নিয়ে গানটি নতুন করে সাজাই।’
আদিশ্রীর ভাষ্য, ‘আমার সৃষ্টি করা বিজয়ের দেশ আমার বাংলাদেশ গানটি গেয়েই জাতীয় পর্যায়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছি। এর চেয়ে ভালো লাগার আর কিছু হতে পারে না। এতটা মানসিক শান্তি আগে কখনো পাইনি। এ পুরস্কার আমার আত্মবিশ্বাস বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।’
আদিশ্রীর বাবা তাপস কুমার সাহা বলেন, ‘প্রয়াত সীমা কুন্ডুর হাত ধরে মাত্র সাড়ে তিন বছর বয়সেই তার সংগীতে হাতেখড়ি। ১১ বছর ধরে সংগীত চর্চা চলছে আদিশ্রীর। মায়ের মুখে গান শুনেই ভালো লাগা শুরু হয়। দীর্ঘ ৯ বছর তালিম নিচ্ছে সংগীতগুরু মামুনুল ইসলাম রনির কাছে। এ বয়সেই আদিশ্রীর সাফল্যের ঝুড়িতে জমা পড়েছে চারটি জাতীয় পদক। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অন্তত ২০টি পুরস্কার অর্জন করেছে। ২০১৯ সালে ‘চ্যানেল আই গানের রাজা’য় শীর্ষ ১২-তে স্থান করে নেয় আদিশ্রী।’
এ বিষয়ে সংগীত শিক্ষক মামুনুল ইসলাম রনি বলেন, ‘আদিশ্রী প্রতিভাবান এবং কোকিল কণ্ঠের অধিকারী। তার অর্জন আমাকে অনুপ্রাণিত করে।’
নিজের কথা ও সুরে মুক্তিযুদ্ধের গান গেয়ে দেশসেরা ময়মনসিংহের মেয়ে আদিশ্রী সাহা। সে মুক্তাগাছা উপজেলার নগেন্দ্র নারায়ণ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের দশম শ্রেণির ছাত্রী। আদিশ্রীর বাবা তাপস কুমার সাহা পেশায় কলেজশিক্ষক। আর মা রিতা রাণী রায় একজন গৃহিণী। দুই ভাইবোনের মধ্যে ছোট আদিশ্রী।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় সংগীত বিভাগে মাধ্যমিক স্তরে দেশসেরা হয়েছে আদিশ্রী সাহা। ‘বিজয়ের দেশ আমার বাংলাদেশ’ শিরোনামে নিজের লেখা ও সুর করা মুক্তিযুদ্ধের গান গেয়ে তার এ সাফল্য আসে। গত ২৭ মার্চ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতি আ ক ম মোজাম্মেল হক তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
জানা গেছে, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জাতীয় ও বিভাগীয় পর্যায়ের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কলেজ স্তরে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কুইজ, নৃত্য, সংগীত, চিত্রাঙ্কন এবং রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে মন্ত্রিসভা কমিটি। সেখানে আদিশ্রী উপজেলা, জেলা, অঞ্চল ও বিভাগীয় পর্যায়ে দেশাত্মবোধক গান গেয়ে প্রথম স্থান অর্জন করে জাতীয় পর্যায়ে উন্নীত হয়।
জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতার প্রজ্ঞাপনে শর্ত ছিল প্রতিযোগীকে গাইতে হবে ‘মুক্তিযুদ্ধের নতুন গান’। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আদিশ্রী নিজেই প্রস্তুত করে গানটি। লেখেন কথা, দেন সুর। গানটির শিরোনাম ‘বিজয়ের দেশ আমার বাংলাদেশ’। সেই গানেই জাতীয় পর্যায়ে প্রথম হয়েছে প্রতিভাবান এ কিশোরী।
আদিশ্রী সাহার কথায়, ‘যখন জানতে পারি নতুন গান গাইতে হবে তখন একটু সমস্যায় পড়ে যাই। আমি মানসিকভাবে সাহস রাখি। হাতে সময়ও ছিল অল্প। আগে থেকেই গান লেখা ও সুর করার শখ রয়েছে। কিছু গান লিখে সুরও করতাম। কয়েকজনের সঙ্গে পরামর্শ করে গানটি নির্ধারণ করি। জাতীয় প্রতিযোগিতায় নিজের লেখা ও সুরের গান কেমন হবে, সেটা ভেবে প্রথমে বিচলিত ছিলাম। পরে পরিবারের অনুপ্রেরণায় ও সংগীতগুরু মামুনুল ইসলাম রনির সহযোগিতা নিয়ে গানটি নতুন করে সাজাই।’
আদিশ্রীর ভাষ্য, ‘আমার সৃষ্টি করা বিজয়ের দেশ আমার বাংলাদেশ গানটি গেয়েই জাতীয় পর্যায়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছি। এর চেয়ে ভালো লাগার আর কিছু হতে পারে না। এতটা মানসিক শান্তি আগে কখনো পাইনি। এ পুরস্কার আমার আত্মবিশ্বাস বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।’
আদিশ্রীর বাবা তাপস কুমার সাহা বলেন, ‘প্রয়াত সীমা কুন্ডুর হাত ধরে মাত্র সাড়ে তিন বছর বয়সেই তার সংগীতে হাতেখড়ি। ১১ বছর ধরে সংগীত চর্চা চলছে আদিশ্রীর। মায়ের মুখে গান শুনেই ভালো লাগা শুরু হয়। দীর্ঘ ৯ বছর তালিম নিচ্ছে সংগীতগুরু মামুনুল ইসলাম রনির কাছে। এ বয়সেই আদিশ্রীর সাফল্যের ঝুড়িতে জমা পড়েছে চারটি জাতীয় পদক। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অন্তত ২০টি পুরস্কার অর্জন করেছে। ২০১৯ সালে ‘চ্যানেল আই গানের রাজা’য় শীর্ষ ১২-তে স্থান করে নেয় আদিশ্রী।’
এ বিষয়ে সংগীত শিক্ষক মামুনুল ইসলাম রনি বলেন, ‘আদিশ্রী প্রতিভাবান এবং কোকিল কণ্ঠের অধিকারী। তার অর্জন আমাকে অনুপ্রাণিত করে।’
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৭ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৭ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৭ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫