সম্পাদকীয়
ভান্ডারে নামে এক মারাঠি এল আশ্রমে। স্কুলের মধ্য বিভাগে বীথিকা ঘরে সিট পেল সে। সেই ঘরের সামনে শালবীথি। তার এক প্রান্তে লাইব্রেরি, অন্য প্রান্তে দেহলি। রবীন্দ্রনাথ তখন থাকতেন দেহলিতে।
যেদিন ভান্ডারে এল আশ্রমে, সেদিনই দেহলি থেকে বেরিয়ে শালবীথি দিয়ে রবীন্দ্রনাথ চলেছেন লাইব্রেরির দিকে। রবীন্দ্রনাথের পরনে তখন লম্বা জোব্বা, মাথায় কালো টুপি। ভান্ডারে দাঁড়িয়েছিল তার ঘরের সামনে। রবিঠাকুরকে লাইব্রেরির দিকে যেতে দেখে ভান্ডারে তাঁর দিকে দৌড় দিল। অন্য ছেলেরা তো অবাক!
দূর থেকে দেখা গেল, ভান্ডারে রবীন্দ্রনাথকে কিছু বলছে। রবীন্দ্রনাথ অল্প অল্প আপত্তি জানাচ্ছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হার হলো রবীন্দ্রনাথের। ভান্ডারে তাঁর হাতে কিছু গুঁজে দিল। রবীন্দ্রনাথ মৃদু হেসে জোব্বার নিচের জেবে সেটি রেখে দিলেন। ভান্ডারে একগাল হেসে ফিরে এল ডরমিটরিতে। রবীন্দ্রনাথকে প্রণামও করল না, নমস্কারও করল না।
ভান্ডারে ফিরে আসার পর সবাই জিজ্ঞেস করল, ‘গুরুদেবকে কী দিলি?’
ভান্ডারে বলল, ‘গুরুদেব কৌন? ওহ্তো দরবেশ হৈ!’
‘বলিস কিরে! ও তো গুরুদেব হ্যায়।’
‘ক্যা গুরুদেব গুরুদেব করতা হৈ? হম উসকো এক অঠন্নি দিয়া।’
রবীন্দ্রনাথকে আধুলি দিয়েছে ভান্ডারে!
দেশ ছাড়ার আগে ভান্ডারের ঠাকুরমা নাকি তাকে উপদেশ দিয়েছেন, সন্ন্যাসী দরবেশ দেখলে দান-দক্ষিণা করতে। তাই শালবীথির দিকে যেতে থাকা ‘দরবেশ’কে সে আধুলি দিয়েছে।
কিছুদিনের মধ্যেই ভান্ডারের জ্বালাতনে অস্থির হয়ে উঠল সবাই। সে খবর গিয়ে পৌঁছাল রবীন্দ্রনাথের কানে। তিনি ভান্ডারেকে ডেকে বললেন, ‘হ্যাঁরে ভান্ডারে, শেষ পর্যন্ত তুই এসব আরম্ভ করলি!... তুই যখন প্রথম এলি, তখন কী রকম ভালো ছেলে ছিলি! মনে নেই, তুই দান-খয়রাত পর্যন্ত করতি? আমাকে পর্যন্ত তুই একটা পুরো আধুলি দিয়েছিলি!...সেই আধুলি আমি কত যত্নে তুলে রেখেছি, দেখবি?’
ভান্ডারে চুপ।
সূত্র: সৈয়দ মুজতবা আলী, গুরুদেব ও শান্তিনিকেতন, পৃষ্ঠা ৩৬-৩৭
ভান্ডারে নামে এক মারাঠি এল আশ্রমে। স্কুলের মধ্য বিভাগে বীথিকা ঘরে সিট পেল সে। সেই ঘরের সামনে শালবীথি। তার এক প্রান্তে লাইব্রেরি, অন্য প্রান্তে দেহলি। রবীন্দ্রনাথ তখন থাকতেন দেহলিতে।
যেদিন ভান্ডারে এল আশ্রমে, সেদিনই দেহলি থেকে বেরিয়ে শালবীথি দিয়ে রবীন্দ্রনাথ চলেছেন লাইব্রেরির দিকে। রবীন্দ্রনাথের পরনে তখন লম্বা জোব্বা, মাথায় কালো টুপি। ভান্ডারে দাঁড়িয়েছিল তার ঘরের সামনে। রবিঠাকুরকে লাইব্রেরির দিকে যেতে দেখে ভান্ডারে তাঁর দিকে দৌড় দিল। অন্য ছেলেরা তো অবাক!
দূর থেকে দেখা গেল, ভান্ডারে রবীন্দ্রনাথকে কিছু বলছে। রবীন্দ্রনাথ অল্প অল্প আপত্তি জানাচ্ছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হার হলো রবীন্দ্রনাথের। ভান্ডারে তাঁর হাতে কিছু গুঁজে দিল। রবীন্দ্রনাথ মৃদু হেসে জোব্বার নিচের জেবে সেটি রেখে দিলেন। ভান্ডারে একগাল হেসে ফিরে এল ডরমিটরিতে। রবীন্দ্রনাথকে প্রণামও করল না, নমস্কারও করল না।
ভান্ডারে ফিরে আসার পর সবাই জিজ্ঞেস করল, ‘গুরুদেবকে কী দিলি?’
ভান্ডারে বলল, ‘গুরুদেব কৌন? ওহ্তো দরবেশ হৈ!’
‘বলিস কিরে! ও তো গুরুদেব হ্যায়।’
‘ক্যা গুরুদেব গুরুদেব করতা হৈ? হম উসকো এক অঠন্নি দিয়া।’
রবীন্দ্রনাথকে আধুলি দিয়েছে ভান্ডারে!
দেশ ছাড়ার আগে ভান্ডারের ঠাকুরমা নাকি তাকে উপদেশ দিয়েছেন, সন্ন্যাসী দরবেশ দেখলে দান-দক্ষিণা করতে। তাই শালবীথির দিকে যেতে থাকা ‘দরবেশ’কে সে আধুলি দিয়েছে।
কিছুদিনের মধ্যেই ভান্ডারের জ্বালাতনে অস্থির হয়ে উঠল সবাই। সে খবর গিয়ে পৌঁছাল রবীন্দ্রনাথের কানে। তিনি ভান্ডারেকে ডেকে বললেন, ‘হ্যাঁরে ভান্ডারে, শেষ পর্যন্ত তুই এসব আরম্ভ করলি!... তুই যখন প্রথম এলি, তখন কী রকম ভালো ছেলে ছিলি! মনে নেই, তুই দান-খয়রাত পর্যন্ত করতি? আমাকে পর্যন্ত তুই একটা পুরো আধুলি দিয়েছিলি!...সেই আধুলি আমি কত যত্নে তুলে রেখেছি, দেখবি?’
ভান্ডারে চুপ।
সূত্র: সৈয়দ মুজতবা আলী, গুরুদেব ও শান্তিনিকেতন, পৃষ্ঠা ৩৬-৩৭
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৫ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৫ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৫ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫